দীপাবলিতে নরকাসুর বধের কাহিনী ও নরক চতুর্দশীর ইতিহাস

কার্ত্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় নরক চতুর্দশী। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও মাতা সত্যভামা এই তিথিতে নরকাসুরকে বধ করে তার বন্দীশালা থেকে উদ্ধার করেছিলেন ১৬১০০ জন্য অপহৃতা কন্যাকে, উদ্ধার করেছিলেন দেবতাদের হারানো স্বর্গরাজ্য, মাতা অদিতির কুণ্ডলদ্বয়, বরুনদেবের ছত্র ও দেবতাদের বিহারের স্থান মণিপর্বত। সনাতন এক্সপ্রেসের আজকের আয়োজনে আপনার জন্য রইল নরকাসুরের উত্থান ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক তার সংহারের সম্পূর্ণ কাহিনী।

নরকাসুরের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে মহাভারত, বিষ্ণু পুরাণ, ভাগবত পুরান, কালিকা পুরাণ, ব্রহ্ম পুরাণসহ বেশ কিছু পুরাণ গ্রন্থে। গ্রন্থ ভেদে বেশ কিছু ভিন্নতাও লক্ষ্য করা যায় নরকাসুরের এই কাহিনীতে। তাই এসকল গ্রন্থে বর্ণিত নরকাসুরের কাহিনীকে সমন্বয় করে উপস্থাপন করা হল আপনার জন্য।

হিরণ্যাক্ষ ও বরাহ অবতার

পুরাকালে ঋষি কশ্যপ ও দিতির দুই পুত্র হিরণ্যকশিপু ও হিরণ্যাক্ষ ব্রহ্মার বরে বলীয়ান হয়ে শুরু করেছিল তাদের মহা তাণ্ডব। তারা ভগবান শ্রীহরিকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ ও চরম শত্রু বলে মনে করতেন। তো ভগবান বিষ্ণুকে বধ করার জন্য একদা হিরণ্যকশিপুর পরামর্শে ভূদেবী তথা পৃথিবী মাতাকে হরণ করে সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে রেখেছিলেন হিরণ্যাক্ষ। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, ভূদেবীকে উদ্ধার করতে অবশ্যই ভগবান বিষ্ণু আবির্ভূত হবেন এবং তারা তাদের তপস্যার্জিত বল দ্বারা শ্রীবিষ্ণুকে বধ করবেন। কিন্তু বাস্তবে ফল হল এর উল্টো। ভূদেবীকে উদ্ধার করতে হিরণাক্ষ্যের সম্মুখে বরাহ রূপে প্রকট হলেন শ্রীবিষ্ণু। এরপর কিছুকাল যাবত তুমুল যুদ্ধের পর বরাহরূপী শ্রীবিষ্ণু তার তীক্ষ্ণ দাঁতের আঘাতে বধ করেছিলেন হিরণ্যক্ষকে। এরপর তিনি তার সেই দুটি দাঁতের সাহায্যেই ভূদেবীকে সমুদ্রের তলদেশ থেকে উদ্ধার করেছিলেন।

বরাহ অবতার ও ভূদেবী

তবে ভূদেবীকে উদ্ধার করার সময় বিষ্ণুদেবের সংস্পর্শে এসে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন ভূদেবী। তিনি বরাহ অবতারের ঔরসে এক মহাশক্তিশালী পুত্রের জন্মদান করেন। এবং বলাই বাহুল্য এই পুত্রই পরবর্তীকালে হয়ে উঠেছিলেন দুর্ধর্ষ অসুর নরকাসুর। এছাড়াও স্বয়ং ভূমিদেবীর পুত্র হওয়ার কারনে তার আরেক নাম হয়েছিল ভূমাসুর। তো নরকাসুর ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে ভূদেবী তার এই সদ্যোজাত পুত্রের জন্য শ্রীবিষ্ণুর কাছে দীর্ঘ জীবনের বর প্রার্থনা করেছিলেন। এবং ভগবান শ্রীবিষ্ণু ভূদেবীর প্রার্থনা মঞ্জুর করে নরকাসুরকে দীর্ঘ জীবনের বরদান দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  কোন কালীর পূজা কেন করা হয়?

ব্রহ্মা কর্তৃক নরকাসুরকে বরদান

তবে শ্রীবিষ্ণুর এই বরেই থেমে থাকেননি নরকাসুর। নিজের জীবনকে আরও সুরক্ষিত করতে তিনি শুরু করেছিলেন ভগবান ব্রহ্মার তপস্যা। বহুকাল যাবত কঠোর তপস্যা দ্বারা তিনি সন্তুষ্ট করেছিলেন ভগবান ব্রহ্মাকে। তিনি ব্রহ্মার কাছে তার তপস্যার ফল হিসেবে দাবী করেছিলেন অমরত্বের বর। তবে ব্রহ্মা তাঁকে সরাসরি অমত্বের বর দান না করে এই বর দিয়েছিলেন যে, একমাত্র তার মাতা ভূদেবীর ইচ্ছা ব্যাতীত তার মৃত্যু হবে না। নরকাসুরের কাছে এই বরই ছিল অমরত্বের বরের সমতুল্য। কারণ কোন মা তার সন্তানের মৃত্যু কখনোই চাইবেন না। সুতারাং এবার তার স্বরূপে ফিরলেন নরকাসুর। তিনি বানাসুরের কুসঙ্গে পড়ে হয়ে উঠলেন অতিমাত্রায় অত্যাচারী ও নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞের রচয়িতা। দানব রাজা ঘটকাসুরকে সিংহাসনচ্যুত করে তিনি স্থাপন করেন তার নিজের রাজ্য প্রাগজ্যোতিষপুর। বিবাহ করেছিলেন বিদর্ভের রাজকুমারী মায়াকে এবং মিত্রতা স্থাপন করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণের মামা কংসের সাথে।

নরকাসুরের তাণ্ডব

যাইহোক, এভাবে দিনের পর দিন অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকল নরকাসুরের। তিনি একে একে বশিষ্ঠ মুনিকে তার আশ্রম থেকে বিতাড়িত করেন, মাতা কামাখ্যাকে বিবাহ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন, দেব, মানব ও গন্ধর্বকুলের ১৬১০০ জন কুমারী কন্যাকে বলপূর্বক হরণ করেন, বরুণদেবের ছত্র হরণ করেন, দেবমাতা অদিতির কুণ্ডলদ্বয় অর্থাৎ কানের দুলজোড়া চুরি করেন, দেবতাদের বিহার করার স্থান মণি পর্বতকে নিজে অধিকার করে নেন এবং সবশেষে স্বর্গলোক আক্রমণ করে দেবরাজ ইন্দ্রকে পরাজিত করেন এবং স্বর্গরাজ্য অধিকার করে নেন।

ইন্দ্রদেব ও শ্রীকৃষ্ণ

ফলে পরাজিত, বিপর্যস্ত দেবরাজ ইন্দ্র এবার শরণাপন্ন হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের। তিনি নরকাসুরের দূর্নীতির কথা সবিস্তারে বর্ণনা করলেন বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণকে। দেবরাজ ইন্দ্রের আর্জি শুনে শ্রীভগবান বুঝতে পারলেন নরকাসুরকে পরাজিত করতে তার স্ত্রী সত্যভমার সাহায্য তার অবশ্যই প্রয়োজন হবে। কেননা, প্রথমত মাতা সত্যভামা ছিলেন ভূদেবীর অবতার এবং দ্বিতীয়ত, সত্যভামার অনিচ্ছায় নরকাসুরকে বধ করা সম্ভব নয়। সুতারাং নরকাসুরের সাথে যুদ্ধে যাওয়ার সময় অবশ্যই সত্যভামাকে সঙ্গে নিতে হবে। কিন্তু কিভাবে?

সত্যভামা ও শ্রীকৃষ্ণ

একদা দেবর্ষি নারদ দেবরাজ ইন্দ্রের নন্দন কানন থেকে একটি পারিজাত পুষ্প এনে উপহার দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণপত্নী মাতা রুক্মিনীকে। এঘটনা দেখে মাতা সত্যভামা মান করে শ্রীকৃষ্ণের কাছে একটি পারিজাত পুষ্প দাবী করেছিলেন। উত্তরে শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন, “বেশ তো প্রিয়ে, আমি তোমার জন্য একটি গোটা পারিজাত পুষ্পের বৃক্ষ নিয়ে আসব।”

আরও পড়ুনঃ  বেলপাতা শিবের প্রিয় কেন? বেলগাছের জন্ম কিভাবে হল?

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বুঝলেন এটাই তার সুযোগ, তিনি পারিজাত পুষ্পের বৃক্ষ আনতে যাওয়ার অযুহাতে সত্যভামাকে আহবান করলেন। এরপর গরুড়ের পৃষ্ঠে আরোহণ করে নরকাসুরের রাজ্যে যাত্রা শুরু করলেন তারা।

নরকাসুরের রাজ্যে মুরাসুরের সাথে যুদ্ধ

নরকাসুরের রাজ্যে প্রবেশ করার সময় একে একে বিশালাকার দুর্গ ধ্বংস করা শুরু করলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তিনি সেই রাজ্যের গিরিদুর্গগুলো গদা দ্বারা, শস্ত্রদুর্গগুলো বাণ দ্বারা এবং অগ্নিদুর্গ, বায়ুদুর্গ ও জলদুর্গগুলো চক্র দ্বারা ধুলিস্যাৎ করে উপস্থিত হলেন নরকাসুরের প্রাসাদের সম্মুখে।

যুদ্ধংদেহী ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে দেখে সর্বপ্রথমে এগিয়ে এলেন নরকাসুরের সেনাপতি মুর। বিশালদেহী দৈত্য মুরের ছিল পাঁচটি মস্তক এবং বিপুল পরিমান বাহুবল। স্বভাবে তিনি ছিলেন প্রলয়কালীন সূর্যাগ্নির মত দীপ্তিশালী, ভীষণ ও দুর্ধর্ষ।  তো মুরাসুর প্রথমে ত্রিশুল ও পরে গদা ছুড়ে মারেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে লক্ষ্য করে। তবে শ্রীভগবান তার নিক্ষেপিত এসকল অস্ত্র শস্ত্র বাণ প্রয়োগ করে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেন। মুরের নিক্ষেপিত অস্ত্রগুলো আঘাত হানতে ব্যর্থ হচ্ছে দেখে এবার তিনি তার পর্বতের মত বাহু উচিয়ে আক্রমণ করতে উদ্যত হলেন। তবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে আক্রমণ করার আগেই তিনি তার সুদর্শন চক্র দ্বারা তার পঞ্চমস্তক ছেদন করে দেন। এবং এই মুর রাক্ষসকে বধ করার কারনেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরেক নাম হয়েছিল মুরারী।

যাইহোক, মুরাসুরের মৃত্যুর পর তার ৭ পুত্র পীঠ নামক সেনাপতিকে সামনে রেখে যুদ্ধে হাজির হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিরুদ্ধে। তবে এবারও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার গদা, বাণ ও সুদর্শন চক্র প্রয়োগ করে মুরের ৭ পুত্র সহ পীঠকে বধ করেন।

নরকাসুর ও শ্রীকৃষ্ণ

প্রবল শক্তিশালী অসুরগণ ও সেনাপতির মৃত্যুর পর অগণিত মদস্রাবী হস্তির পালে আরোহণ করে এবং অসংখ্য বীর অসুরদেরকে সঙ্গী করে শ্রীকৃষ্ণের সামনা সামনি হলেন নরক। যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হয়েই গরুড়ের পৃষ্ঠে বিরাজমান কৃষ্ণ ও সত্যভামাকে দেখে শতঘ্নী নামক অস্ত্র দ্বরা প্রহার করেন তিনি। প্রত্যুত্তরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার বিচিত্র পক্ষযুক্ত বাণ দ্বারা শতঘ্নীকে প্রতিহত করেন এবং সেই বাণ দ্বারাই তিনি তার সৈন্যদের বাহু, গ্রীবা, উরু ও দেহসমূহকে ছেদন করে বধ করেন।

এদিকে গরুড় তার পাখা, ঠোট ও নখ দ্বারা অশ্ব ও হস্তীর পালকে এমনভাবে আহত করলেন যে, তারা দলে দলে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালায়ন করতে শুরু করল। নিজ বাহনদের পালায়ন করতে দেখে গরুড়দেবের উপরে চড়াও হলেন নরকাসুর। তিনি গরুড়দেবের উপরে বজ্র প্রতিরোধী শক্তি দ্বারা প্রহার করলেন বটে তবে তার অস্ত্র গরুড়দেবকে নিবৃত্ত করতে সফল হল না।

আরও পড়ুনঃ  অপ্সরাদের অজানা ও গোপন কথা || উর্বশী, রম্ভা, মেনকা, তিলোত্তমা, ঘৃতাচী || Apsaras- Water Nymphs ||

অগত্যা, তিনি শূল হাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে আক্রমণ করতে উদ্যত হলেন। নরকাসুরকে শূল হাতে শ্রীকৃষ্ণের দিকে ধেয়ে আসতে দেখে চিন্তিত হলেন মাতা সত্যভামা। তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “অতি সত্ত্বর এই দুষ্টকে বধ করো”। সত্যভামার এই নির্দেশের অপেক্ষায়ই ছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তাই সত্যভামার আজ্ঞামাত্রই বিন্দুমাত্র কাল বিলম্ব না করে শ্রীকৃষ্ণ তার সুদর্শন চক্র দ্বারা শিরোচ্ছেদ করে দেন করে দেন নরকাসুরের।

তবে কোন কোন গ্রন্থের বর্ণনামতে, নরকাসুরের সাথে যুদ্ধকালে নরকাসুরের অস্ত্রের আঘাতে মূর্ছিত হয়ে পড়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। আবার কোন কোন মতে যুদ্ধক্ষত্রে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মূর্ছিত হওয়ার ভান করেছিলেন যাতে মাতা সত্যভামা নরকাসুরকে বধ করার জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নেন। যাইহোক, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মূর্চ্ছা গেলে মাতা সত্যভামা তীর ধণুক দিয়ে যুদ্ধ শুরু করেন নরকাসুরের বিরুদ্ধে। এবং এক পর্যায়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জ্ঞান ফিরে পেয়ে তার সুদর্শন চক্র দ্বারা বধ করেন মহা অত্যাচারী অসুর নরকাসুরকে।

নরকাসুর বধের পরে

নরকাসুরের মৃত্যুর পর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার দুর্গ থেকে দেবমাতা অদিতির কুণ্ডল জোড়া উদ্ধার করে মাতা অদিতিকে ফেরত দেন,  বরুণদেবের ছত্র উদ্ধার করে পুনরায় বরুণদেবকে অর্পণ করেন, দেব বিহার স্থলী মণি পর্বত পুনরায় দেবতাদেরকে সোপর্দ করেন, বিভিন্ন স্থান থেকে নরকাসুর কর্তৃক অপহৃত ১৬১০০ কন্যাকে মুক্ত করে দ্বারকায় প্রেরণ করেন, নরকাসুরের পুত্র ভগদত্ত্বকে প্রাগজ্যোতিষপুরের রাজা নিযুক্ত করেন এবং দেবরাজ ইন্দ্রের নন্দন কানন থেকে পারিজাতের বৃক্ষ উৎপাটন করে দ্বারকায় ফিরে আসেন। সেই পারিজাতের বৃক্ষ পরবর্তীতে শোভা পেয়েছিল মাতা সত্যভামার গৃহকাননে।

শ্রীকৃষ্ণের ১৬১০০ পত্নী

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে নরকাসুরের দুর্গে বন্দিনী ১৬১০০ জন কন্যার জীবন হয়ে পড়েছিল স্থবির। তাদেরকে নরকাসুর স্পর্শ করেছে এই কলঙ্কে তারা ছিল বিহ্বল। তাই এই কন্যাগণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে পতিরূপে প্রার্থনা করেছিলেন। আর ভগবান শ্রীকৃষ্ণও তাদের দুর্দশা অনুধাবন করে  ১৬১০০ আলাদা আলাদা মূর্তি ধারণ করে তাদেরকে বিবাহ করেন।

দীপাবলির ইতিহাস

আর নরকাসুরকে বধ করে দ্বারকায় ফিরে আসার পর দ্বারকার প্রজারা খুশিতে সারা রাজ্যে জ্বেলে দিয়েছিলেন আলোকশিখা। সেই আলোক প্রজ্জ্বলনের অনুষ্ঠান আজকের দীপাবলী উৎসবের এক অন্যতম প্রধান কারন। আবার দক্ষিণ ভারতের মান্যতা অনুসারে, মৃত্যুর আগে নরকাসুর ক্ষমা প্রার্থনা করে তার মৃত্যু উপলক্ষে আলোর উৎসব উদযাপন করতে অনুরোধ করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও মাতা সত্যভামাকে। সেইকারনেই নরক চতুর্দশীতে দীপাবলির আলোয় আলোকিত হয় দক্ষিণ ভারত। যাইহোক, এই ছিল নরকাসুরের কাহিনী যিনি এতটাই দুর্গাভা ছিলেন যে স্বয়ং তার পিতা-মাতার হাতেই বধিত হতে হয়েছিল তাঁকে।

Rate this post

Leave a Comment

error: Content is protected !!