একাদশী তালিকা ১৪৩০ (২০২৩-২০২৪) | স্মার্ত, নিম্বার্ক ও গোস্বামী মতে উপবাস ও পারণের নির্ভুল সময়সূচী [ভারত ও বাংলাদেশ]

বিশুদ্ধ বৈষ্ণবের জন্য আমাদের আজকের উপহার একাদশী তালিকা ১৪৩০ (ekadashi chart 1430 / ekadashi list 1430)। ভারত ও বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী স্মার্ত, নিম্বার্ক ও গোস্বামী মতে উপবাস ও পারণের নির্ভুল সময়সূচী থাকছে এই আয়োজনে। বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে ১৪৩০ (২০২৩-২০২৪) সালের মোট ২৫ টি একাদশীর তালিকা তথা বরুথিনী, মোহিনী, অপরা, পাণ্ডবা বা নির্জলা, যোগিনী, শয়ন, উত্থান, প্বার্শ পরিবর্তনী, কামিকা, পদ্মিনী, পরমা বা কমলা, শ্রাবণ পুত্রদা, পৌষ পুত্রদা, অন্নদা বা অজা, ইন্দিরা, পাশাঙ্কুশা বা পাপাঙ্কুশা, রমা, উৎপন্না, মোক্ষদা, সফলা, ষটতিলা, ভৈমী বা জয়া, বিজয়া, আমলকী ব্রত, এবং পাপমোচনী একাদশী সহ সম্পূর্ণ একাদশী তালিকা ১৪৩০ উপস্থাপন করা হল আপনাদের জন্য।

একাদশী (ekadashi) সকল প্রকার ব্রতের মধ্যে পবিত্রতম।  সনাতন বা হিন্দু ধর্মের অন্যান্য সকল ব্রত, আচার বা সংস্কারের মধ্যে একাদশী তিথি নিঃসন্দেহে উত্তম ব্রত। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে একাদশীকে বলা হয় সকল ব্রতের রাজা বা সকল ব্রত অপেক্ষা উত্তম। প্রতি ১৫ দিন পর পর একাদশী তিথি একবার আসে আমাদের পৃথিবীতে। আর এই পূণ্যলগ্নের মহেন্দ্রক্ষণে বৈষ্ণব পূণ্যার্থীরা এইএকাদশী  ব্রত নিষ্ঠা সহকারে পালন করে শ্রীকৃষ্ণের চরণে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সপে দেন তাঁর পাদপদ্মে ঠাই পাওয়ার জন্য। আর নিষ্ঠার সাথে একাদশী ব্রতের পালনকারীরা শ্রীকৃষ্ণের অপার আশির্বাদ ও করুণা লাভ করে থাকেন। তাই মূলত, ভগবান বিষ্ণুর কৃপাদৃষ্টি পাওয়ার জন্যই এই ব্রতের পালন করে থাকেন সকল ভক্তবৃন্দ। তাই একাদশী কবে, কখন বা পারণের সময়সূচী জানাও আমাদের জন্য অপরিহার্য। তাই আসুন নির্ভুলভাবে জেনে নেওয়া যাক ভারত ও বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী বাংলা ১৪৩০ (২০২৩-২০২৪) সালের সমস্ত একাদশীর শুরু, শেষ, উপবাস ও পারণের দিন-ক্ষণ, তিথি, সময় নির্ঘণ্ট, তারিখ ও বার।

একাদশী তালিকা বৈশাখ, ১৪৩০ (এপ্রিল/ মে -২০২৩) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ

একাদশীর নামঃ বরুথিনী একাদশী ১৪৩০

বাংলা বছরের প্রথম মাস বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিটি বরুথিনী নামে পরিচিত। সাধারন ভক্তবৃন্দের পাশাপাশি মহিলারাও এই ব্রত পালনে সৌভাগ্য ও শ্রীকৃষ্ণের অপার কৃপা লাভ করেন। ভক্তি ও মুক্তি প্রদানকারী এই ব্রত সর্ব পাপ হরণ করে এবং মহিলাদের গর্ভাবস্থার যন্ত্রণা বনাশ করে। ভবিষ্যোত্তরপুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে এই বরুথিনী একাদশীর ব্রতকথা ও মাহাত্ম্য বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। পুরাণমতে, এই একাদশীটি নিষ্ঠাভরে ব্রত পালন করলে ইহলোক ও পরলোকে নির্মল সুখ লাভ হয়৷ এছাড়াও, এই ব্রতের প্রভাবে পাপ ক্ষয় হয় এবং সৌভাগ্য প্রাপ্তি ঘটে। এই ব্রত করার ফলে প্রাচীন রাজা মহারাজাগণ দিব্যধাম লাভ করেছেন এবং সেখানে পরমানন্দে বসবাস করছেন।

বৈষ্ণব মতে, স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেবও এই ব্রত পালন করেছিলেন শ্রীহরির সন্তুষ্টি বিধান করার জন্য। যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে আরও বলা হচ্ছে দশ হাজার বছর তপস্যার ফল কেবলমাত্র এক বরুথিনী একাদশী ব্রত পালনে লাভ করা যায়। যে ব্যক্তি এই ব্রত ভক্তি সহকারে পালন করেন, তিনি ইহলোক ও পরলোকে সমস্ত প্রকার কাঙ্খিত ফল লাভ করেন। এছাড়াও, এই দিনে নিঃস্বার্থভাবে দান করলে করলে অপরিসীম পূর্ণ অর্জন করা যায়। এসকল দানের মধ্যে গজদান, ভূমিদান, তিলদান, স্বর্ণদান এবং অন্নদান অন্যতম। সনাতন সমাজের পণ্ডিতগণ কন্যাদানকে অন্নদানের সমতুল্য বলেও অভিমত পোষন করে থাকেন।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী বরুথিনী একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• বরুথিনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১লা বৈশাখ, ১৪৩০, (ইংরেজি ১৫ই এপ্রিল, ২০২৩) শনিবার সন্ধ্যা ০৭টা ২২ মিনিট (07:22 PM) থেকে।
• বরুথিনী একাদশী শেষঃ বাংলা ২রা বৈশাখ, ১৪৩০, (ইংরেজি ১৬ই এপ্রিল, ২০২৩) রবিবার বিকাল ০৫টা ০০ মিনিট (05:00 PM) পর্যন্ত।
• বরুথিনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২রা বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৬ই এপ্রিল, ২০২৩) রবিবার।
• বরুথিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৩রা বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৭ই এপ্রিল, ২০২৩) সোমবার সকাল ৯টা ৩২ মিনিট (09:32 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী বরুথিনী একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• বরুথিনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২রা বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৫ই এপ্রিল, ২০২৩) শনিবার সন্ধ্যা ০৭টা ৫২ মিনিট (07:52 PM) থেকে।
• বরুথিনী একাদশী শেষঃ বাংলা ৩রা বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৬ই এপ্রিল, ২০২৩) রবিবার বিকাল ০৫টা ৩০ মিনিট (05:30 PM) পর্যন্ত।
• বরুথিনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৩রা বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৬ই এপ্রিল, ২০২৩) রবিবার।
• বরুথিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৭ই এপ্রিল, ২০২৩) সোমবার সকাল ১০টা ০১ মিনিট (10:01 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ বরুথিনী একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশীর নামঃ মোহিনী একাদশী ১৪৩০

বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিকে বলা হয় মোহিনী একাদশী। মোহিনী শব্দের অর্থ যা মানুষকে জড় জগতের প্রতি মোহাবিষ্ট করে তোলে। জড় জগতের প্রতি এই মিথ্যা মোহ-মায়া থেকে পরিত্রান করতেই ভগবান শ্রীবিষ্ণু মানুষকে মোহিনী একাদশী ব্রত পালনের সুযোগ দিয়েছে। এই মোহিনী একাদশী ব্রতের প্রভাবে মানুষের সকল পাপ ক্ষয় হয়, দুঃখ বিনাশ হয় ও মিছে মোহজাল ছিন্ন  হয়। বৈষ্ণবগণ এই সকল পাপ ক্ষয়কারী ও সকল দুঃখ বিনাশী এই একাদশী ব্রত পালন করে চিন্ময় ধামের প্রতি চিত্তকে প্রসারিত করেন। বলা হয়, ত্রিলোকে মোহিনী একাদশী ব্রত থেকে আর শ্রেষ্ঠ ব্রত নেই। যজ্ঞানুষ্ঠান আয়োজন, তীর্থস্থান দর্শন, নিঃস্বার্থভাবে দান ইত্যাদি পূণ্যকর্মের ফল এই মোহিনী একাদশী ব্রতের সমান নয়। এছাড়াও এই মোহিনী ব্রত কথা শ্রবণ করলে এবং এর মাহাত্ম্য কীর্তন করলে সহস্র পরিমান গাভীদান করার ফল লাভ হয়।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী মোহিনী একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• মোহিনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৩০শে এপ্রিল, ২০২৩) রবিবার সন্ধ্যা ০৭টা ১৩ মিনিট (07:13 PM) থেকে।
• মোহিনী একাদশী শেষঃ বাংলা ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১লা মে, ২০২৩) সোমবার রাত্রি ৮টা ৫১ মিনিট (08:51 PM) পর্যন্ত।
• মোহিনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১লা মে, ২০২৩) সোমবার।
• মোহিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২রা মে, ২০২৩) মঙ্গলবার সকাল ৯টা ২৬ মিনিট (09:26 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী মোহিনী একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• মোহিনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৩০শে এপ্রিল, ২০২৩) রবিবার সন্ধ্যা ০৭টা ৩২ মিনিট (07:32 PM) থেকে।
• মোহিনী একাদশী শেষঃ বাংলা ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১লা মে, ২০২৩) সোমবার রাত্রি ৯টা ২১ মিনিট (09:21 PM) পর্যন্ত।
• মোহিনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১লা মে, ২০২৩) সোমবার।
• মোহিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২রা মে, ২০২৩) মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট (09:55 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ মোহিনী একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশীর নামঃ অপরা একাদশী

জৈষ্ঠ্য মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথি জগতে অপরা একাদশী নামে খ্যাত। ব্রহ্মান্ডপুরাণে অপরা একাদশী সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। জগতের সমস্ত পাপী-তাপী এই ব্রত পালন করে উদ্ধার হতে পারেন। ব্রহ্মহত্যা, গোহত্যা,ভ্রুনহত্যা,পরনিন্দা, পরস্ত্রীগমন,মিথ্যাভাষন, যারা মিথ্যাসাক্ষ্যদান করে, ওজন বিষয়ে ছলনা করে, শাস্ত্রের মিথ্যা ব্যাখ্যা প্রদান করে, জ্যোতিষের মিথ্যা গণনা ও মিথ্যাচিকিৎসায় রত থাকে, ইত্যাদি প্রকার গুরুতর অপরাধে দুষ্ট ব্যাক্তিরা স্বাক্ষাৎ নরক যন্ত্রনা থেকে রেহাই পেতে এই ব্রত পালন করে থাকেন। শুধু নরক যন্ত্রনা থেকে মুক্তিই নয়, এর প্রভাবে স্বর্গ্ধাম লাভ করে থাকেন তাঁরা। মূলত, বহু পূণ্য প্রদানকারী, মহাপাপ বিনাশকারী ও পুত্রদানকারী ব্রতই হচ্ছে এই অপরা একাদশী ব্রত।

বলা হয়,  মকর রাশিতে সূৃর্য অবস্থান কালে মাঘ মাসে প্রয়াগ স্নানে যে ফল লাভ হয়, শিবরাত্রিতে কাশীধামে উপবাস করলে যে পূণ্য হয়, গয়াধামে বিষ্ণু পাদপদ্মে পিন্ডদানে যে ফল পাওয়া যায়, সিংহরাশিতে বৃহস্পতির অবস্থানে গৌতমী নদীতে স্নান করলে যে ফল পাওয়া যায়, কুম্ভ মেলায় কেদারনাথ দর্শনে যে পূণ্য সঞ্চিত হয়, বদরিকাশ্রম যাত্রায় ও বদ্রীনারায়নকে ভক্তিভরে সেবা করলে যে মহাপূন্য লাভ হয়, সূর্যগ্রহণের সময় কুরুক্ষেত্রে স্নান করলে যে অযুত পরিমান পুণ্য মেলে, হাতি-ঘোড়া-স্বর্ণ দানে যে ফ, লাভ হয়, এবং দক্ষিণাসহ যজ্ঞ সম্পাদনে যে ফল লাভ হয়, তার সবকিছুই এই অপরা একাদশী ব্রত পালন করলে অনায়াসে লাভ  করা যায়। বলা হয় এই অপরা ব্রত পাপরূপ বৃক্ষের মূলে কুঠারের আঘাত স্বরূপ, পাপরূপ কাষ্ঠের দাবাগ্নির মতো, পাপরূপ অন্ধকারের সূৃর্য সদৃশ এবং পাপহস্তির সম্মুখে সিংহসরূপ।

এই ব্রত পালন না করে যে ব্যাক্তি জীবন ধারন করেন জলে বুদবুদের মতো তার জন্ম-মৃত্যুই কেবল সার হয়।অপরা একাদশীতে উপবাস করে বিষ্ণুপূজা করলে সর্বপাপ মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে গতি হয়। এই অপরা একাদশী ব্রত কথা পাঠ ও শ্রবণ করলে সহস্র গোদানের ফল লাভ হয়।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী অপরা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• অপরা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৪ই মে, ২০২৩) রবিবার দিবাগত রাত্রি ৩টা ২৫ মিনিট (03:25 AM) থেকে।
• অপরা একাদশী শেষঃ বাংলা ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৫ই মে, ২০২৩) সোমবার রাত্রি ১টা ২৩ মিনিট (01:23 AM) পর্যন্ত।
• অপরা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৫ই মে, ২০২৩) সোমবার।
• অপরা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১লা জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৬ই মে, ২০২৩) মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৬ মিনিট থেকে সকাল ৯টা ২৩ মিনিট (09:22 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী অপরা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• অপরা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৪ই মে, ২০২৩) রবিবার দিবাগত রাত্রি ৩টা ৫৫ মিনিট (03:55 AM) থেকে।
• অপরা একাদশী শেষঃ বাংলা ১লা জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৫ই মে, ২০২৩) সোমবার রাত্রি ১টা ৫২ মিনিট (01:52 AM) পর্যন্ত।
• অপরা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১লা জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৫ই মে, ২০২৩) সোমবার।
• অপরা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২রা জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৬ই মে, ২০২৩) মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিট থেকে সকাল ৯টা ৫২ মিনিট (09:52 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ অপরা একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশী তালিকা জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (মে / জুন -২০২৩) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ

একাদশীর নামঃ পাণ্ডবা বা নির্জলা একাদশী

জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি পাণ্ডবা বা নির্জলা একাদশী নামে পরিচিত। এই ব্রত ধনধান্য ও পুন্য দান করে ভক্তকে পুরষ্কৃত করে থাকে । এমনকি যমদূতগণ এই ব্রত পালনকারীকে মৃত্যুর পরও স্পর্শ করতে পারেন না। পক্ষান্তরে, বিষ্ণুলোকের বিষ্ণুদূতগণ স্বয়ং এসে ব্রত পালনকারীকে বিষ্ণুলোকে নিয়ে যান। মহাভারতের পাণ্ডুপুত্র শ্রীভীমসেন এই তিথি থেকে নির্জলা একাদশী পালন করেছিলেন বিধায় এই একাদশী পান্ডবা নির্জলা বা ভীমসেনী একাদশী নামে প্রসিদ্ধ হয়েছে। এই নির্জলা একাদশীতে পবিত্র তীর্থে স্নান, দান, জপ, কীর্তন ইত্যাদি যা কিছু মানুষ করে তা অক্ষয় হয়ে যায়। যে ব্যক্তি ভক্তিসহকারে এই একাদশী মাহাত্ম পাঠ বা শ্রবণ করেন তাঁর স্থান হয় বৈকুন্ঠধাম ।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী পাণ্ডবা নির্জলা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• পাণ্ডবা নির্জলা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৫ই জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ৩০শে মে, ২০২৩) মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৭ মিনিট (10:17 AM) থেকে।
• পাণ্ডবা নির্জলা একাদশী শেষঃ বাংলা ১৬ই জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ৩১শে মে, ২০২৩) বুধবার সকাল ১১টা ০৩ মিনিট (11:03 AM) পর্যন্ত।
• পাণ্ডবা নির্জলা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৬ই জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ৩১শে মে, ২০২৩) বুধবার ।
• পাণ্ডবা নির্জলা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৭ই জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ১লা জুন, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টা ২২ মিনিট (09:22 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী পাণ্ডবা নির্জলা একাদশী  ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• পাণ্ডবা নির্জলা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৬ই জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ৩০শে মে, ২০২৩) মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪৬ মিনিট (10:46 AM) থেকে।
• পাণ্ডবা নির্জলা একাদশী শেষঃ বাংলা ১৭ই জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ৩১শে মে, ২০২৩) বুধবার সকাল ১১টা ৩৩ মিনিট (11:33 AM) পর্যন্ত।
• পাণ্ডবা নির্জলা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৭ই জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ৩১শে মে, ২০২৩) বুধবার ।
• পাণ্ডবা নির্জলা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৮ই জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ১লা জুন, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টা ৫১ মিনিট (09:51 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ পান্ডবা নির্জলা একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশীর নামঃ যোগিনী একাদশী

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে যোগিনী একাদশীর বিস্তর আলোচনা দৃশ্যমান। বাংলা আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে পালনীয় ব্রতের নামই যোগিনী একাদশী। এই একাদশী তিথি মহাপাপ নাশকারী। মোহ মায়াজালে আবিষ্ট মনুষ্যগণ যে মহাপাপে পরিপূর্ণ হয়ে আছেন, এই ব্রত তাঁদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে স্বর্গ ধামের পথ প্রসস্থ করে। বলতে গেলে এই মহাপূণ্যদায়িনী একাদশী তিথি ভবসাগরের অতল গহব্বরে  পতিত মানুষের উদ্ধার লাভের একমাত্র নৌকা স্বরূপ। এছাড়াও এই ব্রত পালনকারীরা শ্রীকৃষ্ণের অপার করুণাও লাভ করে থাকেন।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী যোগিনী একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• যোগিনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২৯শে জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৩ই জুন, ২০২৩) মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিট (11:40 AM) থেকে।
• যোগিনী একাদশী শেষঃ বাংলা ৩০শে জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৪ই জুন, ২০২৩) বুধবার সকাল ১০টা ১৪ মিনিট (10:14 AM) পর্যন্ত।
• যোগিনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৩০শে জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৪ই জুন, ২০২৩) বুধবার ।
• যোগিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৩১শে জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৫ই জুন, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টা ১৩ মিনিট (09:13 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী যোগিনী একাদশী  ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• যোগিনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৩০শে জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৩ই জুন, ২০২৩) মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ০৯ মিনিট (12:09 PM) থেকে।
• যোগিনী একাদশী শেষঃ বাংলা ৩১শে জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৪ই জুন, ২০২৩) বুধবার সকাল ১০টা ৪৪ মিনিট (10:44 AM) পর্যন্ত।
• যোগিনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৩১শে জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৪ই জুন, ২০২৩) বুধবার।
• যোগিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১লা আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৫ই জুন, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টা ৪২ মিনিট (09:42 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ যোগিনী একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশী তালিকা আষাঢ়, ১৪৩০ (জুন /জুলাই – ২০২৩) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ

একাদশীর নামঃ শয়ন বা শ্রী শ্রী হরিশয়নী একাদশী

আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে পালিত হয় শয়ন একাদশী। এ সংসারে এই শয়ন বা শ্রী শ্রী হরিশয়নী একাদশীর মতো পবিত্র আর কোন ব্রত নেই। বলা হয় সকল পাপ বিনাশের জন্য এই বিষ্ণুব্রত পালন করা একান্ত আবশ্যক। যে ব্যাক্তি এই প্রকার পবিত্র পাপনাশক এবং সকল অভিষ্ট প্রদাতা একাদশী ব্রত না করে তাকে নরকগামী হতে হয়।  শ্রী ভগবান ঋষিকেশের জন্য এই ব্রত পালন করলে তিনি ভক্তের প্রভূত কল্যান সাধন করে তাঁকে জড় জগতের মায়া থেকে মুক্তি প্রদান করে থাকেন।এই একাদশীতে ভগবান শ্রীবিষ্ণু অনন্ত শয্যায় নিজেকে শায়িত করেন।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী শয়ন একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• শয়ন একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১২ই আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৮শে জুন, ২০২৩) বুধবার রাত্রি ১১টা ০৩ মিনিট (11:03 PM) থেকে।
• শয়ন একাদশী শেষঃ বাংলা ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৯শে জুন, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার রাত্রি ১০টা ৪৯ মিনিট (10:49 PM) পর্যন্ত।
• শয়ন একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৯শে জুন, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার।
• শয়ন একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ৩০শে জুন, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ৯টা ২৭ মিনিট (09:27 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী শয়ন একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• শয়ন একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৮শে জুন, ২০২৩) বুধবার রাত্রি ১১টা ৩৩ মিনিট (11:33 PM) থেকে।
• শয়ন একাদশী শেষঃ বাংলা ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৯শে জুন, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার রাত্রি ১১টা ১৯ মিনিট (11:19 PM) পর্যন্ত।
• শয়ন একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৯শে জুন, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার।
• শয়ন একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ৩০শে জুন, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ৯টা ৫৬ মিনিট (09:56 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ শয়ন একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশীর নামঃ কামিকা একাদশী

শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীতে কামিকা একাদশী পালিত হয় সমস্ত জগত জুড়ে।  যে ব্এযাক্ইতি এই কামিকা একাদশীর মাহাত্ম্য শ্রবণ করেন, তিনি বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ করেন। এদিনে ভগবান শ্রী হরির পূজা অর্চনা করলে অপরিমিত পরিমান পূণ্যফল লাভ করা যায়। গঙ্গা, গোদাবরী, কাশী, নৈমিষ্যারণ্য, পুষ্কর ইত্যাদি তীর্থ দর্শনের সমস্ত ফল একমাত্র কামিকা একাদশী ব্রত পালন করে লাভ করা যায়। সাগর ও অরণ্য যুক্ত পৃথিবী দানের ফল, এবং দুগ্ধবতী গাভী দানের ফলের অনুরূপ ফল এই ব্রত পালনে লাভ হয়ে থাকে। যারা পাপপূর্ণ সাগরে নিমগ্ন, এই ব্রতই তাদের উদ্ধারের একমাত্র সহজ উপায়। এই রকম পবিত্র পাপনাশক শ্রেষ্ঠ ব্রত আর জগতে নেই।

শ্রী হরি স্বয়ং এই মাহাত্ম্য কীর্তন করেছেন। রাত্রি জাগরণ করে যারা এই ব্রত পালন করেন তাঁরা কখনও দুঃখ দুর্দশাগ্রস্ত হন না। এই ব্রত পালনকারী কখনও নিম্ন যোনি প্রাপ্ত হন না। এদিন কেশবপ্রিয়া তুলসীপত্রে যিনি শ্রী হরির পূজা করেন পদ্ম পাতায় জলের মতো তিনি পাপে নির্লিপ্ত থাকেন। তুলসীপত্র দিয়ে বিষ্ণু পূজায় ভগবান যেমন সন্তুষ্ট হন, মণিমুক্তাদি মূল্যবান রত্ন মাধ্যমেও তেমন প্রীত হন না। যিনি কেশবকে তুলসীমঞ্জরী দিয়ে পূজা করেন তার জন্মার্জিত সমস্ত পাপ ক্ষয় হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে ব্রহ্মা বললেন–হে নারদ! যিনি তুলসীকে প্রত্যহ দর্শন করেন তার সকল পাপরাশি বিদূরিত হয়ে যায়। যিনি তাঁকে স্পর্শ করেন তার পাপমলিন দেহ পবিত্র হয়। তাঁকে প্রণাম করলে সমস্ত রোগ দূর হয়।

তাঁকে জল সিঞ্চন করলে যমও তার কাছে আসতে ভয় পান। শ্রী হরি চরণে তুলসী অর্পিত হলে ভগবদ্ভক্তি লাভ হয়। তাই হে কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনী তোমাকে প্রণাম করি। যে ব্যক্তি হরিবাসরে ভগবানের সামনে দীপদান করেন চিত্রগুপ্তও তাঁর পুণ্যের হিসাব করতে পারে না। তার পিতৃপুরুষেরাও পরম তৃপ্তি লাভ করেন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন–হে রাজন! আমি আপনার কাছে সর্বপাপহারিনী কামিকা একাদশীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করলাম। অতএব যিনি ব্রহ্মহত্যা ভ্রুণহত্যা পাপবিনাশিনী, মহাপুণ্যফলদায়ী এই ব্রত পালন করবেন এবং এই মাহাত্ম্য শ্রদ্ধা সহকারে শ্রবণ করবেন তিনি সর্বপাপ থেকে মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে গমন করবেন।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী কামিকা একাদশী  ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• কামিকা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ১২ই জুলাই, ২০২৩) বুধবার রাত্রি ৮টা ৫৪ মিনিট (08:54 PM) থেকে।
• কামিকা একাদশী শেষঃ বাংলা ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৩ই জুলাই, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার রাত্রি ৮টা ১৮ মিনিট (08:18 PM) পর্যন্ত।
• কামিকা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৩ই জুলাই, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার।
• কামিকা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৪ই জুলাই, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিট (09:30 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী কামিকা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• কামিকা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা২৮শে আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ১২ই জুলাই, ২০২৩) বুধবার রাত্রি ৯টা ২৩ মিনিট (09:23 PM) থেকে।
• কামিকা একাদশী শেষঃ বাংলা ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৩ই জুলাই, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার রাত্রি ৮টা ৪৮ মিনিট (08:48 PM) পর্যন্ত।
• কামিকা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৩ই জুলাই, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার।
• কামিকা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৪ই জুলাই, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ৯টা ৫৯ মিনিট (09:59 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ কামিকা একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশী তালিকা শ্রাবণ, ১৪৩০ (জুলাই /আগস্ট – ২০২৩) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ

একাদশীর নামঃ পদ্মিনী একাদশী ১৪৩০

পদ্মিনী একাদশী কোন নিয়মিত একাদশী নয়। শুধুমাত্র পুরুষোত্তম মাস বা মলমাসের শুক্লপক্ষে এই একাদশী তিথির আবির্ভাব ঘটে। স্মার্তগণ পুরুষোত্তম মাস বা অধিমাসকে ‘মলমাস’ বলে এই মাসে সমস্ত শুভকার্য পরিত্যাগ করে থাকেন। কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই মাসকে পারমার্থিক মঙ্গলের জন্য অন্য সকল মাস থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে নির্ণয় করেছেন। তিনি নিজের নামানুসারে এই মাসের নাম ‘পুরুষোত্তম’ মাস রেখেছেন। এই ব্রত যিনি ভক্তি সহকারে পালন করবেন, তিনি ভগবান শ্রীহরির শ্রীপাদপদ্মে অহৈতুকী ভক্তি লাভ করবেন।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী পদ্মিনী একাদশী  ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• পদ্মিনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৮শে জুলাই, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ৯টা ৪৬ মিনিট (09:46 AM) থেকে।
• পদ্মিনী একাদশী শেষঃ বাংলা ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৯শে জুলাই, ২০২৩) শনিবার সকাল ৮টা ৩৮ মিনিট (08:38 AM) পর্যন্ত।
• পদ্মিনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৯শে জুলাই, ২০২৩) শনিবার।
• পদ্মিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৩ই শ্রাবণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৩০শে জুলাই, ২০২৩) রবিবার সকাল ৭টা ০৬ মিনিট (07:06 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী পদ্মিনী একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• পদ্মিনী একাদশী আরম্ভঃ ইংরেজি ২৮শে জুলাই, ২০২৩, (বাংলা ১৩ই শ্রাবণ, ১৪৩০) শুক্রবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিট (10:15 AM) থেকে।
• পদ্মিনী একাদশী শেষঃ ইংরেজি ২৯শে জুলাই, ২০২৩, (বাংলা ১৪ই শ্রাবণ, ১৪৩০) শনিবার সকাল ০৯টা ০৭ মিনিট (09:07 AM) পর্যন্ত।
• পদ্মিনী একাদশীর উপবাসঃ ইংরেজি ২৯শে জুলাই, ২০২৩, (বাংলা ১৪ই শ্রাবণ, ১৪৩০) শনিবার।
• পদ্মিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ ইংরেজি ৩০শে জুলাই, ২০২৩, (বাংলা ১৫ই শ্রাবণ, ১৪৩০) রবিবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিট (07:35 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ পদ্মিনী একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশীর নামঃ পরমা / কমলা একাদশী ১৪৩০

পদ্মিনী একাদশীর মত কমলা বা পরমা একাদশী তিথিটিও নিয়মিত একাদশী তিথি নয়। অধিমাস, মলমাস বা পুরুষোত্তম মাসের কৃষনপক্ষে এই মহা পুন্যদায়ীনী তিথির আবির্ভাব হয়। যে মানুষ এই একাদশী ব্রত পালন না করেন তিনি চুরাশি লক্ষ যোনিতে ভ্রমণ করেও কখনও সুখী হয় না। বহু পুণ্য কর্মের ফলে দুর্লভ মানব-জন্ম লাভ হয়। তাই মানব-জীবনে এই একাদশী ব্রত পালন করা অবশ্য কর্তব্য। এই ব্রত্যের মাহাত্ম্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকে শ্রবণ করে মহারাজ যুধিষ্ঠির তাঁর আত্মীয়বর্গের সঙ্গে এই ব্রত পালন করেছিলেন।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী কমলা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• কমলা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২৫শে শ্রাবণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১১ই আগষ্ট, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ০৭টা ৫৫ মিনিট (07:55 AM) থেকে।
• কমলা একাদশী শেষঃ বাংলা ২৬শে শ্রাবণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১২ই আগস্ট, ২০২৩) শনিবার সকাল ৮টা ১৯ মিনিট (08:19 AM) পর্যন্ত।
• কমলা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৬শে শ্রাবণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১২ই আগস্ট, ২০২৩) শনিবার।
• কমলা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৭শে শ্রাবণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৩ই আগষ্ট, ২০২৩) রবিবার সকাল ৯টা ৩৩ মিনিট (09:33 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী কমলা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• কমলা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২৭শে শ্রাবণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১১ই আগষ্ট, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিট (08:25 AM) থেকে।
• কমলা একাদশী শেষঃ বাংলা ২৮শে শ্রাবণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১২ই আগস্ট, ২০২৩) শনিবার সকাল ৮টা ৪৯ মিনিট (08:49 AM) পর্যন্ত।
• কমলা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৮শে শ্রাবণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১২ই আগস্ট, ২০২৩) শনিবার।
• কমলা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৯শে শ্রাবণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৩ই আগষ্ট, ২০২৩) রবিবার সকাল ১০টা ০২ মিনিট (10:02 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ পরমা বা কমলা একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশী তালিকা ভাদ্র, ১৪৩০ (আগষ্ট / সেপ্টেম্বর- ২০২৩) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ

একাদশীর নামঃ শ্রাবণ পুত্রদা/ পবিত্রা / পবিত্রারোপণ / পবিত্রারোপণী একাদশী

শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীকে বলা হয় পুত্রদা বা শ্রাবণ পুত্রদা একাদশী। এটি বছরের দুইটি পুত্রদা একাদশীর একটি। অপরটি হচ্ছে পৌষ পুত্রদা একাদশী। এই ব্রতটি পুত্রসন্তান দানকারী ব্রত। পুতঃ নামক নরক থেকে পরিত্রান পেতে পুত্রসন্তান প্রার্থনা করে থাকেন মনুষ্যকুল। আর এই ব্রত পুত্রদান করে মানুষকে সেই পুত নামক নরক থেকে পরিত্রান করে। এছাড়াও এই ব্রত মাহাত্ম্য যিনি পাঠ করেন এবং  শ্রবণ করেন তিনি সকল প্রকার পাপ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি লাভ করেন। বলা হয়, এই ব্রত নিষ্ঠার সাথে পালনকারীরা পুত্রসুখ ভোগ করে এবং আনন্দময় পার্থিব জীবন উপভোগ করে দিব্যধাম প্রাপ্ত হবেন।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী শ্রাবণ পুত্রদা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• শ্রাবণ পুত্রদা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ০৮ই ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৬শে আগষ্ট, ২০২৩) শনিবার সন্ধ্যা ০৭টা ০৫ মিনিট (07:05 PM) থেকে।
• শ্রাবণ পুত্রদা একাদশী শেষঃ বাংলা ৯ই ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৭শে আগস্ট, ২০২৩) রবিবার বিকাল ৫টা ১৫ মিনিট (05:15 PM) পর্যন্ত।
• শ্রাবণ পুত্রদা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৯ই ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৭শে আগস্ট, ২০২৩) রবিবার।
• শ্রাবণ পুত্রদা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১০ই ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৮শে আগষ্ট, ২০২৩) সোমবার সকাল ৯টা ৩৩ মিনিট (09:33 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী শ্রাবণ পুত্রদা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• শ্রাবণ পুত্রদা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১১ই ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৬শে আগষ্ট, ২০২৩) শনিবার সন্ধ্যা ০৭টা ৩৫ মিনিট (07:35 PM) থেকে।
• শ্রাবণ পুত্রদা একাদশী শেষঃ বাংলা ১২ই ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৭শে আগস্ট, ২০২৩) রবিবার বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিট (05:45 PM) পর্যন্ত।
• শ্রাবণ পুত্রদা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১২ই ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৭শে আগস্ট, ২০২৩) রবিবার।
• শ্রাবণ পুত্রদা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৩ই ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৮শে আগষ্ট, ২০২৩) সোমবার সকাল ১০টা ০২ মিনিট (10:02 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ পবিত্রারোপণী ( শ্রাবণ পুত্রদা) একাদশী ব্রতের মাহাত্ম্য

একাদশীর নামঃ অন্নদা বা অজা একাদশী

ভাদ্রের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীকে বলা হয় অজা বা অন্নদা একাদশী ব্রত। এই একাদশী তিথি সর্ব প্রকার পাপ বিনাশ করে। যিনি শ্রীহরির চরণপ্রাপ্তির উদ্দেশ্যে এই ব্রত পালন করেন, তিনি সর্বপাপ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্ত হন। এমনকি এই ব্রতের নাম শ্রবণেই বিপুল পরিমান পাপ বিদূরিত হয়ে যায়। যথাবিধি এই ব্রত পালন করলে বহু বছরের দুঃখভোগের চুড়ান্ত অবসান হয়।  যে মানুষ নিষ্ঠা সহকারে এই ব্রত পালন করেন, তিনি শ্রীহরি চরণে ভক্তি লাভ করে অবশেষে দিব্যধামে গমন করেন। এই ব্রতের মাহাত্ম্য পাঠ ও শ্রবণে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ হয়।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী অজা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• অজা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২২শে ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩) শনিবার রাত্রি ৯টা ২৩ মিনিট (09:23 PM) থেকে।
• অজা একাদশী শেষঃ বাংলা ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩) রবিবার রাত্রি ১০টা ৪৫ মিনিট (10:45 PM) পর্যন্ত।
• অজা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩) রবিবার।
• অজা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩) সোমবার সকাল ৯টা ৩১ মিনিট (09:31 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী অজা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• অজা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা২৫শে ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩) শনিবার রাত্রি ৯টা ৫৩ মিনিট (09:53 PM) থেকে।
• অজা একাদশী শেষঃ বাংলা ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩) রবিবার রাত্রি ১১টা ১৫ মিনিট (11:15 PM) পর্যন্ত।
• অজা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩) রবিবার।
• অজা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩) সোমবার সকাল ১০ঃ০০ মিনিট 10:00 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ অজা বা অন্নদা একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশী তালিকা আশ্বিন, ১৪৩০ (সেপ্টেম্বর / অক্টোবর- ২০২৩) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ

একাদশীর নামঃ পদ্মা / প্বার্শ / প্বার্শপরিবর্তনী / জয়ন্তী একাদশী

ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে পালিত হয় পদ্মা, প্বার্শ বা প্বার্শ পরিবর্তনী একাদশী ব্রত।  এই ব্রত পূণ্য ফল প্রদায়িনী, স্বর্গ ও মোক্ষদায়িনী। এর মাহাত্ম্য শ্রবণে সকল পাপ বিনষ্ট হয়।আবার এই একাদশীকে জয়ন্তী একাদশীও বলা হয়। যিনি এই তিথিতে ভক্তিভরে শ্রীবামন ভগবানের পূজা করেন, তিনি ত্রিলোকে পূজা পান। যিনি এই তিথিতে কমলনয়ন শ্রীবিষ্ণুর পূজা কমল দ্বারা করেন, তিনি নিসন্দেহে ভগবানের সমীপে গমন করেন। যে পূণ্য এই ব্রতে লাভ হয়, তা বাজপেয় যজ্ঞেও লাভ হয় না। এই একাদশীতে শায়িত ভগবান অনন্ত শয্যায় পার্শ্ব পরিবর্তন করেন। বাম অঙ্গ থেকে দক্ষিণ অঙ্গে শয়ন করেন। তাই এই একাদশীকে পরিবর্তিনী একদশীও বলা হয়।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী প্বার্শ পরবর্তনী একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• প্বার্শ পরিবর্তনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩) রবিবার দিবাগত রাত্রি ৩টা ৪৯ মিনিট (03:49 AM) থেকে।
• প্বার্শ পরিবর্তনী একাদশী শেষঃ বাংলা ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩) সোমবার রাত্রি ১টা ৩৩ মিনিট (01:33 AM) পর্যন্ত।
• প্বার্শ পরিবর্তনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩) সোমবার।
• প্বার্শ পরিবর্তনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩) মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে ৯টা ২৯ মিনিট (09:28 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী প্বার্শ পরবর্তনী একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• প্বার্শ পরিবর্তনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৯ই আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩) রবিবার দিবাগত রাত্রি ৪টা ১৮ মিনিট (04?:18 AM) থেকে।
• প্বার্শ পরিবর্তনী একাদশী শেষঃ বাংলা ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩) সোমবার রাত্রি ২টা ০৩ মিনিট (02:03 AM) পর্যন্ত।
• প্বার্শ পরিবর্তনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩) সোমবার।
• প্বার্শ পরিবর্তনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩) মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২৭ মিনিট থেকে ৯টা ৫৯ মিনিট (09:28 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ পার্শ্ব পরিবর্তিনী একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশীর নামঃ ইন্দিরা একাদশী

আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীর নাম ইন্দিরা। এই একাদশী পালনে বিপুল পরিমান পাপরাশি বিনষ্ট হয় এবং  নিরয়গামী পিতৃপুরুষগণের উর্দ্ধগতি লাভ হয়। এই একাদশী ব্রতের মাহাত্ম্য শ্রবণে ও কীর্তনে সর্বপাপ বিমুক্ত হয় এবং শ্রীবিষ্ণু সান্নিধ্য লাভ ঘটে। এই ইন্দিরা একাদশীর মাহাত্ম্য পাঠে ও শ্রবণে মানুষ সকল পাপ মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে প্রাপ্ত হয়।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী  ইন্দিরা একাদশী  ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• ইন্দিরা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২১শে আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ৯ই অক্টোবর, ২০২৩) সোমবার দুপুর ১টা ৩৩ মিনিট (01:33 PM) থেকে।
• ইন্দিরা একাদশী শেষঃ বাংলা ২২শে আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ১০ই অক্টোবর, ২০২৩) মঙ্গলবার দুপুর ৩টা ৩৪ (03:34 PM) পর্যন্ত।
• ইন্দিরা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২২শে আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ১০ই অক্টোবর, ২০২৩) মঙ্গলবার।
• ইন্দিরা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ১১ই অক্টোবর, ২০২৩) বুধবার সকাল সকাল ৯টা ২৮ মিনিট (09:28 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী ইন্দিরা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• ইন্দিরা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ৯ই অক্টোবর, ২০২৩) সোমবার দুপুর ২টা ০২ মিনিট (02:02 PM) থেকে।
• ইন্দিরা একাদশী শেষঃ বাংলা ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ১০ই অক্টোবর, ২০২৩) মঙ্গলবার দুপুর ৪টা ০৩ মিনিট (04:03 PM) পর্যন্ত।
• ইন্দিরা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ১০ই অক্টোবর, ২০২৩) মঙ্গলবার।
• ইন্দিরা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৩৬শে আশ্বিন, ১৪৩০ (ইংরেজি ১১ই অক্টোবর, ২০২৩) বুধবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট (09:57 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ ইন্দিরা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশী তালিকা কার্ত্তিক, ১৪৩০ (অক্টোবর / নভেম্বর- ২০২৩) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ

একাদশীর নামঃ পাশাঙ্কুশা / পাপাঙ্কুশা একাদশী

আশ্বিনের শুক্লপক্ষীয়া একাদশী পাশাঙ্কুশা নামে প্রসিদ্ধা। কেউ কেউ একে পাপাঙ্কুশাও বলে থাকেন। এই একাদশীতে অভিষ্ট ফল লাভের জন্য মুক্তিদাতা পদ্মনাভের পূজা করা হয়ে থাকে। এদিন শ্রীহরির নাম-সংকীর্তন দ্বারা পৃথিবীর সর্ব তীর্থের ফল লাভ হয়। এছাড়াও, এদিন বদ্ধ জীব মোহবশত বহু পাপকর্ম করেও ভগবান শ্রীহরির শরণাপন্ন হয়ে প্রণাম নিবেদন করলে নরকযাতনা থেকে রক্ষা পায়। এই একাদশীর মহিমা শোনার ফলে নিদারুণ যমদণ্ড থেকে মুক্তি লাভ হয়। বলা হয়, শ্রীহরিবাসর ব্রতের মতো ত্রিভুবনে পবিত্রকারী আর কোন বস্তু নেই। হাজার হাজার অশ্বমেধ যজ্ঞ এবং শত শত রাজসূয় যজ্ঞ আয়োজনের ফল এই ব্রতের শতভাগের একভাগের সমান হয় না।এই ব্রত পালনে স্বর্গবাস, মুক্তি, দীর্ঘায়ু, আরোগ্য, সুপত্নী, বন্ধু প্রভৃতি অনায়াসে লাভ করা যায়।

গয়া, কাশী এমনকি কুরুক্ষেত্রও শ্রীহরিবাসর অপেক্ষা পূণ্যস্থান নয়। এই একাদশী উপবাস ব্রত করে রাত্রি জাগরণ করলে অনায়াসে বিষ্ণুলোকে গতি হয়। এই পাশাঙ্কুশা ব্রতের ফলে মানুষ সর্বপাপ মুক্ত হয়ে চিন্ময়লোকে গমন করতে সামর্থ্য হয়। এই পবিত্র দিনে যিনি স্বর্ণ, তিল, গাভী, অন্ন, বস্ত্র, জল, ছত্র, পাদুকা দান করেন, তাকে আর যমালয়ে যেতে হয় না। যারা এসকল পুণ্যকার্য করে না, তাদের জীবন কামারশালার হাপরের মতো বিফল। নিষ্ঠার সাথে এই ব্রত পালনে উচ্চকুলে নিরোগ ও দীর্ঘায়ু শরীর লাভ হয়। অত্যন্ত পাপাচারীও যদি এই পুণ্যব্রতের অনুষ্ঠান করে তবে সেও রৌরব নামক নইরকের মহাযন্ত্রনা থেকে মুক্ত হয়ে বৈকুণ্ঠসুখ লাভ করে।কৃষ্ণভক্তি লাভই শ্রী একাদশী ব্রতের মুখ্য ফল। তবে আনুষাঙ্গিকরূপে স্বর্গ, ঐশ্বর্যাদি অনিত্য ফল লাভ হয়ে থাকে।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী পাশাঙ্কুশা একাদশী  ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• পাশাঙ্কুশা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৬ই কার্ত্তিক, ১৪৩০(ইংরেজি ২৪শে অক্টোবর, ২০২৩) মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৪২ মিনিট (12:42 PM) থেকে।
• পাশাঙ্কুশা একাদশী শেষঃ বাংলা ৭ই কার্ত্তিক, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৫শে অক্টোবর, ২০২৩) বুধবার সকাল ১০টা ১৮ মিনিট (10:18 AM) পর্যন্ত।
• পাশাঙ্কুশা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৭ই কার্ত্তিক, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৫শে অক্টোবর, ২০২৩) বুধবার।
• পাশাঙ্কুশা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৮ই কার্ত্তিক, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৬শে অক্টোবর, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার সকাল সকাল ৭টা ৫৮ মিনিট (07:58 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী পাশাঙ্কুশা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• পাশাঙ্কুশা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৮ই কার্ত্তিক, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৪শে অক্টোবর, ২০২৩) মঙ্গলবার দুপুর ১টা ১২ মিনিট (01:12 PM) থেকে।
• পাশাঙ্কুশা একাদশী শেষঃ বাংলা ৯ই কার্ত্তিক, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৫শে অক্টোবর, ২০২৩) বুধবার সকাল ১০টা ৪৮ মিনিট (10:48 AM) পর্যন্ত।
• পাশাঙ্কুশা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৯ই কার্ত্তিক, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৫শে অক্টোবর, ২০২৩) বুধবার।
• পাশাঙ্কুশা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১০ই কার্ত্তিক, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৬শে অক্টোবর, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার সকাল সকাল ৮টা ৩৫ মিনিট (08:35 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ পাশাঙ্কুশা (পাপাঙ্কুশা) একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশীর নামঃ রমা একাদশী

বাংলা কার্ত্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের মহাপাপ দূরকারী একাদশীর নাম রমা একাদশী। একাদশী মাত্রই সর্ব পাপের ক্ষয়কারী ব্রত। অনুরূপভাবে এই রমা একাদশী পালনের মাধ্যমে আমাদের সর্ব পাপ দূর হয়ে থাকে। এছাড়াও, সকল পাপ দূরীভূত হওয়ার পর ব্রত পালনকারী অপার আনন্দ লাভ করেন এবং শ্রীহরি অনন্ত কৃপার পাত্র হন। এই ব্রতে রাত্রি জাগরণ করে শ্রীবিষ্ণুর গুণকীর্ত্তন করলে, তিনি ভগবানের বিশেষ আশির্বাদের পাত্র হয়ে থাকেন।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী রমা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• রমা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২১শে কার্ত্তিক, ১৪৩০ (ইংরেজি ৮ই নভেম্বর, ২০২৩) বুধবার সকাল ৭টা ৫১ মিনিট (07:51 AM) থেকে।
• রমা একাদশী শেষঃ বাংলা ২২শে কার্ত্তিক, ১৪৩০ (ইংরেজি ৯ই নভেম্বর, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টা ৫৪ মিনিট (09:54 AM) পর্যন্ত।
• রমা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২২শে কার্ত্তিক, ১৪৩০ (ইংরেজি ৯ই নভেম্বর, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার।
• রমা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৩শে কার্ত্তিক, ১৪৩০ (ইংরেজি ১০ই নভেম্বর, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ৯টা ৩১ মিনিটের (09:31 AM) মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী রমা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• রমা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২৩শে কার্ত্তিক, ১৪৩০ (ইংরেজি ৮ই নভেম্বর, ২০২৩) বুধবার সকাল ০৮টা ২১ মিনিট (08:21 AM) থেকে।
• রমা একাদশী শেষঃ বাংলা ২৪শে কার্ত্তিক, ১৪৩০ (ইংরেজি ৯ই নভেম্বর, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টা ২৪ মিনিট (10:24 AM) পর্যন্ত।
• রমা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৪শে কার্ত্তিক, ১৪৩০ (ইংরেজি ৯ই নভেম্বর, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার।
• রমা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৫শে কার্ত্তিক, ১৪৩০ (ইংরেজি ১০ই নভেম্বর, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ১০ঃ০০ মিনিটের (10:00 AM) মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ রমা একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশী তালিকা অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (নভেম্বর / ডিসেম্বর – ২০২৩) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ

একাদশীর নামঃ উত্থান / প্রবোধিনী একাদশী

কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর মাহাত্ম্য স্কন্দপুরাণে ব্রহ্মা-নারদ সংবাদে বর্ণিত আছে। এই তিথির একাদশী উত্থান বা প্রবোধিনী নামে সমগ্র জগতে খ্যাত। প্রজাপতি ব্রহ্মা পূর্বে নারদের কাছে এই একাদশীর মহিমা কীর্তন করেছিলেন। কার্তিক মাসে সমস্ত গৌণধর্ম বর্জন করে শ্রীকেশবের সামনে হরিকথা শ্রবণ কীর্তন করাই এই ব্রতের মূল কাজ। কোন ব্যক্তি যদি ভক্তিসহকারে এই মাসে ভক্তসঙ্গে হরিকথা শ্রবণ ও কীর্তন করেন, তবে তাঁর শতকুল উদ্বার প্রাপ্ত হন এবং হাজার হাজার দুগ্ধবতী গাভী দানের ফল অনায়াসে লাভ করেন। এই মাসে পবিত্রভাবে শ্রীকৃষ্ণের রূপ, গুণাদির শ্রবণ- কীর্তনে দিনযাপন করলে তার আর পুণর্জন্ম হয় না।

এই মাসে বহু ফলমূল, ফুল, অগুরু, কর্পূর, ও চন্দন দিয়ে শ্রীহরির পূজা করার বিধান রয়েছে শাস্ত্রে। সমস্ত তীর্থ ভ্রমণ করলে যে পুণ্য সঞ্চয় হয়, উত্থান একাদশীতে শ্রীকৃষ্ণ পাদপদ্মে অর্ঘ্য প্রদানে তার কোটিগুণ সুকৃতি অর্জিত হয়। শ্রবণ-কীর্তন, স্মরণ, বন্দনাদি নববিধা ভক্তির সাথে তুলসীর সেবার জন্য যারা বীজ রোপন, জলসেচন ইত্যাদি করেন, তারা মুক্তিলাভ করে বৈকুণ্ঠবাসী হন। সহস্র সুগন্ধী পুষ্পে দেবতার অর্চনে বা সহস্র সহস্র যজ্ঞ ও দানে যে ফল লাভ হয়, এই মাসের শ্রীহরিবাসরে একটি মাত্র তুলসী পাতা শ্রীভগবানের চরণকমলে অর্পণ করলে তার অনন্তকোটিগুণ ফল লাভ হয়। উল্লেখ্য এই তিথিতে অনন্ত শয্যায় শায়িত শ্রীবিষ্ণু পুনরায় উত্থান করেন।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী উত্থান একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• উত্থান একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২২শে নভেম্বর, ২০২৩) বুধবার রাত্রি ১০টা ২৮ মিনিট (10:28 PM) থেকে।
• উত্থান একাদশী শেষঃ বাংলা ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৩শে নভেম্বর, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার রাত্রি ৮টা ১৭ মিনিট (08:17 PM) পর্যন্ত।
• উত্থান একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৩শে নভেম্বর, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার।
• উত্থান একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৪শে নভেম্বর, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটের মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী উত্থান একাদশী  ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• উত্থান একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২২শে নভেম্বর, ২০২৩) বুধবার রাত্রি ১০টা ৫৭ মিনিট (10:57 PM) থেকে।
• উত্থান একাদশী শেষঃ বাংলা ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৩শে নভেম্বর, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার রাত্রি ৮টা ৪৭ মিনিট (08:47 PM) পর্যন্ত।
• উত্থান একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০(ইংরেজি ২৩শে নভেম্বর, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার।
• উত্থান একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৪শে নভেম্বর, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ১০টা ০৫ মিনিটের মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ উত্থান একাদশী (প্রবোধিনী) ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশীর নামঃ উৎপন্না একাদশী

অগ্রহায়ণের পুণ্যপ্রদায়ী কৃষ্ণপক্ষের একাদশীকে উৎপন্না একাদশী বলা হয়। এই একাদশী পরম পবিত্র ও দেবতাদেরও প্রিয়।সমস্ত ব্রতকারী দিবারাত্রি ভক্তিপরায়ণ হয়ে এই উৎপন্না একদশীর উৎপত্তির কথা শ্রবণ-কীর্তন করলে শ্রীহরির আশীর্বাদ লাভে ধন্য হবেন। এছাড়াও, উৎপন্না একাদশী মহাপাপ বিনাশক এবং মহাপূণ্যদায়ী। শ্রীবিষ্ণুর অপার কৃপা লাভ করার জন্য শুদ্ধ বৈষ্ণব ভক্তগন সারা বছর ধরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন এই একাদশী ব্রত পালনের সুযোগ লাভভ করার জন্য।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী উৎপন্না একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• উৎপন্না একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ০৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত্রি ০২টা ৫৩ মিনিট (02:53 AM) থেকে।
• উৎপন্না একাদশী শেষঃ বাংলা ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ০৮ই ডিসেম্বর,২০২৩) শুক্রবার শেষরাত্রি ৪টা ১৮ মিনিট (04:18 AM) পর্যন্ত।
• উৎপন্না একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ০৮ই ডিসেম্বর,২০২৩) শুক্রবার।
• উৎপন্না একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ০৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩) শনিবার সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটের (10:33 AM) মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী উৎপন্না একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• উৎপন্না একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ০৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত্রি ০৩টা ২৩ মিনিট (03:23 AM) থেকে।
• উৎপন্না একাদশী শেষঃ বাংলা ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ০৮ই ডিসেম্বর,২০২৩) শুক্রবার শেষরাত্রি ৪টা ৪৮ মিনিট (04:48 AM) পর্যন্ত।
• উৎপন্না একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ০৮ই ডিসেম্বর,২০২৩) শুক্রবার।
• উৎপন্না একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ (ইংরেজি ০৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩) শনিবার সকাল ১১টা ০২ মিনিটের (10:33 AM) মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ উৎপন্না একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশী তালিকা পৌষ, ১৪৩০ ( ডিসেম্বর – ২০২৩ / জানুয়ারী –  ২০২৪) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ

একাদশীর নামঃ মোক্ষদা একাদশী

অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের এই একাদশী মোক্ষদা নামে পরিচিত। সর্বপাপনাশিনী ও ব্রত সর্বশ্রেষ্ঠা এই একাদশীর দেবতা শ্রীদামোদর। এদিন তুলসী, তুলসী মঞ্জরী, ধূপ, দীপ, ইত্যাদি উপচারে শাস্ত্রবিধি অনুসারে শ্রীদামোদরের পূজা করলে তিনি অত্বেযাধিক সন্তুষ্ট হন। এছাড়াও পূর্ববর্ণিত বিধি অনুসারে এর দশমীও পালন করা কর্তব্য। এই দিনে উপবাস করে স্তবস্তুতি, নৃত্য-গীত আদি সহ রাত্রিজাগরণ করা মহা ফলদায়ক।যে ব্যাক্তি এই মঙ্গলদায়িনী মোক্ষদা একাদশী ব্রত পালন করেন, তার সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয় এবং মৃত্যুর পর মুক্তি লাভ করেন। এই ব্রতের পূণ্যসংখ্যা সকলেরই অজ্ঞাত। শ্রীহরি বলেন  “চিন্তমণির মতো এই ব্রতটি আমার অত্যন্ত প্রিয়। এই ব্রত কথা যিনি পাঠ করেন এবং যিনি শ্রবণ করেন, উভয়েই বাজপেয় যজ্ঞের ফল প্রাপ্ত হন।”

ভারতীয় সময় অনুযায়ী মোক্ষদা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• মোক্ষদা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৫ই পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট (09:35 AM) থেকে।
• মোক্ষদা একাদশী শেষঃ বাংলা ৬ই পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৩শে ডিসেম্বর,২০২৩) শনিবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিট (07:55 AM) পর্যন্ত।
• মোক্ষদা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৬ই পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৩শে ডিসেম্বর,২০২৩) শনিবার।
• মোক্ষদা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৭ই পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৩) রবিবার সকাল ৬টা ৩৮ মিনিটের (06:38 AM) মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী মোক্ষদা একাদশী ১৪৩০ (২০২৩) এর  শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• মোক্ষদা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৭ই পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৩) শুক্রবার কাল ১০টা ০৫ মিনিট (10:05 AM) থেকে।
• মোক্ষদা একাদশী শেষঃ বাংলা ৮ই পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৩শে ডিসেম্বর,২০২৩) শনিবার সকাল ৮টা ২৪ মিনিট (08:24 AM) পর্যন্ত।
• মোক্ষদা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৮ই পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৩শে ডিসেম্বর,২০২৩) শনিবার।
• মোক্ষদা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৯ই পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৩) রবিবার সকাল ৭টা ০৭ মিনিটের (07:07 AM) মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ মোক্ষদা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশীর নামঃ সফলা একাদশী

পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম সফলা একাদশী। ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে এই তিথির মাহাত্ম্য বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। সুফলের আশায় এই ব্রত পালনের ব্রতী হন আপামর বৈষ্ণববৃন্দ। সফলা একাদশী যিনি পালন করেন, তিনি জাগতিক সুখ লাভ করেন এছাড়াও  দেহান্তে মুক্তি লাভ করেন। এই ব্রতে যারা শ্রদ্ধাশীল তাঁরাই ধন্য। তাঁদের জন্ম সার্থক,এতে কোন সন্দেহ নেই। এই ব্রত পাঠ ও শ্রবণে মানুষের রাজসূয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী সফলা একাদশী ১৪৩০ (২০২৪) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• সফলা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২০শে পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৬ই জানুয়ারী, ২০২৪)  শনিবার রাত্রি ৮টা ৫৭ মিনিট (08:57 PM) থেকে।
• সফলা একাদশী শেষঃ বাংলা ২১শে পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৭ই জানুয়ারী, ২০২৪) রবিবার রাত্রি ৯টা ২১ মিনিট (09:21 PM) পর্যন্ত।
• সফলা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২১শে পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৭ই জানুয়ারী, ২০২৪) রবিবার।
• সফলা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২২শে পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৮ই জানুয়ারী, ২০২৪) সোমবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট (09:57 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী সফলা একাদশী ১৪৩০ (২০২৪) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• সফলা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২২শে পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৬ই জানুয়ারী, ২০২৪)  শনিবার রাত্রি ৯টা ২৭ মিনিট (09:27 PM) থেকে।
• সফলা একাদশী শেষঃ বাংলা ২৩শে পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৭ই জানুয়ারী, ২০২৪) রবিবার রাত্রি ৯টা ৫১ মিনিট (09:51 PM) পর্যন্ত।
• সফলা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৩শে পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৭ই জানুয়ারী, ২০২৪) রবিবার।
• সফলা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৪শে পৌষ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৮ই জানুয়ারী, ২০২৪) সোমবার সকাল ১০টা ২৬ মিনিট (09:57 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ সফলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশী তালিকা মাঘ, ১৪৩০ (জানুয়ারী / ফেব্রুয়ারী – ২০২৪) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ

একাদশীর নামঃ পৌষ পুত্রদা একাদশী

পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে পালিত হয় পৌষ পুত্রদা একাদশী ব্রত। সর্বপাপবিনাশিনী এই একাদশী ব্রতের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা হলেন স্বয়ং ভগবান শ্রীনারায়ণ। ত্রিলোকে পৌষ পুত্রদা একাদশীর মত শ্রেষ্ঠ ব্রত আর নেই। এই ব্রত পালনকারী শ্রীনারায়ণের কৃপায় বিদ্বান ও যশস্বী হয়ে ওঠেন। নিষ্ঠা ও ভক্তিসহকারে যারা এই পৌষ পুত্রদা একাদশী ব্রত পালন করেন,তারা পুত্র সন্তান লাভ করে পুত নামক নরক থেকে পরিত্রাণ লাভ করে থাকেন। এটি ছাড়াও শ্রাবণ পুত্রদা নামক আরও একটি পুত্র দানকারী ব্রত জগতে বিদ্যমান। এছাড়াও এই একাদশীর  ব্রত কথা শ্রবণ করে কীর্তনে অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের ফল লাভ হয়। ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে পৌষ পুত্রদা একাদশীর মাহাত্ম্য এভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী পৌষ পুত্রদা একাদশী ১৪৩০ (২০২৪) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• পৌষ পুত্রদা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৫ই মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২০শে জানুয়ারী, ২০২৪)  শনিবার রাত্রি ১০টা ০৯ মিনিট (10:09 PM) থেকে।
• পৌষ পুত্রদা একাদশী শেষঃ বাংলা ৬ই মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২১শে জানুয়ারী, ২০২৪) রবিবার রাত্রি ৯টা ১৬ মিনিট (09:16 PM) পর্যন্ত।
• পৌষ পুত্রদা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৬ই মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২১শে জানুয়ারী, ২০২৪) রবিবার।
• পৌষ পুত্রদা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৭ই মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২২শে জানুয়ারী, ২০২৪) সোমবার সকাল ১০টা ০১ মিনিট (10:01 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী পৌষ পুত্রদা একাদশী ১৪৩০ (২০২৪) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• পৌষ পুত্রদা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৬ই মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২০শে জানুয়ারী, ২০২৪)  শনিবার রাত্রি ১০টা ৩৮ মিনিট (10:38 PM) থেকে।
• পৌষ পুত্রদা একাদশী শেষঃ বাংলা ৭ই মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২১শে জানুয়ারী, ২০২৪) রবিবার রাত্রি ৯টা ৪৬ মিনিট (09:46 PM) পর্যন্ত।
• পৌষ পুত্রদা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৭ই মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২১শে জানুয়ারী, ২০২৪) রবিবার।
• পৌষ পুত্রদা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৮ই মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ২২শে জানুয়ারী, ২০২৪) সোমবার সকাল ১০টা ৩৯ মিনিট (10:39 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ পৌষ পুত্রদা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশীর নামঃ ষটতিলা একাদশী

মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী ষটতিলা একাদশী নামে ভবিষ্যোত্তরপুরানে বর্ণিত হয়েছে। যিনি বা যারা ষটতিলা একাদশী ব্রত নিষ্ঠা সহকারে পালন করেন তাদের অভাব, শারীরিক রোগ ব্যাধি ও কষ্ট, দুর্ভাগ্য ইত্যাদি দুর্গতি বিনষ্ট হয়। এই ব্রতের বিধি মোতাবেক তিল দান করলে দানকারী ব্যাক্তি অনায়াসে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয় এবং পরিত্রান পায়। জগতের প্রসিদ্ধ বৈষ্ণবগণ এই ব্রত নিষ্ঠার সাথে পালন করার জন্য সমস্ত মনুষ্যকুলকে আহবান করে থাকেন।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী ষটতিলা একাদশী ১৪৩০ (২০২৪) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• ষটতিলা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২১শে মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৪)  সোমবার দুপুর ১২টা ৩৯ মিনিট (12:39 PM) থেকে।
• ষটতিলা একাদশী শেষঃ বাংলা ২২শে মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৪) মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ০০ মিনিট (12:00 PM) পর্যন্ত।
• ষটতিলা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২২শে মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৪) মঙ্গলবার।
• ষটতিলা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৩শে মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৪) বুধবার সকাল ১০টা ০১ মিনিট (10:01 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী ষটতিলা একাদশী ১৪৩০ (২০২৪) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• ষটতিলা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২২শে মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৪)  সোমবার দুপুর ১টা ০৯ মিনিট (01:09 PM) থেকে।
• ষটতিলা একাদশী শেষঃ বাংলা ২৩শে মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৪) মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২৯ মিনিট (12:29 PM) পর্যন্ত।
• ষটতিলা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৩শে মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৪) মঙ্গলবার।
• ষটতিলা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৪শে মাঘ, ১৪৩০ (ইংরেজি ৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৪) বুধবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট (10:30 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ ষটতিলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশী তালিকা ফাল্গুন, ১৪৩০ (ফেব্রুয়ারী / মার্চ – ২০২৪) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ

একাদশীর নামঃ ভৈমী বা জয়া একাদশী

মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিটি জয়া একাদশী ব্রত নামে ভবিষ্যোত্তর পুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদরূপে বর্ণিত হয়েছে। শ্রীগরুড়পুরাণে মাঘী শুক্লাপক্ষীয়া এই গুরুত্বপূর্ণ একাদশী তিথিকে ভৈমী একাদশী নামে সম্বোধিত  হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পুরাণে এই একাদশী তিথিকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করতে দেখা যায়। পদ্মপুরাণ মোতাবেক,  জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নামই পান্ডবা নির্জলা বা ভীমসেনী (ভৈমী) একাদশী।  এই তিথি সর্বপাপবিনাশিনী, সর্বশ্রেষ্ঠা, পবিত্রা, সর্বকাম ও মুক্তি প্রদায়িনী। এই ব্রতের ফলে মানুষ কখনও প্রেতত্ব প্রাপ্তি হয় না।এই জয়া একাদশী ব্রত ব্রহ্মহত্যাজনিত পাপকেও বিনাশ করে। এই ব্রত পালনে সমস্ত প্রকার দানের ফল লাভ হয়। সকল যজ্ঞ ও তীর্থের পুণ্যফল এই একাদশী প্রভাবে আপনা হতেই লাভ হয়। অবশেষে মহানন্দে অনন্তকাল বৈকুন্ঠ বাস হয়। এই জয়া একাদশী ব্রতকথা পাঠ ও শ্রবণে অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের ফল পাওয়া যায়।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী জয়া বা ভৈমী একাদশী ১৪৩০ (২০২৪) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• জয়া বা ভৈমী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৯শে ফেব্রুয়ারী, ২০২৪)  সোমবার দুপুর ১২টা ০১ মিনিট (12:01 PM) থেকে।
• জয়া বা ভৈমী একাদশী শেষঃ বাংলা ৭ই ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ২০শে ফেব্রুয়ারী, ২০২৪) মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ০৯ মিনিট (12:09 PM) পর্যন্ত।
• জয়া বা ভৈমী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৭ই ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ২০শে ফেব্রুয়ারী, ২০২৪) মঙ্গলবার।
• জয়া বা ভৈমী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৮ই ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ২১শে ফেব্রুয়ারী, ২০২৪) বুধবার সকাল ৯টা ৫৮ মিনিট (09:58 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী জয়া বা ভৈমী একাদশী ১৪৩০ (২০২৪) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• জয়া বা ভৈমী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৯শে ফেব্রুয়ারী, ২০২৪)  সোমবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট (12:30 PM) থেকে।
• জয়া বা ভৈমী একাদশী শেষঃ বাংলা ৭ই ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ২০শে ফেব্রুয়ারী, ২০২৪) মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩৮ মিনিট (12:38 PM) পর্যন্ত।
• জয়া বা ভৈমী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৭ই ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ২০শে ফেব্রুয়ারী, ২০২৪) মঙ্গলবার।
• জয়া বা ভৈমী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৮ই ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ২১শে ফেব্রুয়ারী, ২০২৪) বুধবার সকাল ১০টা ২৭ মিনিট (10:27 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ ‘ভৈমী’ বা ‘জয়া’ একাদশী কি? ভৈমী একাদশীর মাহাত্ম্য

একাদশীর নামঃ বিজয়া একাদশী

ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের কাদশী ‘বিজয়া’ নামে পরিচিত। এই একাদশী সম্পর্কে একসময় দেবর্ষি নারদ স্বয়ম্ভু ব্রহ্মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। এই পবিত্র পাপবিনাশকারী ব্রত মানুষকে জয় দান করে বলে বিজয়া নামে প্রসিদ্ধ।যথাবিধি যে মানুষ এই ব্রত পান করবেন তাদের এজগতে জয়লাভ এবং পরজগতে অক্ষয় সুখ সুনিশ্চিত । এই কারণে এই বিজয় একাদশী ব্রত পালন অবশ্য কর্তব্য। এই ব্রতকথার শ্রবণ-কীর্তন মাত্রেই বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিজয়া একাদশী ১৪৩০ (২০২৪) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• বিজয়া একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২১শে ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ৫ই মার্চ, ২০২৪)  মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রি ১টা ৩৩ মিনিট (01:33 AM) থেকে।
• বিজয়া একাদশী শেষঃ বাংলা ২২শে ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ৬ই মার্চ, ২০২৪) বুধবার রাত্রি ১১টা ৫৯ মিনিট (11:59 PM) পর্যন্ত।
• বিজয়া একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২২শে ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ৬ই মার্চ, ২০২৪) বুধবার।
• বিজয়া একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৩শে ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ৭ই মার্চ, ২০২৪) বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টা ৫২ মিনিট (09:52 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী বিজয়া একাদশী ১৪৩০ (২০২৪) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• বিজয়া একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২১শে ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ৫ই মার্চ, ২০২৪)  মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রি ২টা ০৩ মিনিট (02:03 AM) থেকে।
• বিজয়া একাদশী শেষঃ বাংলা ২২শে ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ৬ই মার্চ, ২০২৪) বুধবার রাত্রি ১২টা ২৯ মিনিট (12:29 AM) পর্যন্ত।
• বিজয়া একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২২শে ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ৬ই মার্চ, ২০২৪) বুধবার।
• বিজয়া একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৩শে ফাল্গুন, ১৪৩০ (ইংরেজি ৭ই মার্চ, ২০২৪) বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টা ২১ মিনিট (10:21 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ বিজয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশী তালিকা চৈত্র, ১৪৩০ (মার্চ / এপ্রিল – ২০২৪) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ

একাদশীর নামঃ আমলকী /আমলকীব্রত একাদশী

ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম আমলকী। বিষ্ণুলোক প্রদানকারী রূপে এই একাদশী বিশেষভাবে মহিমান্বিত। একাদশীর দিন আমলকী বৃক্ষের তলে রাত্রি জাগরণ করলে সহস্র গাভী দানের ফল লাভ হয়।পূর্বে ব্রহ্মার রাত্রিতে দৈনন্দিন প্রলয় উপস্থিত হলে স্থাবর জঙ্গমসহ দেবতা, অসুর ও রাক্ষস সবকিছুর বিনাশ হয়। তখন ভগবান সেরই কারণসমুদ্রে অবস্থান করেন। তাঁর মুখপদ্ম থেকে চন্দ্রবর্ণের একবিন্দু জল ভূমিতে পড়ে। সেই জলবিন্দু থেকে একটি বিশাল আমলকী বৃক্ষ উৎপন্ন হয়। এই বৃক্ষের স্মরণ মাত্র গো-দানের ফল, দর্শনে তাহার দ্বিগুণ এবং এর ফলভক্ষণে তিনগুণ ফল লাভ হয়। এই বৃক্ষে ব্রহ্মা, বিষ্ণু আর মহেশ্বর সর্বদা অবস্থান করেন। এর প্রতিটি শাখা-প্রশাখা ও পাতায় ঋষি, দেবতা, ও প্রজাপতিগণ বাস করেন। এই বৃক্ষকে সমস্ত বৃক্ষের আদি বলা হয় এবং তা পরম বৈষ্ণব রূপে বিখ্যাত। অতএব এই শ্রেষ্ঠ ব্রত সকলেরই পালনীয়। যে মানুষ এই পরম–উত্তম আমলকী একাদশী ব্রত পালন করেন তিনি নিঃসন্দেহে বিষ্ণুলোক প্রাপ্ত হন।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী আমলকী একাদশী ১৪৩০ (২০২৪) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• আমলকী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৯শে মার্চ, ২০২৪)  মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রি ৩টা ০৭ মিনিট (03:07 AM) থেকে।
• আমলকী একাদশী শেষঃ বাংলা ৬ই চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ২০শে মার্চ, ২০২৪) বুধবার শেষরাত্রি ৪টা ১৫ মিনিট (04:15 AM) পর্যন্ত।
• আমলকী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৬ই চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ২০শে মার্চ, ২০২৪) বুধবার।
• আমলকী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৭ই চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ২১শে মার্চ, ২০২৪) বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট (10:38 AM) এর পরে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী আমলকী একাদশী ১৪৩০ (২০২৪) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• আমলকী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ১৯শে মার্চ, ২০২৪)  মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রি ৩টা ৩৪ মিনিট (03:34 AM) থেকে।
• আমলকী একাদশী শেষঃ বাংলা ৬ই চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ২০শে মার্চ, ২০২৪) বুধবার শেষরাত্রি ৪টা ৪৫ মিনিট (04:45 AM) পর্যন্ত।
• আমলকী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৬ই চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ২০শে মার্চ, ২০২৪) বুধবার।
• আমলকী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৭ই চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ২১শে মার্চ, ২০২৪) বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টা ০৭ মিনিট (10:38 AM) এর পরে।

আরও পড়ুনঃ আমলকী বা আমলকীব্রত একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশীর নামঃ পাপমোচনী একাদশী

চৈত্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের একাদশীর নাম পাপমোচনী একাদশী। এই একাদশী সকল পাপ থেকে নিস্তার বা মোচন করে বলে এই পবিত্র একাদশী তিথি পাপমোচনী নামে প্রসিদ্ধ। যারা এই পাপমোচনী একাদশী পালন করেন, তাদের পূর্বকৃত সমস্ত পাপই ক্ষয় হয়। এই ব্রতকথা পাঠ ও শ্রবণে সহস্র গোদানের ফল লাভ হয়।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী পাপমোচনী একাদশী ১৪৩০ (২০২৪) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• পাপমোচনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২১শে চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ৪ঠা এপ্রিল, ২০২৪)  বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টা ৫২ মিনিট (11:52 AM) থেকে।
• পাপমোচনী একাদশী শেষঃ বাংলা ২২শে চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ৫ই এপ্রিল, ২০২৪) শুক্রবার সকাল ৯টা ৪৩ মিনিট (09:43 AM) পর্যন্ত।
• পাপমোচনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২২শে চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ৫ই এপ্রিল, ২০২৪) শুক্রবার।
• পাপমোচনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা২৩শে চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ৬ই এপ্রিল, ২০২৪) শনিবার সকাল ৭টা ২৩ মিনিট (07:23 AM) এর মধ্যে।

বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী পাপমোচনী একাদশী ১৪৩০ (২০২৪) এর শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীর তালিকা নিম্নরূপঃ

• পাপমোচনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২১শে চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ৪ঠা এপ্রিল, ২০২৪)  বৃহষ্পতিবার দুপুর ১২টা ২২ মিনিট (12:22 PM) থেকে।
• পাপমোচনী একাদশী শেষঃ বাংলা ২২শে চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ৫ই এপ্রিল, ২০২৪) শুক্রবার সকাল ১০টা ১২ মিনিট (10:12 AM) পর্যন্ত।
• পাপমোচনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২২শে চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ৫ই এপ্রিল, ২০২৪) শুক্রবার।
• পাপমোচনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা২৩শে চৈত্র, ১৪৩০ (ইংরেজি ৬ই এপ্রিল, ২০২৪) শনিবার সকাল ৭টা ৫২ মিনিট (07:52 AM) এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ পাপমোচনী একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

একাদশী পারন মন্ত্র (Ekadashi Parana Mantra)

একাদশ্যাং নিরাহারো ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব।।

বিঃদ্রঃ একাদশী তালিকা ১৪৩০ প্রস্তুত করার জন্য বেনীমাধব শীলের পঞ্জিকা ও নবযুগ পঞ্জিকার সাহায্য নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

• অমাবস্যা তালিকা ২০২৩ (১৪২৯-১৪৩০) || নিশিপালন ও উপবাসের তালিকা || ভারত ও বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী ||
• অমাবস্যা তালিকা ১৪৩০ (২০২৩-২০২৪) || নিশিপালন ও উপবাসের তালিকা || ভারত ও বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী ||
• পূর্ণিমা তালিকা ২০২৩ (১৪২৯-১৪৩০) || নিশিপালন ও উপবাসের তালিকা || ভারত ও বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী ||
• পূর্ণিমা তালিকা ১৪৩০ (২০২৩-২০২৪) || নিশিপালন ও উপবাসের তালিকা || ভারত ও বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী ||
• একাদশী তালিকা ২০২৩ (১৪২৯-১৪৩০) | স্মার্ত, নিম্বার্ক ও গোস্বামী মতে উপবাস ও পারণের নির্ভুল সময়সূচী [ভারত ও বাংলাদেশ]

হিন্দু বা সনাতন ধর্মীয় সকল প্রকার তথ্য, আচার-নিয়ম, সংস্কৃতি, আখ্যান ও উপাখ্যান জানতে আমাদেরকে ইউটিউবে বা ফেসবুকে ফলো করতে পারেন।