নারায়নের উচ্ছিষ্ট খাবারই মহাপ্রসাদ। প্রসাদ, নৈবেদ্য এবং ভোগ এগুলো মহাপ্রসাদেরই সমর্থক শব্দ। সরাসরি ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করার পর সেই প্রসাদকে বলা হয় মহাপ্রসাদ। মহাপ্রসাদের উপর নিবেদনকারী ব্যক্তির আর কোন অধিকার থাকে না। বরং তা হয় ভগবানের সৃষ্ট সকল প্রানীর। যেমনঃ মহাপ্রসাদ পাওয়ার সময় একটি কুকুর চলে আসলেও তারও মহাপ্রসাদ পাওয়ার অধিকার আছে। নিবেদিত প্রসাদের মধ্যে থাকতে হবে ফল মূল, শাক-সবজি, শর্করা এবং দুধ ও ঘি দিয়ে তৈরি সামগ্রী। তবে পেয়াজ, রসুন, মাশরুম বা ছত্রাক, এমনকি মসুর ডাল বা অধিক মসলাযুক্ত খাবার মহাপ্রসাদে বর্জন করতে হবে। প্রসাদের সাথে অবশ্যই একটি পাত্রে বিশুদ্ধ জল দিতে হবে। প্রসাদের প্রতিটি পাত্রে থাকবে তুলসী পত্র। কৃষ্ণ প্রসাদ সেবনের জন্য ভক্তদের সারিবদ্ধভাবে বসে “মহাপ্রসাদে গোবিন্দে…… নাম ব্রহ্মণী বৈষ্ণবে ” মন্ত্রটি বলে প্রসাদ পেতে হবে। প্রসাদ নষ্ট করা কোনভাবেই উচিত নয় এবং সেইহেতু পরিবেশকের ধীরে ধীরে একটু একটু করে প্রসাদ পরিবেশন করতে হবে। এতো গেলো মহাপ্রসাদ বৃত্তান্ত। কিন্তু মহাপ্রসাদ পৃথিবীতে এলো কিভাবে? সেই মজার কাহিনীটি জানতে আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকুন।