রামায়ণের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কে কত টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন?

আজ থেকে ৩৭ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৮৭ সালের জানুয়ারী মাসের ২৫ তারিখে ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের ইতিহাসে ঘটে গিয়েছিল এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এদিন প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রথমবারের মত দুরদর্শনে প্রচারিত  হয়েছিল মহাকাব্য রামায়ণের প্রথম পর্ব। আর এই অসাধ্য সাধন ঘটিয়ে দেখিয়েছিলেন বিখ্যাত টিভি সিরিয়াল পরিচালক রামানন্দ সাগর। দেশব্যাপী কোটি কোটি দর্শকের হৃদয়ে একটি স্থায়ী স্থান দখল করে নিয়েছিল এই মহাকাব্যিক এবং পৌরাণিক সিরিয়ালটি। জানা যায়, এই সিরিয়াল চলার সময় ভারতবর্ষের রাস্তাঘাট হয়ে যেত জনশূন্য, দোকানপাট বন্ধ হয়ে যেত এবং মানুষ প্রথমে স্নান করে টেলিভিশন সেটে মালা পরাতেন এবং এরপর এই সিরিয়ালটি দেখা শুরু করতেন। আজ জানাবো রামানন্দ সাগর কর্তৃক নির্মিত এই পৌরাণিক সিরিয়ালটিতে যারা অভিনয় করেছিলেন তাঁরা পারিশ্রমিক হিসেবে কে কত টাকা পেয়েছিলেন। উল্লেখ্য এই সিরিজে ভগবান শ্রীরাম চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছিলেন তিনি হচ্ছেন অরুণ গোভিল। আপনি জেনে আশ্চর্য হবেন রামায়ণ সিরিয়ালের জন্য অডিশান দিয়ে প্রথমে বাদ পড়েছিলেন তিনি, এবং তিনিই পরবর্তীতে এই সিরিয়ালে অভিনয় করার জন্য সর্বোচ্চ পরিমানে পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন।

রামানন্দ সাগর পরিচালিত রামায়ণ সিরিয়ালের একটি দৃশ্য
রামানন্দ সাগর পরিচালিত রামায়ণ সিরিয়ালের একটি দৃশ্য

১. মন্থরাঃ ললিতা পাওার

রামায়ণের মূল কাহিনীর পটপরিবর্তন ঘটেছিল যে কূট চরিত্রের হাত ধরে সেটি হচ্ছে মন্থরা। রাজা দশরথের ২য় স্ত্রী কৈকেয়ী তাঁর পিত্রালয় থেকে অযোধ্যায় এনেছিলেন এই কুমন্ত্রণাদানকারী চরিত্রটিকে। এবং কৈকেয়ীকে দেওয়া তাঁর কুমন্ত্রণার ফলেই রাজ্যপাট ত্যাগ করে বনবাসে যেতে হয়েছিল রাম-লক্ষ্মণ ও সীতাকে। রামায়ণের এই নেতিবাচক মন্থরা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ললিতা পাওয়ার নামের এই গুণী অভিনেত্রী। এবং এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য তিনি ৮ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন।

মন্থরা (ললিতা পাওয়ার)
মন্থরা (ললিতা পাওয়ার)

২. অঙ্গদঃ বশির খান

বানররাজ বালির পুত্র এবং সুগ্রীবের ভ্রাতুষ্পুত্র অঙ্গদ এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন লঙ্কায় মাতা সীতাকে খুজে বের করতে। এবং পরবর্তীতে রাবণের রাক্ষস বাহিনীর সাথে যুদ্ধেও বীরোচিত রণনৈপুণ্য প্রদর্শন করেছিলেন তিনি। রামানন্দ সাগরের রামায়ণে এই অঙ্গদ চরিত্রটিকে রূপদান করেছিলেন একজন মুসলিম অভিনেতা। তাঁর নাম বশির খান। এই চরিত্রে তিনি এতটা নিখুত অভিনয় করেছিলেন যে, বশির খান আজও মানুষের মনে অঙ্গদ রূপে স্থান দখল করে রেখেছেন। সূত্র জানাচ্ছে, অঙ্গদ চরিত্রে অভিনয় করে ৮ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন এই কালজয়ী অভিনেতা।

আরও পড়ুনঃ  বর্বরিকঃ কৃষ্ণকে মস্তক উৎসর্গকারী শ্রেষ্ঠ ধনুর্বিদ || খাটু শ্যামের কাহিনী ||
অঙ্গদ (বশির খান)
অঙ্গদ (বশির খান)

৩. ইন্দ্রজিৎঃ বিজয় আরোরা

সনাতন শাস্ত্রমতে এযাবতকালে পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া যোদ্ধাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছেন রাবণপুত্র মেঘনাদ। আমাদের পৌরাণিক ইতিহাসে তিনিই একমাত্র অতিরথী শ্রেনীর যোদ্ধা এবং ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর ব্যাতীত অন্য কেউই যুদ্ধবিদ্যায় তাঁর সমকক্ষ নন। রামায়ণের এই বলিষ্ঠ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শক্তিমান অভিনেতা বিজয় আরোরা। এই চরিত্রে তাঁর রূপদান এতটাই বাস্তবসম্মত ছিল যে, ভারতবর্ষের মানুষ আজও ইন্দ্রজিৎ হিসেবে তাকেই স্মরণ করে থাকেন। এবং ইন্দ্রজিৎ এর এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন বিজয় আরোরা।

ইন্দ্রজিৎ (বিজয় আরোরা)
ইন্দ্রজিৎ (বিজয় আরোরা)

৪. মাতা কৌশ্যল্যাঃ জয়শ্রী গড়কার

রাজা দশরথের প্রথমা স্ত্রী এবং ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের মাতৃদেবী ছিলেন মাতা কৌশল্যা। বহু পূন্যবল সঞ্চয়ের পরেই স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর অবতারকে মর্ত্যে জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। আর রামানন্দ সাগরের রামায়ণে মাতা কৌশল্যার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন জয়শ্রী গড়কার নামের এই অভিনেত্রী। রাজা দশরথের পতিব্রতা স্ত্রী এবং ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের মমতাময়ী মাতা হিসেবে তাঁর অভিনয় ছিল অতুলনীয়। এবং এই চরিত্রে রূপদান করার জন্য তিনি ১২ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন।

কৌশল্যা (জয়শ্রী গড়কার)
কৌশল্যা (জয়শ্রী গড়কার)

৫. সুগ্রীবঃ শ্যাম সুন্দর

বানররাজ সুগ্রীব ছিলেন বানররাজ বালির ভ্রাতা। এই দুই ভ্রাতার মধ্যে শত্রুভাব বিরাজ করায় শ্রীরামচন্দ্র সুগ্রীবের পক্ষ অবলম্বন করেছিলেন। রামচন্দ্রের সাহায্যে সুগ্রীব বালিকে বধ করেন এবং কিষ্কিন্ধ্যার রাজপদে অভিষিক্ত হন। এবং পরবর্তীতে তাঁর সমগ্র বানর সেনা নিয়ে রাবণের রক্ষসবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। রামায়ণ সিরিয়ালে সুগ্রীব চরিত্রে অভিনয় করা এই অভিনেতার নাম শ্যাম সুন্দর। সুগ্রীব চরিত্রে নজড়কারা অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি মন জয় করেছিলেন ভারতবর্ষের কোটি কোটি দর্শকের। এবং এই চরিত্র রূপায়ণ করার জন্য ১২ লাখ টাকার পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি।

সুগ্রীব (শ্যাম সুন্দর)
সুগ্রীব (শ্যাম সুন্দর)

৬. বিভীষনঃ মুকেশ রাওয়াল

রাক্ষসপুরীতে জন্ম নিয়েও যে শ্রীভগবানের ভক্ত হওয়া যায় এবং তাঁর চরণে ঠাই পাওয়া যায় তাঁর জলজ্যান্ত উদাহরণ হচ্ছেন বিভীষণ। লঙ্কাধিপতি রাবণের ভ্রাতা হয়েও তিনি রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর দাদার কৃত সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে। এবং তাঁর সাহায্য ছাড়া মাতা সীতাকে উদ্ধার তথা রাক্ষসরাজ রাবণকে যুদ্ধে পরাজিত করা স্বয়ং শ্রীরামচন্দ্রের পক্ষেও কষ্টসাধ্য। রামায়ণের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রটিতে রূপদান করেছিলেন মুকেশ রাওয়াল নামের এই গুণী অভিনেতা। এবং এই চরিত্রে রূপদান করার জন্য তাকে ১৪ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  দুর্যোধন ও শকুনির সাথে পাশা খেলার সময় ভগাবান শ্রীকৃষ্ণ কেন পান্ডবদের রক্ষা করলেন না?
বিভীষণ (মুকেশ রাওয়াল)
বিভীষণ (মুকেশ রাওয়াল)

৭. মাতা সীতাঃ দীপিকা চিখলিয়া

রাম রাবণের যুদ্ধ যাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছে তাঁর নাম সীতা। মিথিলার রাজকুমারী থেকে অযোধ্যার পুত্রবধূ, ভাগ্যের ফেরে ১৪ বছর স্বামীর সাথে বনবাস, এবং বনবাসে গিয়েও রাক্ষসরাজ রাবণের দ্বারা অপহৃত হয়ে অশোক কাননে বেদনাতুর জীবন যাপন। এই ছিল মাতা সীতার জীবনের বিষয়বস্তু। আর এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল দীপিকা চিখলিয়া নামের এই অভিনেত্রীকে। তাঁর সৌম্যতা এবং অভিনয় নৈপুণ্যে মাতা সীতার চরিত্র ফুটে উঠেছিল নিখুঁতভাবে। আর তাই আজও দেবী সীতার রূপ কল্পনা করতে গিয়ে ভারতবর্ষের মানুষ তাঁর চেহারাকেই স্মরণ করে থাকেন। এবং এই সিরিজে অভিনয় করার জন্য তিনি ২০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে লাভ করেছিলেন।

সীতা (দীপিকা চিখলিয়া)
সীতা (দীপিকা চিখলিয়া)

৮. লক্ষ্মণঃ সুনীল লেহেরি

ভগবান শ্রীবিষ্ণুর সাথে অবতার ধারণ করেছিলেন শ্রীবিষ্ণুর শয্যা হিসেবে নিয়োজিত থাকা শেষনাগ। বলাই বাহুল্য শ্রীরামচন্দ্রের প্রাণের ভ্রাতা লক্ষ্মণই হচ্ছেন শেষনাগের সেই অবতার। দাদার জন্য নিজের বনবাস স্বীকার করা, দাদার সেবাকে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য ভেবে নেওয়া এবং সর্বশেষ মেঘনাদকে বধ করার কারনে রামায়ণের একটি মুখ্য চরিত্র হচ্ছে লক্ষ্মন। রামায়ণ সিরিয়ালে লক্ষ্মণের চরিত্রে রূপদান করেছিলেন সুনীল লেহেরি নামের এই অভিনেতা। তাঁর সুনিপুন অভিনয় লক্ষ্মণের চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলেছিল টেলিভিশনের পর্দায়। এবং এই অসাধারন অভিনয় নৈপুন্য প্রদর্শন করার জন্য তিনি ২৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।

লক্ষ্মণ (সুনীল লেহেরি)
লক্ষ্মণ (সুনীল লেহেরি)

৯. রাবণঃ অরবিন্দ ত্রিবেদী

ভগবান শিবের সর্বশ্রেষ্ঠ ভক্ত, চারটি বেদে সুপণ্ডিত, উৎকৃষ্ট বীণাবাদক, জ্যোতিষ শাস্ত্রের মহাজ্ঞানী এবং লঙ্কা রাজ্যের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী রাজা রাবণ ছিলেন রামায়ণের প্রধান খল চরিত্র। এতবড় পণ্ডিত ও ধর্মজ্ঞ হয়েও তাঁর জীবন ছিল পাপাচারে পরিপূর্ণ। এবং তাঁর পাপের ঘড়া পরিপূর্ণ হওয়ার পরে তাকে বধ করতে মানব রূপে জন্ম নিয়েছিলেন ভগবান শ্রীরামচন্দ্র। রামানন্দ সাগরের রামায়ণ সিরিয়ালে বারণের বহুল আলোচিত চরিত্র রূপায়ণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল অরবিন্দ ত্রিবেদী নামক এই তুখোড় অভিনেতাকে। তাঁর অভিনয় নৈপুণ্যে জীবন্ত হয়ে উঠেছিল রামায়ণের ভয়ংকর রাক্ষস রাবণ। এবং তাঁর এই অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তাকে তৎকালীন ৩০ লাখ রুপী পারিশ্রমিক প্রদান করা হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  কর্ণ এবং অর্জুনের শত্রুতা কোন জন্মের? তাদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ? Karna Vs Arjun
রাবণ (অরবিন্দ ত্রিবেদী)
রাবণ (অরবিন্দ ত্রিবেদী)

১০. হনুমানঃ দারা সিং

ভগবান শিবের অবতার হিসেবে বানরকুলে জন্ম নিয়েছিলেন ভগবান শ্রীরামের সর্বশ্রেষ্ঠ ভক্ত বীর হনুমান। কিষ্কিন্ধ্যায় জন্ম নিয়েও নিয়তির লেখনীতে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ ঘটে অযোধ্যার রাজকুমার ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের সাথে। এরপর ছায়ার মত ভগবান শ্রীরামের পাশে সর্বক্ষণ অবস্থান করতেন তিনি। মাতা সীতাকে খুজে বের করা, লক্ষ্মণের জীবন রক্ষা করা এবং যুদ্ধভূমিতে তুমুল বীরত্ব প্রদর্শন করা হনুমান রামায়ণের একটি মূখ্য চরিত্র। আর এই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা দারা সিং। তাঁর বলিষ্ট অভিনয় দিয়ে তিনি স্থানলাভ করেছিলেন মানুষের মনে মণিকোঠায়। তাই আজও সংকটমোচন হনুমানের নাম স্মরণ করার সাথে সাথে তাঁর মুখমণ্ডল ভেসে ওঠে আমাদের মানসপটে। এবং এই ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য তিনি ৩৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে লাভ করেছিলেন।

হনুমান (দারা সিং)
হনুমান (দারা সিং)

১১. রামঃ অরুণ গোভিল

আদর্শ পুত্র, আদর্শ স্বামী, আদর্শ পিতা, আদর্শ ভ্রাতা, আদর্শ মিত্র এবং আদর্শ শাসক। এই কথাগুলো শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে পরিপূর্ণভাবে প্রযোজ্য।  আজ্ঞে হ্যাঁ তিনি আর কেউ নন স্বয়ং মর্যাদাপুরুষোত্তম শ্রীরামচন্দ্র। আর আমাদের এই আবেগের চরিত্রটিকে রূপদান করেছিলেন যে ভাগ্যবান অভিনেতা তিনি হচ্ছেন অরুণ গোভিল। ভগবান শ্রীরামের চরিত্রকে অরুণ গোভিল এতটাই প্রভাবিত করেছিলেন যে, আজও শ্রীরামচন্দ্রের অবয়ব কল্পনা করতে গিয়ে মানুষ অরুণ গোভিলের চেহারা কল্পনা করে থাকেন। এই চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ভারতবর্ষের দর্শকদের চোখে স্বয়ং ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের প্রতিভূ হিসেবে স্থাপিত হয়েছেন। মোটকথা তাঁর রূপায়িত রাম চরিত্রটি এতটাই প্রভাবশালী হয়েছিল যে আজও ভারতবর্ষের ঘরে ঘরে তাকেই রাম রূপে কল্পনা করা হয়ে থাকে। প্রভু শ্রীরামের এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য অরুণ গোভিল সর্বসাকুল্যে পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ৪০ লাখ টাকা। বলাই বাহুল্য, এটিই ছিল রামায়ণের চরিত্রাভিনেতাদের প্রাপ্ত পারিশ্রমিকের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমান।

রাম (অরুণ গোভিল)
রাম (অরুণ গোভিল)

যাইহোক, রামানন্দ সাগর নির্মিত রামায়ণের প্রত্যেক এপিসোড নির্মান করতে প্রায় ৯ লাখ টাকা ব্যয় করতে হত। কিন্তু মজার ব্যপার হল প্রত্যেক এপিসোড থেকে আয়ের পরিমান ছিল প্রায় ৪০ লাখ টাকা। আপনি শুনে অবাক হবে যে এই সিরিয়ালের মোট ৭৮ এপিসোড থেকে আয় হয়েছিল প্রায় ৩০ কোটি টাকা।

Rate this post

Leave a Reply