গীতার ১৮ টি নামের মাহাত্ম্য || Mahatmya of 18 Names of Shrimad Bhagwat Geeta
চলুন জেনে নিই গীতার ১৮ টি নামের মাহাত্ম্য কি। গীতার ১৮ টি নামের মাহাত্ব্য।
গঙ্গা – গঙ্গা হচ্চে পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র, তাই প্রত্যেক জীবের ক্ষেত্রে সকল পাপ বিনাশ করার জন্য গঙ্গা স্নান আবশ্যক । ধর্মীয় দৃষ্টিতে গঙ্গা স্নান একটি মন পবিত্র করার স্থান যেখানে মনের শুদ্ধতা লাভ করা যায় ।
গীতা -ধর্মীয় শাস্ত্র আনুযায়ি গীতা এমন একটি গ্রন্থ যা পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের জন্য জ্ঞান এর ভান্ডার। যে ব্যক্তি গীতা পাঠ করে তার জ্ঞান বৃদ্ধি এবং মনের সকল পাপ দূর হয়।
সাবিত্রী -সাবিত্রি ছিলেন একজন পবিত্র স্ত্রী। তিনি এমন পবিত্র ছিলেন যে মৃত্যু ও তার কাছে হার মেনেছে। যার পবিত্রতাই তিনি তার স্বামীকে মৃত থেকে জীবিত করেছেন। এবং তর এই পবিত্রতার কারণে তাকে গীতার আর এক নাম বলা হয়।
সীতা -মাতা সীতা ছিলেন লক্ষ্মী। রাবণকে ধংস করার জন্য সীতা রূপে ভগবান রামের স্ত্রী হয়ে এসেছিলেন , তিনি এতটাই পবিত্র ছিল যে, কোন রকম পরা শক্তি তর ক্ষতি করে পারেনি। তাই সীতা মাতার নাম গীতায় স্থান দেওয়া হয়েছে।
সত্ব্যা -সত্ব্যা বলতে পবিত্র আত্মাকে বোঝানো হয়েছে। একটি শুদ্ধ এবং পবিত্র আত্মাই পারে ঈশ্বরের সাথে লীন হতে।
পতিব্রতা -পতিব্রতা বলতে বুঝানো হয়েছে ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্য থেকে নিজের মনকে শুদ্ধ রাখা এবং সকল বিষয় বস্তু থেকে নিজেকে দূরে রাখা। কারন একমাত্র ঈশ্বর সকলের পতি আর আমরা সকলেই তার পত্নী হিসেবে রক্ষিত।
ব্রহ্মাবলী – ব্রহ্মাবলী বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে আগুনের থেকে অধিক শক্তিশালী। এবং আগুন অত্যন্ত পবিত্র এবং ব্রহ্মার সৃস্টি তাই ব্রহ্মাবলী হিসেবে গীতার আর এক নাম বলা হয়।
ব্রহ্মবিদ্যা– ব্রহ্মবিদ্যা হচ্ছে সবচেয়ে জ্ঞানের একটি আংশ এবং এর সাহায্যে অষ্টসিদ্ধির জ্ঞান লাভ করা যায়। ব্রহ্মবিদ্যাকে গীতায় স্থান দেওয়া হয়েছে।
ত্রিসন্ধ্যা – ব্রহ্মা, বিষ্ণু , মহেশ্বর এই তিনটি কালের সমষ্টিকে মহাকাল বলা হয়। আর এই মহাকালকে ত্রিসন্ধ্যা রূপে বিবেচনা করা হয়।
মুক্তিগ্রিহীনি– জীবের মুক্তির একমাত্র উপায় হল প্রতিনিয়ত গীতাপাঠ করা। সেজন্য এই মুক্তিগ্রিহীনি নামটি ব্যবহার করা হয়েছে।
অর্ধমাত্রা – গীতার জ্ঞান যার আছে তার তার কাছে সব বিপওি অর্ধ মনে হয়।
চিরানন্দা– গীতা পরলে বা শুনলে যে আনন্দ পাওয়া যায় তার ফলে মনের সব দুঃখ দূর হয় তাকেই চিরানন্দা বলা হয়।
ভবগ্নী-(ভব= পৃথিবী, অগ্নি= আগুন) এই পৃথিবীর সকল প্রকার অগ্নির মত দুঃখ, দুর্দশা ইত্যাদি গীতা পাঠের মাধ্যমে নিস্তার পাওয়া যায় । তাই গীতার আর এক নাম ভবগ্নী উল্লেখিত রয়েছে।
ভ্রান্তি নাশিনী– আমরা অধর্মের চিন্তায় যখন বিভ্রান্ত হয়ে যায় তখন একমাত্র গীতায় আমাদের ভ্রান্তি নাশ করতে পারে।
বেদত্রয়ী– ব্রহ্মা, বিষ্ণু,মহেশ্বর এই ত্রিবেদের সমন্নয়ে গঠীত শক্তিই হলো বেদত্রই।
পরানন্দা – অন্যের দোষ না দেখে তার ভাল দিক দেখার মধ্যে যে আনন্দ।গীতায় তার কথাই বলা হয়েছে।
তত্ত্বার্থ — সকল শাস্ত্রে যেই তত্ত্বের আলোচনা হয়েছে তার সরলার্থ এই গীতা।
জ্ঞানমঞ্জরী – প্রতিটা শব্দ যেন ফুলের মঞ্জরীর মতো জ্ঞান, তাই এর নাম জ্ঞানমঞ্জরী।
স্যার, পোষ্টির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! তো একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম ১৭ও১৮ নাম্বার নামটি নাম্বারিং করে আলাদাভাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার ফলে ২টি নামই একই রকম হয়ে গেছে কিন্তু অনেক ব্লগে দেখলাম নাম্বারিং ছারা ব্যাখ্যা করছে ফলে ১৭-১৮ নাম্বার নামটি একবার লিখে এর অর্থ ব্যাখ্যা করছে আর আরেকটি ব্লগে দেখলাম ওরা “(১৭-১৮) তথাস্তু ও জ্ঞানমঞ্জুরী-ব্যাখ্যা ” এভাবে লিখেছেন। স্যার, আমি আসলে বলতে চাছিলাম যে আপনারা যেভাবে লিখেছেন এক্ষেত্রে আসলে ১৭-১৮ নাম্বার নাম গুলো একই মনে হয় ফলে একটা কনফিউশন সৃষ্টি হয়, আমি বিশ্বাস করি যেহেতু আপনারা নিয়মিত ব্লগে পোষ্টকরেন সেহেতু এটা আপনারা আরও বোধগম্যতার সাথে লিখতে পারবেন কারন অনেক ক্ষেত্রেই আপনাদের পোষ্ট গুলোকে অনুসরন করা হয়। ধন্যবাদ, স্যার!
স্যার, পোষ্টির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! তো একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম ১৭ও১৮ নাম্বার নামটি নাম্বারিং করে আলাদাভাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার ফলে ২টি নামই একই রকম হয়ে গেছে কিন্তু অনেক ব্লগে দেখলাম নাম্বারিং ছারা ব্যাখ্যা করছে ফলে ১৭-১৮ নাম্বার নামটি একবার লিখে এর অর্থ ব্যাখ্যা করছে আর আরেকটি ব্লগে দেখলাম ওরা “(১৭-১৮) তথাস্তু ও জ্ঞানমঞ্জুরী-ব্যাখ্যা ” এভাবে লিখেছেন। স্যার, আমি আসলে বলতে চাছিলাম যে আপনারা যেভাবে লিখেছেন এক্ষেত্রে আসলে ১৭-১৮ নাম্বার নাম গুলো একই মনে হয় ফলে একটা কনফিউশন সৃষ্টি হয়, আমি বিশ্বাস করি যেহেতু আপনারা নিয়মিত ব্লগে পোষ্টকরেন সেহেতু এটা আপনারা আরও বোধগম্যতার সাথে লিখতে পারবেন কারন অনেক ক্ষেত্রেই আপনাদের পোষ্ট গুলোকে অনুসরন করা হয়। ধন্যবাদ, স্যার!