দধীচি মুনির আত্মত্যাগের কাহিনী শুনেছেন কি? সনাতন ধর্মের প্রধান প্রধান মূলনীতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পরের হিতার্থে আত্মত্যাগ। যুগে যুগে বহু মুনি ঋষি ও অবতারগণ তাদের মহান আত্মত্যাগের আদর্শ স্থাপন করে গেছেন পার্থিব কল্যানের জন্য। তাদের সেই মহান ত্যাগ আমাদের জন্য বয়ে এনেছে সুমিষ্ট ফল। আজ তেমনই একজন মহান আত্মত্যাগকারী বৈদিক ঋষির কাহিনী আলোচনা করতে চাই আমরা।এই মহর্ষির নাম দধীচি। দেবরাজ ইন্দ্রের অস্ত্র হিসেবে যে বজ্রকে আমরা জানি, তা আসলে এই মহামুনির অস্থি বা হাড় দিয়েই নির্মিত হয়েছিল। আসুন জেনে নেওয়া যাক মহর্ষি দধীচির প্রকৃত পরিচয়, জীবনাদর্শ ও তাঁর মহান আত্মত্যাগের কাহিনী।
দধীচি কে?
বিখ্যাত সংস্কৃত পণ্ডিত পাণিনির মতে দধীচি বা দধ্যাংশ শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে সংস্কৃত দধ্য তথা দই ও অংশ শব্দযুগলের মিশ্রণে। এর অৰ্থ হল ‘যার দেহ দধ্য তথা দৈ বা দধি থেকে শক্তি আহরণ করেছে। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে যার শরীর শুধুমাত্র দধি ভোজন করে সৃষ্টি হয়েছে তিনিই হচ্ছে দধীচি।
দধীচি মুনির পিতা ছিলেন অথর্বন ও মাতা ছিলেন চিত্তি। উল্লেখ্য ঋষি অথর্বন ও ঋষি আঙ্গিরস মিলে রচনা করেছিলেন অথর্ববেদ। এই কারনে অথর্ববেদের আরেক নাম অথর্বাঙ্গিরস। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতিতে অথর্ববেদের অবদান ছিল সঞ্জীবনী শক্তির মত। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে এই অথর্ববেদের যে অংশে প্রাচীন ভারতীয় তথা বৈদিক যুগের চিকিৎসা পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে সেটি হচ্ছে আজকের আয়ুর্বেদ।
পুরাণ বলছে মহর্ষি দধীচির আশ্রম ছিল নৈমিষারণ্যে। অর্থাৎ, বর্তমান ভারতের উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ এর নিকট মিশ্রিখে স্থাপিত হয়েছিল তাঁর আশ্রম। তবে গুজরাটের মানুষ দাবী করেন তাঁর আশ্রম ছিল শবরমতী নদীর তীরে। আবার মহারাষ্ট্রের মানুষ মনে করেন মহর্ষি দধীচির আশ্রম ছিল নাসিকে। তবে গবেষক গন বলছেন, মহর্ষি দধীচি ছিলেন বৈদিক যুগের একজন মহান সমাজ সংস্কারক এবং মারাত্নক সব কুসংস্কারের বিনাশকারী। পুরাণমতে, তিনিই পৃথিবীতে প্রথম আগুন এনেছিলেন এবং মানুষকে আগুন জ্বালানো শিখিয়েছিলেন। তাঁর দেখানো পথ অনুসরন করে বহু মানুষ খুঁজে পেয়েছিলেন আলোকের সন্ধান। তাঁর এই সমাজ সংস্কারের মানসিকতা থেকেই তিনি পরিভ্রমণ করেছিলেন বহু দেশ ও বহু স্থান। একারনে, ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর আশ্রম থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। এছাড়াও, বৰ্তমান রাজস্থান এ বসবাস করা দধীচ ব্ৰাহ্মণ সম্প্ৰদায়ের মনুষ্যগন নিজেদেরকে ঋষি দধীচির বংশধর বলেও দাবী করে থাকেন ।
মহর্ষি দধীচির স্ত্রীর নাম নিয়েও দুইটি মত প্রচলিত। একটি মত বলছে, তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল স্বর্চা এবং আরেকটি মতে তাঁর স্ত্রী ছিলেন প্রাতিথেয়ী। তাঁর একমাত্র পুত্রের নাম ছিল পিপ্পলাদ। এই পিপ্পলাদ এর নামেই অথর্বদেবের একটি শাখার নাম হয়েছে পৈপ্পলাদ।
দধীচিকে দেওয়া মহাদেবের তিন বর
এবার মহর্ষি দধীচির আত্মত্যাগের কাহিনীটি জেনে নেওয়া যাক। পুরাকালে গহীন নৈমিষারণ্যে বাস করতেন মহর্ষি দধীচি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বলিষ্ঠ, সুদর্শন এবং ভগবদভক্ত কঠোর তপস্বী। এই শিবোপাসক সাধক বিবিধ শাস্ত্র অধ্যয়ন করে অশেষ জ্ঞানের অধিকারী হয়েছিলেন। বনের গহীনে মৃত্তিকা নির্মিত নির্জন কুটিরে ছিল তাঁর বসবাস। দেবাদিদেব মহাদেবকে সন্তুষ্ট করে তিনি লাভ করেছিলেন তিন তিনটি বর।
মহাদেব তাঁর প্রিয় ভক্তকে প্রথম বর দিয়েছিলেন, পান্ডিত্য ও স্বভাবে তুমি এমনই এক পর্যায়ে পোঁছবে যে জীবনে কেউ কোথাও কখনও তোমাকে অপমান করতে পারবে না।
ত্রিদেবের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল দেবতা-দানব-মানব নির্বিশেষে এবং অনেকক্ষেত্রে অপাত্রে একটি বর প্রদান করে প্রায়শই স্বর্গরাজ্যে হুলস্থুল ফেলে দিতেন। এই বিশেষ বরদানটি ছিল অমরত্ব প্রদান। কিন্তু এক্ষেত্রে সঠিক মানুষকেই বর দিলেন দেবাদিদেব মহাদেব, অর্থাৎ দধীচিকে দেওয়া তাঁর ২য় বরটি ছিল দধীচি স্বয়ং না চাইলে তাঁর মৃত্যু হবে না। অর্থাৎ তাঁর মৃত্যু হবে তাঁরই ইচ্ছাধীন।
তৃতীয় যে বর দিলেন দেবাদিদেব মহাদেব, তা কখনও কাউকে এর আগে বা পরে দেননি। মোক্ষম এই বরে দধীচির অস্থি তথা হাড় হয়ে উঠলো হিরকের চেয়েও শক্ত, কঠিন, এবং অপরাজেয়।
বৃত্তাসুরের উত্থান
অন্যদিকে বৃত্তাসুর নামের এক মহা পরাক্রমশালী অসুরের উত্থান ঘটল অসুরলোকে। তিনি তার কঠোর তপস্যায় তুষ্ট করে ফেলেছিলেন স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেবকে। প্রসন্ন শিব তাঁর কাছে জানতে চাইলেন “কি বর চাও তুমি?”। বৃত্তাসুর চেয়েছিলেন অমরত্ব। কিন্তু দেবাদিদেব মহাদেব তাকে সরাসরি অমরত্ব প্রদান না করে, তাকে বর দিয়েছিলেন, “হে বৎস, আমি আমি তোমাকে বর প্রদান করছি, কোন কাষ্ঠ বা ধাতব নির্মিত অস্ত্রে তোমার মৃত্যু হবে না।” সুতারাং, বৃত্তাসুর এক প্রকার অমরত্বের বরই পেলেন মহাদেবের কাছ থেকে। কারন, দেবতা দানব মানব সকলের অস্ত্রই ধাতু অথবা কাষ্ঠ দ্বারা নির্মিত হয়।
বর প্রাপ্তির পর ত্রিলোক অবলোকন করল বৃত্তাসুরের আসল চেহারা। তাঁর অমানবিক ও নিষ্ঠুর অত্যাচারে প্রকম্পিত হল ত্রিলোক। স্বর্গ মর্ত্ত্য ও পাতালে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠল চারিদিক থেকে। এক পর্যায়ে এই মহাবলশালী অসুর আক্রমন করে বসলেন স্বর্গরাজ্যেও। স্বর্গের দেবতারা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেন সেই দুর্দন্ড প্রাতাপশালী অসুরকে। কিন্তু তাদের সকল প্রকার অস্ত্রশস্ত্র তৃণসম আঘাত হানতেও ব্যার্থ হল বৃত্তাসুরের বিরুদ্ধে। যুদ্ধক্ষেত্রে নজিরবিহীন তান্ডবের দামামা বাজিয়ে বিজয়রথে অগ্রসর হলেন বৃত্তাসুর। ফলশ্রুতিতে দেবগন হলেন পরাজিত এবং স্বর্গরাজ্য থেকে নিষ্কাশিত ও বিতাড়িত।
স্বর্গরাজ্যের পতন ঘটলে দেবতারা বিভিন্ন ছদ্মবেশে ঘুরতে লাগলেন ত্রিলোকের বিভিন্ন প্রান্তে। বৃত্তাসুরকে পরাজিত করার কোন উপায় না দেখে দেবতারা সম্মিলিত হয়ে দ্বারস্থ হলেন শিবের। রাজ্যহারা, স্বর্গহারা দেবতাদের আকুতিভরা স্তব শুনে চোখ খুললেন ধ্যানরত শিব। দেবতারা আকুল হয়ে তাকে জানালেন তাদের দুর্দশার কথা, বৃত্তাসুরের দুর্বৃত্তায়নের কথা। প্রার্থনা করলেন, “হে দেবাদিদেব, বৃত্তাসুরকে বধ করে সৃষ্টির ভারসম্য ফিরিয়ে আনুন।”
দেবাদিদেব বললেন, “হে দেবগন, বৃত্তাসুর আমার দেওয়া বরেই বলীয়ান হয়ে আজ এই অনাসৃষ্টি শুরু করেছে। কিন্তু আমি নিজেই যেহেতু তাকে জীবন রক্ষার বরদান দিয়েছি, তাই আমার পক্ষে তাকে বধ করা বা তাঁর বিনাশের পথ দেখানো অনুচিত হবে। তাই আপনারা বিষ্ণুলোকে নারায়নের নিকট গমন করুন। তার অনুগ্রহেই আপনাদের অভীষ্ট পূর্ণ হবে।”
ব্যাথিত দেবতারা মহাদেবের আজ্ঞানুসারে পদার্পন করলেন বিষ্ণুলোকে। এরপর কাতর ভাবে শুরু শ্রীনারায়নের স্তব স্তুতি। দেবগণের আকুতিতে নারায়নও সন্তুষ্ট হলেন। সম্মুখে আবির্ভুত হয়ে তিনি দেবতাদেরকে আশ্বাস দিয়ে বললেন, “হে দেবগন, আপনাদের বর্তমান অস্ত্রশস্ত্রে বৃত্রাসুরকে যে বধ করা অসম্ভব, এটা আপনারা ইতিমধ্যেই অনুধাবন করেছেন। কিন্তু তাই বলে সৃষ্টির বিনাশ সাধনকারী এবং পাপগ্রস্থ কোন অসুরই অবধ্য নয়। আপনারা মহর্ষি দধীচির কাছে যান, তিনি পরোপকারী এবং ত্যাগী। তাঁর অস্থি দিয়ে আপনাদেরকে নির্মান করতে হবে বজ্রাস্ত্র। সেই প্রচন্ড শব্দকারী বজ্র দ্বারা আঘাত করলে নিহত ও পরাজিত হবে বৃত্তাসুর।”
শ্রীনারায়নের পরামর্শে যেন আলোর দিশা খুঁজে পেলেন দুর্দশাগ্রস্থ দেবতাগন। কিন্তু একজন মুনির অস্থি পেতে হলে তাঁর আগে তাকে প্রাণত্যাগ করতে হবে। দধীচি কেনই বা তাদের জন্য প্রাণত্যাগ করবেন এবং তারাও বা কিভাবে মুনিকে প্রাণত্যাগ করার আবদার করতে পারেন? এরকম নানাবিধ সংকোচ নিয়ে দেবতাগন হাজির হলেন মহর্ষি দধীচির পর্ণকুটিরে।
মহর্ষি দধীচির মহানুভবতা
মহর্ষি দধীচি তাঁর আশ্রমে ধ্যানমগ্ন এবং নয়ন মুদ্রিত অবস্থায় ছিলেন। হঠাৎ তাঁর কুটিরে দেবতাদের আগমনে ধ্যনভঙ্গ হল তাঁর। দেবতাদের উপস্থিতিতে দধীচি অত্যান্ত আনন্দিত হয়ে তাঁদের পরম সমাদরে অভ্যর্থনা করলেন। তারপর দেবতাদেরদেরকে অতিথি জ্ঞান করে বনের সুমিষ্ট ফল এবং গোদুগ্ধজাত বিভিন্ন প্রকার সুখাদ্য দিয়ে যথাসাধ্য আপ্যায়নও করলেন তিনি। কিন্তু মহর্ষি দধীচির মত দেবগন ততটা উৎফুল্ল ছিলেন না। দধীচির এমন আপ্যায়নেও তাদের মলিন মুখমণ্ডলে খুশির বা সৌজন্যবোধের কোন চিহ্ন দেখতে পেলেন না তিনি। অতঃপর মুনি দেবতাদের তাঁর পর্ণকুটিরে পদার্পণের হেতু জানতে চাইলেন। তখন দেবরাজ ইন্দ্র সরাসরি তাঁর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বললেন, “হে মুনিবর। আমরা বিষ্ণুলোক থেকে এসেছি।”
মুনি দধীচি বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা করলেন, “বেশ তো। থামলেন কেনো দেবরাজ? নিশ্চই ভগবান শ্রীহরি আপনাদের মাধ্যমে কোন সংবাদ আমাকে প্রেরণ করেছেন। বলুন কি সেই নির্দেশ?” দেবরাজ ইন্দ্র প্রচণ্ড সংকোচে মুনির প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারলেন না। মুনি তখন দেবতাদেরকে অভয় দিয়ে বললেন, “হে দেবগন, আমি পরহিতব্রতের সংকল্প করেছি। আপনাদের জন্য আমার কিছু করনীয় থাকলে তা নিঃসংকোচে আমাকে বলুন।”
দেবরাজ ইন্দ্র এবার সসংকোচে বললেন, “হে মুনি বর, আমরা দেবতারা বৃত্তাসুর নামক এক ভয়ংকর অসুরের কাছে পরাজিত ও লাঞ্ছিত হয়ে স্বর্গরাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়েছি। বৃত্তাসুর দেবাদিদেবের কাছ থেকে এই মর্মে বর প্রাপ্ত যে, কোন সাধারন অস্ত্র তথা কাষ্ঠ বা ধাতব নির্মিত কোন অস্ত্র দিয়ে তাকে নিধন করা সম্ভব নয়। তাই বিষ্ণুর নির্দেশে আমরা আপনার শরণাপন্ন হয়েছি। শ্রীহরি বৃত্তাসুরকে পরাজিত ও নিহত করার একটাই মাত্র উপায় বলেছেন। সেই উপায়টি হচ্ছে আপনার হীরকের মত কঠিন অস্থি দিয়ে বজ্র নির্মান করে বৃত্তাসুরকে আঘাত করলেই তাঁর বিনাশ সাধন সম্ভব হবে।” একথা বলেই মস্তক অবনত করে মৌন হয়ে রইলেন দেবরাজ ইন্দ্র।
মহর্ষি এবার পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারলেন দেবতাদের প্রকৃত অভিপ্রায়। তিনি দেবতাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন, “হে দেবগণ, আমি আপনাদের সংকোচের কারন এতক্ষণে বুঝতে পারলাম। কিন্তু এখানে আপনাদের সংকোচের কোন কারন নেই। আমার এই নশ্বর দেহ তো একদিন নষ্ট হবেই। আমার সামান্য নশ্বর দেহের এই অস্থি দিয়ে যদি জগতের কল্যাণ হয়, তাহলে এই মহৎকার্যে এর বিনাশ হওয়াই ভালো।” একথা বলে মুনি দধীচি দেবতাদের সম্মুখে যোগবলে তাঁর নশ্বর দেহ ত্যাগ করে স্বর্গলোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন। দেবতারাও মহর্ষি দধীচির এই অতি বিরল আত্মত্যাগে ধন্য ধন্য করতে লাগলেন।
এরপর দধীচির দেহের অস্থি দিয়ে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা নির্মান করলেন বজ্র নামক অস্ত্র। সেই প্রচণ্ড ক্ষমতাসম্পন্ন বজ্রের আঘাতে দেবতারা পরাজিত ও নিহত করলেন বৃত্তাসুরকে। সৃষ্টি ফিরে পেল তাঁর স্বাভাবিক ছন্দ, অত্যাচারের নরককুম্ভ থেকে মুক্ত হল সমগ্র ত্রিলোক। আর সেই থেকে মহর্ষি দধীচির মহান আত্মত্যাগ চিরভাস্মর হয়ে রইল দেবতা ও মানব সমাজে।
শুধু তাই নয় মহর্ষির জীবদ্দশায়ও তাঁর প্রচুর কর্মকাণ্ড মানুষের বিবেককে জাগ্রত করেছে, পথ দেখিয়েছে। প্ৰজাপতি দক্ষের আয়োজিত দক্ষযজ্ঞে মহাদেবকে আমন্ত্ৰণ না জানানোর জন্য ঋষি দধীচি প্ৰথম ব্যক্তি হিসেবে সেই যজ্ঞ ত্যাগ করেছিলেন । বলা হয়, আজ আমরা সংকট বিনাশের জন্য যে ‘নারায়ণ কবচ’ মন্ত্ৰ জপ করি সেই মন্ত্র রচনা করেছিলেন এই মহাজ্ঞানী ঋষি। পাশাপাশি, দেবী হিঙ্গলাজের আরাধনার মন্ত্ৰসমূহও রচিত হয়েছিল মহর্ষি দধীচির হাতেই। পুরাণ বলছে, পরশুরাম যখন সকল ক্ষত্ৰিয় নিধন করছিলেন, সেই সময় ঋষি দধীচি তাঁর পরহিতব্রতের অংশ হিসেবে কিছু নির্দোষ ক্ষত্ৰিয় সন্তানকে হিঙ্গলাজ দেবীর মন্দিরে লুকিয়ে রেখেছিলেন এবং দেবীর কৃপা ভিক্ষা করে তাদেরকে রক্ষা করেছিলেন। মহামুনি দধীচির এই চিরস্মরনীয় কর্মকান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ভারত সরকার ১৯৮৮ সালে তাঁর ছবি সম্বলিত একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে যা আপনারা অনেকেই দেখে থাকবেন।
আমাদের সাথে ফেসবুক ও ইউটিউবে যুক্ত হতে ক্লিক করুনঃ
ফেসবুকঃ এখানে ক্লিক করুন
ইউটিউবঃ এখানে ক্লিক করুন