হনুমান চালিশা, হনুমান চালিশা বাংলা, হনুমান চালিশা পাঠের উপকারিতা, শ্রী হনুমান চালিশা, হনুমান চালিশা পাঠ, হনুমান চালিশা মন্ত্র, হনুমান চল্লিশা পাঠ, শ্রী হনুমান চালিশা মন্ত্র, হনুমান চালিশা মন্ত্র বাংলা, হনুমান চালিশা পাঠ করার নিয়ম, হনুমান,হনুমান চল্লিশা, হনুমান পূজা,হনুমান চালিশা অর্থ, শ্রী শ্রী হনুমান চালিশা, হনুমান পূজার মন্ত্র, হনুমান জী, হনূমান চালিশা, হনুমান চালিশা বাংলা তে,হনুমান চালিসা, হনুমান দেবতা, হনুমান চালিশা অসমীয়াত, হনুমান চালিশা বাংলা , শ্রী হনুমান চালিশা বাংলা, হনুমান চালিশা পাঠ করলে কি হয়,হনুমান চালিশা বাংলা অনুবাদ ইত্যাদি পাবেন আজকের আলোচনায়।
একথা আজ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত যে প্রতিদিন স্নান সেরে হনুমান চালিশা পাঠ করলে পার্থিব যন্ত্রনা থেকে মুক্তি মেলে। দূর হয় জীবনের সমস্ত দুঃখ-দুর্দশা, জীবনে আসে সুখ-শান্তি। জীবন হয় নির্মল ও মসৃণ। প্রতিদিন শ্রীহনুমান চালিশা পাঠের মাধ্যমে দূর হয় নেগেটিভ এনার্জি ও পজিটিভ এনার্জিতে পরিপূর্ণ হয় আপনার চারপাশ। তাই হনুমান চালিশা পাঠ করুন প্রতিদিন। সম্ভব না হলে প্রতি শনি ও মঙ্গলবারে ভক্তিভরে শ্রী হনুমানের চল্লিশা পাঠ করুন।
হনুমান চালিশা পাঠের উপকারিতাঃ
- শনির সাড়ে সাতি এর প্রভাব কমতে থাকে।
- একটানা ৪০ দিন হনুমান চালিশা পাঠ করলে ১২ জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শনের সমান পূণ্য অর্জন হয়।
- যারা রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে ভীত হয়ে জেগে ওঠেন, তারা হনুমান চালিশা পাঠ করলে আর দুঃস্বপ্ন আসে না।
- অনেকে অতীতের খারাপ বা ভয়ংকর স্মৃতি মনে করে শিউরে ওঠেন। হনুমান চালিশা পাঠ করাই এর একমাত্র সমাধান।
- জীবনের সব বাধা বিপত্তি কেটে যায়।
- শত্রু নাশ হয়।
- কর্ম্ফলের জেরে বার বার পুনঃজন্ম ও জীবন ধারন থেকে মুক্তি মেলে।
হনুমান চালিশা মন্ত্রঃ
শ্রী গুরু চরণ পদ্ম স্মরি মনে মনে ।
কোটি কোটি প্রনমিনু তাহার চরণে ।।
শ্রীরামের চরণ পদ্ম করিয়া স্মরণ ।
চতুর্বর্গ ফল যাহে লভি অনুক্ষণ ।।
বুদ্ধিহীন আমি ওহে পবন কুমার ।
ঘুচাও মনের মোর ক্লেশ ও বিকার ।।
জয় হনুমান জ্ঞান গুনের সাগর ।
জয় হে কপিশ প্রভু কৃপার সাগর ।।
শ্রীরামের দুত অতুলিত বলবান ।
অঞ্জনার পুত্র পবন পুত্র নাম ।।
বজ্ররঙ্গি মহাবীর তুমি হনুমান ।
কুমতি নাশিয়া সুমতি কর দান ।।
কাঞ্চন বরন তব তুমি হে সুরেশ ।
কর্ণে তে কুণ্ডল শভে কুঞ্চিত কেশ ।।
হাতে ব্জ্র তব আর ধ্বজা বিরাজে ।
সুন্দর মহাগদা কাঁধে সাজে ।।
অপ্রুপ দুটি বাহু অঞ্জনা নন্দন ।
মহাতেজি ও প্রতাপী পবন নন্দন ।।
বিদ্যাবান গুনবান তুমি হে চতুর ।
শ্রীরামচন্দ্রের কাজে তুমি হে আতুর ।।
সর্বদা রামের আজ্ঞা করিতে পালন ।
হৃদি মাঝে রাখ রাম সীতা ও লক্ষ্মণ ।।
সূক্ষ্ম রুপে তুমি গিয়া লঙ্কা প্রবেশিলে ।
ধরিয়া বিকট রুপ লঙ্কা দগ্ধ কৈলে ।।
ভীম রুপ ধরি তুমি অসুর সংহার।
শ্রীরাম চন্দ্রের তুমি সর্ব কাজ কর ।।
সঞ্জীবন আনি তুমি বাঁচালে লক্ষ্মণ ।
রঘুবীর হন তাহে আনন্দিত মন ।।
শ্রীরাম দিলেন তোমা আলিঙ্গন দান ।
কহিলেন তুমি ভাই ভরত সমান ।।
সহস্র বদন তব গাবে যশ খ্যাতি ।
এত বলি আলিঙ্গন করেন শ্রীপতি ।।
সনকাদি ব্রহ্মাদি যতেক দেবগন ।
নারদসারদ আদি দেব ঋষি গন ।।
যম ও কুবেরের আদি দিকপালগনে ।
কবি ও কবিদ যত আছে ত্রিভুবনে ।।
সুগ্রিবের উপকার তুমি হে করিলে ।
রাম সহ মিলাইয়া রাজপদ দিলে ।।
তোমার মন্ত্রণা বিভীষণ মানিল ।
রাবনের ভয়ে সবে কম্পমান ছিল ।।
সহস্র যোজন উরদ্ধে সূর্য দেবে দেখে ।
সুমধুর ফল বলি ধাইলে গ্রাসিতে ।।
জয় রাম বলি তুমি অসীম সাগর ।
পার হয়ে প্রবেশিলে লঙ্কার ভিতর ।।
যা কিছু দুর্গম কাজ আছে ত্রিভুবনে ।
সুগম করিলে সব তুমি রাম নামে ।।
চিরদ্বারি আছ তুমি শ্রীরামের দ্বারে ।
তব আঙ্গা বিনা কেহ প্রবেশিতে নারে ।।
শরণ লইনু প্রভু আমি যে তোমারি ।
তুমিই রক্ষক মোর আর কারে ডরি ।।
নিজ তেজ নিজে তুমি কর সম্বরন ।
তোমার হুংকারে দেখ কাঁপে ত্রিভুবন ।।
ভুত প্রেত পিশাচ কাছে আসিতে না পারে ।
মহাবীর তব নাম যেইজন স্মরে নিরন্তর ।।
সঙ্কটেতে হনুমান উদ্ধার করিবে ।
তোমার চরণে যেবা মন প্রান দিবে ।।
সর্বপরি রামচন্দ্র তপস্বী ও রাজা ।
শ্রীরামের অরিগনে তুমি দিলে সাজা ।।
তোমার চরণে যেবা মন প্রান দিবে ।
এ জীবনে সেই জন সদা সুখ পাবে ।।
প্রবল প্রতাপ তব হে বায়ু নন্দন ।
চার যুগ উজ্জ্বল রহিবে ত্রিভুবন ।।
সাধু সন্ন্যাসিরে রক্ষা কর মতিমান ।
শ্রীরামের প্রিয় তুমি অতি গুনবান ।।
অষ্টসিদ্ধি নব সিদ্ধি যাহা কিছু রয় ।
সকলই সিদ্ধ হয় তোমার কৃপায় ।।
রাম রসায়ন আছে তব নিকটেই ।
শ্রীরামের দাস হয়ে রয়েছ সদাই ।।
তোমার ভজন কৈলে রাম কে পাইবে ।
জনমে জনমে তার দুঃখ ঘুচে যাবে ।।
অন্তকালে পাবে সেই রামের চরণ ।
এই সার কথা সব শুন ভক্তগন ।
সব ছারি বল সবে জয় হনুমান ।।
হনুমন্ত সর্ব সুখ করিবে প্রদান ।
সর্ব দুঃখ দূরে যাবে সঙ্কট কাটিবে ।।
যেইজন হনুমন্ত স্মরণ করিবে ।
জয় জয় জয় জয় হনুমান গোঁসাই ।।
তব কৃপা ভিন্ন আর কোন গতি নাই ।
যেই জন শতবার ইহা পাঠ করে ।
সকল অশান্তি তার চলে যায় দূরে ।।
হনুমান চলিশা যে করে পঠন ।
সর্বকাজে সিদ্ধি লাভ করে সেই জন ।।
তুলসীদাস সর্বদাই শ্রী হরির দাস ।
মনের মন্দিরে প্রভু কর সদা বাস ।।
ত্রিপদী
পবন নন্দন সঙ্কট হরণ
মঙ্গল মুরতি রুপ ।
শ্রী রাম লক্ষ্মণ জানকী রঞ্জন
তুমি হৃদয়ে ভুপ
পবন নন্দন প্রবল বিক্রম
রাম অনুগত অতি ,
চালিশা হেথায় , সমাপন হয় ,
পদে থাকে যেন মতি ।
সঙ্কটমোচন শ্রীহনুমানষ্টক
জয় জয় মহাবীর হনুমান জয়।
ভক্তি শিক্ষা করি প্রভু তোমার কৃপায়।।
বাল্যকালে দিবাকরে করিলে ভক্ষণ।
তাহে অন্ধকার হৈল এই ত্রিভুবন।।
ত্রাসেতে ত্রিলোক সব কাঁপে থর থরে।
কেনো বা এমন হৈল সবে চিন্তা করে।।
দেবগণ অাসি তোমা মিনতি করিলে।
রবি ছাড়ি জগতের কষ্ট নিবারিলে।।
কেহ জানিত না কপি নামটি তোমার।
সঙ্কট মোচন নাম হয় যে তোমার।। ১।।
কলির ত্রাস যে তুমি গিরি বাসকারী।
জন্মাবধি প্রভু তোমা সন্ন্যাসী নেহারি।।
সহসা মহামুনি তোমা শাপ দিলে।
কি জানি কি বিচার তুমি করেছিলে।।
পরম দয়াল তুমি জানে সর্বজন।
এ দাসের দুঃখ তুমি কর নিবারণ।।২।।
অঙ্গদেরে সঙ্গে লয়ে সীতা অন্বেষণে।
সন্ধান করিলে তুমি ফিরি বনে বনে।।
পাহাড় পর্বতে তুমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া।
মহাসাগরের তীরে রহিলে বসিয়া।।
বানরগণেরে তুমি দিলে আশ্বাসন।
কৃপা করি কর মোর সঙ্কট মোচন।।৩।।
জয় রাম বলি তুমি এক লস্ফ দিলে।
অাকাশ পথেতে তুমি লঙ্কায় চলিলে।।
শেষে লঙ্কা রাজ্যে গিয়া দিলে দরশন।
করিতে লাগিলে তুমি সীতা অন্বেষণ।।
অশোক কাননে সীতা পাইলে দেখিতে।
অামারে রক্ষহ তুমি এই সঙ্কটেতে।।
রামের অঙ্গুরী দিয়া জানকীর করে।
প্রণাম করিয়া দাঁড়াইলে এক ধারে।।
চেড়ীগণ মুখে রাবণ পাইল শুনিতে।
দূতগণে পাঠাইল বাঁধিয়া অানিতে।।
সূক্ষ্ম দেহে মহাবীর তুমি দিলে ধরা।
আমার সঙ্কট প্রভু দূর কর ত্বরা।।৫।।
অতঃপর বিরাট রূপ করিলে ধারণ।
যত বস্ত্র ছিল ল্যাজে বাঁধে দূতগণ।।
তাহে অগ্নি জ্বালাইল রাবণ অাদেশে।
তুমি জয় রাম বলি উঠিলে অাকাশে।।
সে অাগুনে সারা লঙ্কা করিলে দাহন।
এ দাসের কর প্রভু সঙ্কট মোচন।।৬।।
অশোক কাননে তুমি এলে পুনরায়।
লঙ্কা দগ্ধ এ সংবাদ জানালে সীতায়।।
শুনিয়া জনকসুতা অানন্দিত হৈল।
বর দিয়া তোমার অগ্নি জ্বালা নিবারিল।।
আম্রকুঞ্জে ঢুকি সব কৈলে খান খান।
মোরে তুমি এ সঙ্কটে কর পরিত্রাণ।।৭।।
সীতার সন্ধান লয়ে ফিরিয়া অাসিলে।
শ্রীরামের শ্রীচরণে সকলি জানালে।।
অতঃপর করা হলো সাগর বন্ধন।
লঙ্কাপুরী প্রবেশিলে লয়ে সৈন্যগণ।।
মৃত সঞ্জীবনী আনি লক্ষ্মণে বাচাও।
কৃপা করি এ দাসের সঙ্কট ঘুচাও।।৮।।
জয় জয় মহাবীর হনুমান জয়।
ভক্তিরূপ শিক্ষা দিলে জগতে সবায়।।
জয় জয় বজরঙ্গী চির ধন্য তুমি।
তোমার চরণে সদা প্রণত যে অামি।।
তুমি হও শ্রেষ্ঠ ভক্ত বিশ্ব চরাচরে।
রামরূপ দেখাইলে হৃদয় মাঝারে।।
নিজ বক্ষ নিজে তুমি করি বিদারণ।
তার মাঝে রামরূপ করালে দর্শন।।
হনুমানাষ্টক হেথা সমাপ্ত হইল।
জয় রাম জয় হনুমান ভক্তগণ বল।।
আরও পড়ুনঃ শনিদেব কেন সবার বড় ঠাকুর , তাঁর সৃষ্টি কিভাবে হয়েছে?