সৃষ্টির ইতিহাসে তথা রামায়ণ, মহাভারত এবং পুরাণে যত শক্তিশালী অসুর ও রাক্ষসের উল্লেখ পাওয়া যায় তাঁর মধ্যে সবার আগে উঠে আসে লঙ্কাপতি রাবণের নাম। তাঁর বিপুল ক্ষমতার সামনে টিকে থাকা কোন মানুষ তো দূরের কথা, দেবতাদের পক্ষেও সম্ভব ছিল না। তাছাড়া প্রজাপতি ব্রহ্মার কাছ থেকে তিনি বর পেয়েছিলেন কোন দেবতা, অসুর, কিন্নর বা গন্ধর্বের হাতে তাঁর মৃত্যু হবে না। এমনকি স্বয়ং যমরাজেরও তাঁর প্রাণ হরণ করার ক্ষমতা ছিল না। তাই রাবণ শুধুমাত্র অপরাজেয় ছিলেন না তাই নয়, তিনি ছিলেন এক প্রকার অবধ্য। এবং এই কারনে স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুকে রামরূপে অবতার ধারণ করতে হয়েছিল রাবণকে প্রাণদণ্ড দেওয়ার জন্য। কিন্তু আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন না ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের সাথে যুদ্ধের আগেও বেশ কয়েকবার পরাজিত হয়েছিলেন রাবণ। তাঁদের কারো সাথে মিত্রতা করে আবার কারো কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন রাবণ। সনাতন এক্সপ্রেসের আজকের আয়োজনে আমরা সেই সকল মহাবীরদের কথা বলতে চলেছি যাদের সাথে যুদ্ধে পরাস্ত হয়েছিলেন স্বয়ং লঙ্কাপতি রাবণ।
কার্তবীর্যার্জুন ও রাবণ
প্রথমেই আসি মহারাজ কার্তবীর্যার্জুনের ঘটনায়। রামায়ণের উত্তরকাণ্ডে রাবণ ও কার্তবীর্যার্জুন এর এই দ্বন্দের বিবরণ পাওয়া যায়। একদা মহাপ্রাক্রমশালী এবং উদ্ধত রাবণ যুদ্ধ জয়ের নেশায় হাজির হলেন মাহিষ্মতী নগরী। নর্মদা নদীর তীরে গড়ে ওঠা সেই সুমহান রাজ্যের রাজা ছিলেন চন্দ্রবংশীয় রাজা মহামতি কার্তবীর্যার্জুন। দত্তাত্রেয় মুনিকে তপস্যায় সন্তুষ্ট করে তিনি বর লাভ করেছিলেন তিনি তাঁর দুই বাহুকে প্রয়োজনে সহস্র বাহুতে পরিণত করতে পারবেন, এবং আপন পরাক্রমে সমগ্র পৃথিবী জয় করতে পারবেন।
তো রাবণ মাহিষ্মতি সম্রাটের সাথে যুদ্ধ আরম্ভ করার আগে নর্মদা নদীর তীরবর্তী একটি স্থানে শিবলিঙ্গ স্থাপন করে পূজা শুরু করলেন। কিন্তু সহসা বিপরীত দিক থেকে নর্মদার বিপুল জলস্রোত এসে ভাসিয়ে নিয়ে গেল শিবপূজার পুষ্পাদি ও যাবতীয় উপকরণ। এমন অস্বাভাবিক বিপরীতমুখী স্রোতের রহস্য জানতে রাবণ তাঁর সহচরদের পাঠালেন স্রোতের উৎস সন্ধানে। রাবণের দূতগণ কিছুদূর গিয়ে দেখতে পেলেন রাজা কার্তবীর্যাজুন তাঁর এক হাজার পত্নীদের নিয়ে নর্মদার জলে জলকেলি করছেন। তাঁদেরকে দেখে মনে হচ্ছে এক হাজার স্ত্রী হাতির মধ্যে একটি বিশালাকায় পুরুষ হাতি তাঁর পুরুষত্ব প্রদর্শন করছে। এবং কার্তবীর্যার্জুন তাঁর সহস্র বাহু দিয়ে নর্মদার স্রোত আটকে সেগুলোকে বিপরীত দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
দূতগণ যখন ফিরে গিয়ে রাবণকে এই সংবাদ দিলেন তখন রাবণ প্রচণ্ড খুব্ধ হলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ কার্তবীর্যার্জুনের মন্ত্রী ও পার্ষদদের কাছে যুদ্ধ করার প্রস্তাব পাঠালেন। কিন্তু রাজা কার্তবীর্যার্জুন যেহেতু সেমময় তাঁর স্ত্রীদের নিয়ে অবকাশ যাপন করছিলেন, তাই মন্ত্রীগণ রাবণকে তুচ্ছ জ্ঞান করে রাজাকে যুদ্ধের সংবাদ দিতে রাজি হলেন না। ফলে ক্রোধের বশে রাবণ তাদের সবাইকে বধ করে দূত মারফত খবর পাঠালেন মহারাজ কার্তবীর্যার্জুনের কাছে। খবর পেয়ে রাজা ছুটে এলেন রণভূমিতে। শুরু হল তুমুল যুদ্ধ। রাবণ ও তাঁর বিশাল সেবনাবাহিনীর কাছে সহস্র বাহুযুক্ত কার্তবীর্যার্জুন একাই ভারী পড়ে গেলেন। তাঁর বিশাল গদার আঘাতে পর্যুদস্ত হয়ে রাক্ষসসৈন্যরা ভয়ে পলায়ন করা শুরু করলেন। এবার শুরু হল রাবণ ও কার্তবীর্যার্জুনের যুদ্ধ। কিন্তু সেই যুদ্ধও খুব বেশীক্ষণ স্থায়ী হল না। কার্তবীর্যার্জুনের গদার আঘাতে শীগ্রই ভূপাতিত ও বন্দী হলেন রাবণ। তাঁকে নিক্ষেপ করা হল মাহিষ্মতির কারাগারে।
আপনারা অনেকেই জানেন রাবণের পিতামহ ছিলেন মহামুনি পুলস্ত্য। স্বর্গ থেকে পুলস্ত্য যখন রাবণের এই দূর্ভাগ্যের কথা জানতে পারেন তখন তিনি মাহিষ্মতি সম্রাটের কাছে এসে রাবণের মুক্তি প্রার্থনা করেন। রাজা কার্তবীর্যার্জুন বিপুল বলশালী হওয়ার সত্ত্বেও মুনি ঋষিদের প্রতি ছিলেন খুবই অনুরক্ত। তাই মহামুনি পুলস্ত্যের কথায় অগ্নিসাক্ষী করে মিত্রতা স্থাপন করে মুক্তি দিয়েছিলেন লঙ্কাপতি রাবণকে।
বানররাজ বালি ও রাবণ
রাবণের পরাজয়ের ২য় ঘটনাটি ঘটেছিল কিষ্কিন্ধ্যার বানররাজ বালির সঙ্গে। রাবণ সহজাতভাবে ছিলেন দাম্ভিক, উদ্ধত ও দূরাচারী। একদা তিনি দিগ্বিজয়ে বের হয়ে পৌছে গেলেন বানরদের রাজ্য কিষ্কিন্ধ্যায়। সেখানে অবস্থানরত বানরদের তুচ্ছ জ্ঞান করে রাবণ তাঁদের রাজা বালিকে যুদ্ধে আহবান করলেন। উপস্থিত বানরগণ রাবণকে বালির সাথে যুদ্ধ করার নির্বুদ্ধিতা করতে নিষেধ করলেন। কারন তাঁরা জানতেন বালি বরপ্রাপ্ত ছিলেন যে, বালি যার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবেন তাঁর শরীররের অর্ধেক শক্তি তিনি নিজের শরীরে টেনে নিতে পারবেন। কিন্তু ক্ষমতার মোহে অন্ধ রাবণ তাঁদের কথায় কর্ণপাত না করে যুদ্ধে লিপ্ত হলেন বালির সাথে। বালির হাতে খুব অল্প সময়ে বিপর্যস্ত হল রাক্ষস কূল। এরপর শুরু হল রাবণের সাথে বালির যুদ্ধ। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে রাবণের অর্ধেক শক্তি বালির শরীরে চলে আসল। ফলে খুব সহজের বালির কাছে পরাজিত হলেন রাবণ। সেসময় সূর্য প্রায় অস্তমিত। বালি তখন সন্ধ্যাবন্দনা করবেন। তাই বালি তাঁর লেজে পেঁচিয়ে রাবণকে সাতবার জলে ডুবালেন আর সাতবার তুললেন। তাতেই প্রায় অর্ধমৃত অবস্থা লংকাপতি রাবণের। অবস্থা বেগতিক দেখে বালির সাথেও সন্ধিপ্রস্তাব দিলেন রাবণ। এরপর বালির সাথে মিত্রতা স্থাপন করে এবং ভবিষ্যতে কখনো কিষ্কিন্ধ্যা রাজ্য আক্রমণ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেযাত্রা রক্ষা পেলেন রাবণ।
দেবাদিদেব মহাদেব ও রাবণ
রাবণ যাদের হাতে পরাজিত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন দেবাদিদেব মহাদেব। আপনারা জানেন রাবণের বৈমাত্রেয় ভ্রাতা ছিলেন কুবের। এই কুবেরকেই লঙ্কা থেকে বিতাড়িত করে তাঁর পুষ্পক বিমান অধিকার করেছিলে রাবণ। পরবর্তীতে সেই বিমানে চড়েই তাঁর সমস্ত হীন কর্ম চরিতার্থ করতেন তিনি। একদা তিনি এই পুষ্পক বিমানে চড়ে পরিভ্রমণ করছিলেন। কিন্তু এক অতি মনোরম এক পর্বতের সামনে দিয়ে বিমানের গতি শূন্য হয়ে গেল। কোনভাবেই সেই পর্বতের উপর দিয়ে বিমান নিয়ে উড়ে যেতে পারলেন না তিনি। অন্যদিকে রাবণ ছিলেন অত্যন্ত একগুঁয়ে ও জেদী স্বভাবের। তিনি পণ করলেন এই স্থান দিয়েই তিনি তাঁর বিমান উড্ডয়ন করে নিয়ে যাবেন। তাই পুষ্পক বিমান থেকে সেই পর্বতের পাদদদেশে অবতরণ করলেন। তিনি চেয়েছিলেন এই পর্বতটিকে এখান থেকে সরিয়ে এই স্থান দিয়েই তাঁর বিমান উড্ডয়ন করে নিয়ে যাবেন। তবে এই পর্বতটি ছিল হর পার্বতীর আবাসস্থল কৈলাস পর্বত। তাই পর্বতের পাদদেশে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ ঘটল ভোলানাথ শিবের সহচর নন্দীর সাথে। নন্দী তাঁকে এই পর্বতটি হর-পার্বতীর আবাস বলে সাবধান করার চেষ্টা করলেও তাঁর কথায় কর্ণপাত করলেন না রাবণ। তিনি পর্বতটিকে উত্তোলন করা শুরু করলেন। প্রচণ্ড ঝাকুনিতে নড়ে উঠল কৈলাস পর্বত। মহাদেব বুঝতে পারলেন এটা আসলে কার কাজ। তাই তিনি তাঁর পায়ের বৃদ্ধঙ্গুলি দিয়ে আলতো করে চাপ দিলেন পর্বতের চুড়ায়। তাতেই প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠল রাবণের। তখন রাবণ শিবের প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিব তাণ্ডব স্তোত্র রচনা করে শিবের মনোরঞ্জন করেন এবং সেযাত্রা প্রাণে রক্ষা পান। বলা হয় এই ঘটনার পর থেকেই রাবণ ভোলানাথ শিবকে তাঁর আরধ্য হিসেবে পূজা করতে থাকেন।
রাজা মান্ধাতা ও রাবণ
ইক্ষাকু বংশের তথা সূর্যের বংশের পরাক্রম সম্পর্কে রামের সাথে যুদ্ধের আগেই জেনে গিয়েছিলেন রাবণ। ব্রহ্মার বরে বলীয়ান হয়ে রাবণ সমগ্র বিশ্বের সব নৃপতি ও ক্ষত্রিয়দের তুচ্ছ জ্ঞান করতে শুরু করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় একবার রাবণ এলেন শ্রীরামচন্দ্রের পূর্বপুরুষ মান্ধাতার রাজত্বে। মান্ধাতাকে আহবান করলেন যুদ্ধে। মহাবীর মান্ধাতাও রাবণের আহবান স্বীকার করে হাজির হলেন যুদ্ধক্ষেত্রে। কিন্তু মান্ধাতার পরাক্রম সম্পর্কে রাবণের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ছিল। তিনি একাই একে একে রাবণের রথী মহারথী যোদ্ধা তথা শুক, অকম্পান, মহোদর, বিরূপাক্ষ এবং আরও অনেককে ধরাশায়ী করে ফেললেন। রাবণের সামনে তখন নিশ্চিত পরাজয়। তবুও ক্রোধ ও অহংকারে অন্ধ হয়ে তিনি এলেন যুদ্ধভূমিতে, মান্ধাতার সাথে যুদ্ধ করতে। এরপর মান্ধাতার দিকে নিক্ষেপ করলেন ব্রহ্মাস্ত্র। অন্যদিকে রাজা মান্ধাতাও এর বিপরীতে নিক্ষেপ করলেন মহা শক্তিশালী পশুপাত অস্ত্র। এই দুই অস্ত্রের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ত্রিলোকের ধ্বংস অনিবার্য। তাই ঋষি পুলস্ত্য ও ঋষি গলভ এই যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেন এবং তাঁদের দুজনকেই যুদ্ধ বন্ধের নির্দেশ দেন। এসময় ঋষিগণ মান্ধাতাকে বুঝিয়ে বলেন যে, তারই বংশধর এবং ভগবান বিষ্ণুর অবতার শ্রীরামচন্দ্রের হাতেই রাবণের মৃত্যু নির্ধারিত। সুতারাং যুদ্ধে বিরতি দেন রাবণ ও মান্ধাতা দুজনেই। তবে রাবণের বিরুদ্ধে মান্ধাতার অকল্পনীয় পরাক্রম প্রদর্শন করার জন্য পরবর্তীতে তিনি পরিচিত হন ত্রশদস্যু হিসেবে। আর রাবণের মনেও সে সময় থেকেই ইক্ষাকু বংশের ভীতি সঞ্চার হতে শুরু করেছিল।
কপিল মুনি ও রাবণ
আপনারা অনেকেই কপিল মুনির নাম শুনে থাকবেন। সগর রাজার ষাট হাজার পুত্রকে তিনি তাঁর ক্রোধাগ্নি দ্বারা ভস্মীভূত করে দিয়েছিলেন। ভাগবত পুরাণ অনুসারে, তিনি ছিলেন শ্রীবিষ্ণুর অংশ এবং একজন মহাসিদ্ধ যোগী। কপিল মুনি সম্পর্কে এসব কথা শুনে রাবণ তাঁর আশ্রমে গিয়েছিলেন তাঁকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। তাছাড়া মুনি ঋষিদেরকে হয়রানি ও লাঞ্ছিত করে এক পৈশাচিক আনন্দ লাভ করতেন রাবণ। তাই তিনি যখন কপিল মুনির আশ্রমে এসে তাঁকে জাপটে ধরতে গেলেন তখন তুমুল বলশালী কপিল মুনি তাঁকে এক আছাড়ে ধরাশায়ী করে ফেলেছিলেন।
যমরাজ ও রাবণ
একদা দেবর্ষি নারদ এলেন লঙ্কাপুরীতে রাবণের কাছে। তিনি রাবণকে কুমন্ত্রনা দিলেন যমালয় আক্রমণ করতে। কারণ তাঁর পূর্বজ রাক্ষসগণ যমপুরীতে যমের হাতে নিষ্পেষিত হচ্ছেন। নারদের কথামত যমপুরীতে হানা দিলেন রাবণ। কারন তিনি জানতেন স্বয়ং যমও তাঁর প্রাণদণ্ড দিতে সক্ষম নন। এরপর যমালয়ে তুমুল যুদ্ধ শুরু হল রাক্ষস বাহিনী ও যমসেনাদের মধ্যে। যুদ্ধের এক পর্যায়ে যম তাঁর যমদণ্ড ও মরণপাশ দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে ফেললেন রাবণকে। এসময় ভোলানাথ শিবের মধ্যস্থতায় রাবণকে মুক্তি প্রদান করেন যমরাজ।
বৈকুণ্ঠে রাবণ
লঙ্কাধিপতি রাবণ ভগবান বিষ্ণুকে তাঁর প্রধান শত্রু বলে মনে করতেন। তাই একবার তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন বৈকুণ্ঠ তথা বিষ্ণুলোক আক্রমণ করার জন্য। কিন্তু তিনি তাঁর বিপুল সেনা নিয়ে বৈকুণ্ঠ আক্রমণ করলেও শুধুমাত্র রাবণ একাকী বৈকুণ্ঠের রাজধানী শ্বেতদ্বীপে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন। তবে সেখানেও বৈকুণ্ঠের অপধিবাসীদের দ্বারা তিনি শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন। এরপর তিনি লজ্জায় বৈকুণ্ঠ ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
পাতাললোকে রাবণ
এছাড়াও একদা পাতাল লোকে দৈত্যরাজ বলিকে উদ্ধার করতে পাতালে গিয়েছিলেন রাবণ। তবে সেখানে তাঁর কোন শক্তিই কাজে আসে নি তাঁর। বরং পাতাললোকের শিশুদের হাতে পরাস্ত হন রাবণ।
তবে পরিশেষে একটি কথা না বললেই নয়। আর তা হল পবণপুত্র হনুমান একাই রাবণকে পরাজিত এবং বধ করার মত সামর্থ্যবান ছিলেন। তাছাড়া ব্রহ্মা রাবণকে যে বর দিয়েছিলেন তাতে মানুষ এবং বানর ছাড়া আর কেউই রাবণকে বধ করার অধিকারী ছিল না। সুতরাং বানর হওয়ার সুবাদে শ্রী হনুমানও নিমেষেই রাবণকে বধ করতে পারতেন।