You are currently viewing একাদশী তালিকা ২০২১ (১৪২৭ – ১৪২৮ ) | Ekadashi List 2021

একাদশী তালিকা ২০২১ (১৪২৭ – ১৪২৮ ) | Ekadashi List 2021

2021 সালের নির্ভুল একাদশীর তালিকা, একাদশী তালিকা ২০২১, একাদশী তালিকা  ১৪২৮, একাদশীর তালিকা ২০২১, একাদশী পারনের সময়সূচী ২০২১, একাদশীর তালিকা ২০২১ pdf, ekadashi list 2021, একাদশী তালিকা 2021,  ২০২১ সালের একাদশী কবে, একাদশী ২০২১, একাদশী ব্রত তালিকা ২০২১, ২০২১ সালের একাদশীর তালিকা, একাদশী তালিকা, একাদশী তালিকা ১৪২৭,  ekadoshi 2021, ekadosi talika 2021, ekadosi chart 2021, একাদশী তালিকা ২০২১ ইসকন, iskcon ekadashi list 2021.

একাদশী (ekadashi) পবিত্রতম ব্রত। সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্মের অন্যান্য সকল ব্রত, আচার বা সংস্কারের মধ্যে একাদশী নিঃসন্দেহে উত্তম। সকল ব্রতের রাজা বা সকল ব্রত অপেক্ষা উত্তম এই ব্রত প্রায় ১৫ দিন পর পর একবার আসে আমাদের পৃথিবীতে। আর এই পূণ্যলগ্নে বৈষ্ণব পূণ্যার্থীরা এই ব্রত পালন করে শ্রীহরির চরনে ঠাই পাওয়ার প্রত্যয় ব্যাক্ত করে থাকেন। মূলত, ভগবান বিষ্ণুর কৃপাদৃষ্টি পাওয়ার জন্যই এই ব্রতের পালন করে থাকেন সকল ভক্তবৃন্দ। তাই একাদশী কবে, কখন বা পারনের সময়সূচী জানাও আমাদের জন্য অপরিহার্য। তাই আসুন নির্ভুলভাবে জেনে নেওয়া যাক ২০২১ সালের সমস্ত একাদশীর তারিখ ও বার।

আরও পড়ুনঃ

আলোচ্যসূচী

০৯ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার ( সফলা একাদশী ):

পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে যে ব্রত পালন করা হয় তাকে বলা হয় “সফলা একাদশী”। ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে এই একাদশী তিথির মাহাত্ম্য বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। সফলা একাদশী তিথিতে যিনি নিষ্ঠার সাথে ব্রত পালন করেন, তিনি ইহজাগতিক সুখ লাভ করেন এবং দেহান্তে মুক্তি লাভ করেন। এই মহাপুণ্যবান ব্রতে যারা শ্রদ্ধাশীল তাঁরাই ঈশ্বরের কৃপাধন্য। নিঃসন্দেহে তাদের পার্থিব জন্ম সার্থক, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।এই ব্রত পাঠ করলে এবং  শ্রবণ করলে রাজসূয় যজ্ঞের সমান ফল লাভ হয়।

আরও পড়ুনঃ সফলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

safala ekadashi-09 january, 2021

২৪ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার ( পৌষ পুত্রদা একাদশী ):

পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে পালিত হয় পৌষ পুত্রদা একাদশী ব্রত। সর্বপাপবিনাশিনী এই একাদশী ব্রতের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা হলেন স্বয়ং ভগবান শ্রীনারায়ণ। ত্রিলোকে পৌষ পুত্রদা একাদশীর মত শ্রেষ্ঠ ব্রত আর নেই। এই ব্রত পালনকারী শ্রীনারায়ণের কৃপায় বিদ্বান ও যশস্বী হয়ে ওঠেন। নিষ্ঠা ও ভক্তিসহকারে যারা এই পৌষ পুত্রদা একাদশী ব্রত পালন করেন,তারা ‘পুত’ নামক নরক থেকে পরিত্রাণ লাভ করে থাকেন। এছাড়াও এই একাদশীর  ব্রত কথা শ্রবণ করে কীর্তনে অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের ফল লাভ হয়। ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে পৌষ পুত্রদা একাদশীর মাহাত্ম্য এভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ পৌষ পুত্রদা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

Putrada Ekadashi - 24 January 2021

০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, রবিবার ( ষটতিলা একাদশী ):

মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী ‘ষটতিলা’ একাদশী ব্মারত নামে হাত্ম্যভবিষ্যোত্তরপুরানে বর্ণিত হয়েছে। যিনি বা যারা ষটতিলা একাদশী ব্রত নিষ্ঠা সহকারে পালন করেন তাদের অভাব, শারীরিক রোগ ব্যাধি ও কষ্ট, দুর্ভাগ্য ইত্যাদি দুর্গতি বিনষ্ট হয়। এই ব্রতের বিধি মোতাবেক তিলদান করলে দানকারী ব্যাক্তি অনায়াসে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয় এবং পরিত্রান পায়।

আরও পড়ুনঃ  অপরা একাদশীর মাহাত্ম্য

আরও পড়ুনঃ ষটতিলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

Shattila Ekadashi - 7 february, 2021

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার ( জয়া একাদশী বা ভৈমী একাদশী ):

মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিটি ‘জয়া একাদশী’ ব্রত নামে ভবিষ্যোত্তর পুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদরূপে বর্ণিত হয়েছে। শ্রীগরুড়পুরাণে মাঘী শুক্লাপক্ষীয়া এই গুরুত্বপূর্ণ একাদশী তিথিকে ‘ভৈমী’ একাদশী নামে সম্বোধিত  হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পুরাণে এই একাদশী তিথিকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করতে দেখা যায়। পদ্মপুরাণ মোতাবেক,  জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নামই ‘পান্ডবা নির্জলা’ বা ‘ভীমসেনী’ (ভৈমী) একাদশী। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী ‘জয়া’ নামে প্রসিদ্ধ। এই তিথি সর্বপাপবিনাশিনী, সর্বশ্রেষ্ঠা, পবিত্রা, সর্বকাম ও মুক্তি প্রদায়িনী। এই ব্রতের ফলে মানুষ কখনও প্রেতত্ব প্রাপ্তি হয় না।এই ‘জয়া’ একাদশী ব্রত ব্রহ্মহত্যাজনিত পাপকেও বিনাশ করে। এই ব্রত পালনে সমস্ত প্রকার দানের ফল লাভ হয়। সকল যজ্ঞ ও তীর্থের পুণ্যফল এই একাদশী প্রভাবে আপনা হতেই লাভ হয়। অবশেষে মহানন্দে অনন্তকাল বৈকুন্ঠ বাস হয়। এই জয়া একাদশী ব্রতকথা পাঠ ও শ্রবণে অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের ফল পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ ‘ভৈমী’ বা ‘জয়া’ একাদশী কি? ভৈমী একাদশীর মাহাত্ম্য

Jaya - Bhaimi Ekadashi- 23 February 2021

০৯ মার্চ ২০২১, মঙ্গলবার ( বিজয়া একাদশী ):

ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের কাদশী ‘বিজয়া’ নামে পরিচিত। এই একাদশী সম্পর্কে একসময় দেবর্ষি নারদ স্বয়ম্ভু ব্রহ্মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তিনি এই প্রসঙ্গে যা বলেছিলেন, তা আমি এখন তোমাকে বলছি। এই পবিত্র পাপবিনাশকারী ব্রত মানুষকে জয় দান করে বলে ‘বিজয়া’ নামে প্রসিদ্ধ।যথাবিধি যে মানুষ এই ব্রত পান করবেন তাদের এজগতে জয়লাভ এবং পরজগতে অক্ষয় সুখ সুনিশ্চিত । এই কারণে এই বিজয় একাদশী ব্রত পালন অবশ্য কর্তব্য। এই ব্রতকথার শ্রবণ-কীর্তন মাত্রেই বাজপেয় যজ্ঞোর ফল লাভ হয়।

আরও পড়ুনঃ বিজয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

Bijoya Ekadashi - 3 March, 2021

২৫শে মার্চ ২০২১, বৃহস্পতিবার (আমলকীব্রত একাদশী):

খন ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম ‘আমলকী’। বিষ্ণুলোক প্রদানকারী রূপে এই একাদশী বিশেষভাবে মহিমান্বিত। একাদশীর দিন আমলকী বৃক্ষের তলে রাত্রি জাগরণ করলে সহস্র গাভী দানের ফল লাভ হয়।পূর্বে ব্রহ্মার রাত্রিতে দৈনন্দিন প্রলয় উপস্থিত হলে স্থাবর জঙ্গমসহ দেবতা, অসুর ও রাক্ষস সবকিছুর বিনাশ হয়। তখন ভগবান সেরই কারণসমুদ্রে অবস্থান করেন। তাঁর মুখপদ্ম থেকে চন্দ্রবর্ণের একবিন্দু জল ভূমিতে পড়ে। সেই জলবিন্দু থেকে একটি বিশাল আমলকী বৃক্ষ উৎপন্ন হয়। এই বৃক্ষের স্মরণ মাত্র গো-দানের ফল, দর্শনে তাহার দ্বিগুণ এবং এর ফলভক্ষণে তিনগুণ ফল লাভ হয়। এই বৃক্ষে ব্রহ্মা, বিষ্ণু আর মহেশ্বর সর্বদা অবস্থান করেন। এর প্রতিটি শাখা-প্রশাখা ও পাতায় ঋষি, দেবতা, ও প্রজাপতিগণ বাস করেন। এই বৃক্ষকে সমস্ত বৃক্ষের আদি বলা হয় এবং তা পরম বৈষ্ণব রূপে বিখ্যাত। অতএব এই শ্রেষ্ঠ ব্রত সকলেরই পালনীয়। যে মানুষ এই পরমউত্তম আমলকী একাদশী ব্রত পালন করেন তিনি নি:সন্দেহে বিষ্ণুলোক প্রাপ্ত হন

আরও পড়ুনঃ আমলকী একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

Amlaki Vrata Ekadashi - 25 March 2021

০৭ এপ্রিল ২০২১, বুধবার ( পাপমোচনী একাদশী ):

চৈত্র মাসেরকৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম পাপমোচনী একাদশী। এই একাদশী সকল পাপ থেকে নিস্তার বা মোচন করে বলে এই পবিত্র একাদশী তিথি ‘পাপমোচনী’ নামে প্রসিদ্ধ। যারা এই
পাপমোচনী একাদশী পালন করেন, তাদের পূর্বকৃত সমস্ত পাপই ক্ষয় হয়। এই ব্রতকথা পাঠ ও শ্রবণে সহস্র গোদানের ফল লাভ হয়।

আরও পড়ুনঃ পাপমোচনী একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

Papmochoni Ekadashi - 07 April, 2021

২৩ এপ্রিল ২০২১, শুক্রবার ( কামদা একাদশী ):

চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কামদা একাদশী। এই তিথি পাপনাশক ও পুণ্যদায়িনী। এই ব্রত যত্নসহকারে সকলেরই পালন করা কর্ত্তব্য। এই ব্রত ব্রহ্মহত্যা পাপবিনাশক এবং পিশাচত্ব মোচনকারী। এই ব্রত কথা
শ্রদ্ধাপুর্বক পাঠ ও শ্রবণে বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়।

আরও পড়ুনঃ কামদা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

Kamada Ekadashi- 23 April, 2021

০৭ মে ২০২১, শুক্রবার ( বরুথিনী একাদশী ):

এই সময় অ্যাস্ট্রো ডেস্ক: মঙ্গলবার বরুথিনী একাদশী। বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী ‘বরুথিনী’ নামে পরিচিত। মহিলারা এই ব্রত পালনে সৌভাগ্য লাভ করেন। ভক্তি ও মুক্তি প্রদানকারী এই ব্রত সর্বপাপহরণ এবং গর্ভাবস্থার যন্ত্রণা বিনাশ করে। ভবিষ্যোত্তরপুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে এর বর্ণনা করা হয়েছে। কথিত আছে, ইহলোক ও পরলোকে এই দিন নিষ্ঠাভরে ব্রত পালন করলে সুখ লাভ হয়৷ এ ছাড়া পাপক্ষয় এবং সৌভাগ্য প্রাপ্তি ঘটে। এই ব্রত করার ফলে রাজারা দিব্যধাম লাভ করেছেন। কথিত আছে, মহাদেবও নাকি এই ব্রত পালন করেছিলেন। যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে কথিত আছে দশ হাজার বছর তপস্যার ফল কেবলমাত্র এক বরুথিনী ব্রত পালনে লাভ করা যায়। যে ব্যক্তি এই ব্রত পালন করেন, তিনি ইহলোক ও পরলোকে সমস্ত প্রকার কাঙ্খিত ফল লাভ করেন। কথিত আছে, এই দিনে দানধ্যান করলে পূর্ণ অর্জন করা যায়। কথিত আছে, গজদান, ভূমিদান, তিলদান, স্বর্ণদান এবং অন্নদান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। পণ্ডিতেরা কন্যাদানকে অন্নদানের সমান বলে থাকেন।

Boruthini Ekadashi - 07 May, 2021

২৩ মে ২০২১, রবিবার ( মোহিনী একাদশী ):

বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষীয়া একাদশী ‘মোহিনী’ নামে প্রসিদ্ধ। এই ব্রতের প্রভাবে মানুষের সকল পাপ, দুঃখ ও মোহজাল অচিরেই বিনষ্ট হয়। তাই মানুষের উচিত সকল পাপ ক্ষয়কারী ও সকল দুঃখ বিনাশী এই একাদশী ব্রত পালন করা।ত্রিলোকে মোহিনী ব্রত থেকে আর শ্রেষ্ঠ ব্রত নেই। যজ্ঞ, তীর্থস্থান, দান ইত্যাদি কোন পুণ্যকর্মই এই ব্রতের সমান নয়। এই ব্রত কথার শ্রবণ কীর্তনে সহস্র গোদানের ফল লাভ হয়।

আরও পড়ুনঃ মোহিনী একাদশীর মাহাত্ম্য

Mohini Ekadashi - 23 May, 2021

০৬ জুন ২০২১, রবিবার ( অপরা একাদশী ):

বহু পূর্ণ্য প্রদানকারী মহাপাপ বিনাশকারী ও পুত্রদানকারী এই একাদশী ‘অপরা’ নামে খ্যাত। এই ব্রত পালনকারী ব্যক্তি জগতে প্রসিদ্ধ লাভ করে। ব্রহ্মহত্যা, গোহত্যা,ভ্রুনহত্যা,পরনিন্দা, পরস্ত্রীগমন,মিথ্যাভাষন প্রভৃতি গুরুতর পাপ এই ব্রত পালনে নষ্ট হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ  ভৈমী বা জয়া একাদশী কি? ভৈমী একাদশীর মাহাত্ম্য

যারা মিথ্যাসাক্ষ্যদান করে, ওজন বিষয়ে ছলনা করে, শাস্ত্রের মিথ্যা ব্যাখ্যা প্রদান করে, জ্যোতিষের মিথ্যা গণনা ও মিথ্যাচিকিৎসায় রত থাকে, তারা সকলেই নরকযাতনা ভোগ করে।এ সমস্ত ব্যক্তিরাও যদি এই ব্রত পালন করে, তবে তারা সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়।ক্ষত্রিয় যদি স্বধর্ম ত্যাগ করে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যায়, তবে সে ঘোরতরী নরকগামী হয়। কিন্তু সেও যদি এই ব্রত পালন করে সেও মুক্ত হয়ে স্বর্গগতি লাভ করে।

মকর রাশিতে সূৃর্য অবস্থান কালে মাঘ মাসে প্রয়াগ স্নানে যে ফল লাভ হয়;শিবরাত্রীতে কাশীধামে উপবাস করলে যে পুণ্য হয় ;গয়াধামে বিষ্ণুপাদ পদ্মে পিন্ডদানে যে ফল পাওয়া যায়; সিংহরাশিতে বৃহস্পতির অবস্থানে গৌতমী নদীতে স্নানে, কুম্ভে কেদারনাথ দর্শনে, বদরিকাশ্রম- যাত্রায় ও বদ্রীনারায়ন সেবায়; সূর্যগ্রহণে কুরুক্ষেত্রে স্নানে, হাতি,ঘোড়া,স্বর্ণ দানে এবং দক্ষিণাসহ যজ্ঞ সম্পাদনে যে ফল লাভ হয়, এই ব্রত পালন করলে অনায়াসে সেই সকল ফল লাভ হয়ে থাকে। এই অপরা ব্রত পাপরূপ বৃক্ষের কুঠার স্বরূপ, পাপরূপ কাষ্ঠের দাবাগ্নির মতো,পাপরূপ অন্ধকারের সূৃর্য সদৃশ এবং পাপহস্তির সিংহসরূপ। এই ব্রত পালন না করে যে ব্যাক্তি জীবন ধারন করেন জলে বুদবুদের মতো তার জন্ম-মৃত্যুই কেবল সার হয়।অপরা একাদশীতে উপবাস করে বিষ্ণুপূজা করলে সর্বপাপ মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে গতি হয়।এই ব্রত কথা পাঠ ও শ্রবণ করলে সহস্র গোদানের ফল লাভ হয়। ব্রহ্মান্ডপুরানে এই ব্রত মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ অপরা একাদশীর মাহাত্ম্য

Apara Ekadashi - 6 June, 2021

২১ জুন ২০২১, সোমবার ( পাণ্ডব নির্জলা একাদশী ):

এই একাদশী ব্রত ধনধান্য ও পুন্যদায়িনী। যমদূতগণ এই ব্রত পালনকারীকে মৃত্যুর পরও স্পর্শ করতে পারে না। পক্ষান্তরে বিষ্ণুদূতগণ তাঁকে বিষ্ণুলোকে নিয়ে যান। শ্রীভীমসেন ঐদিন থেকে নির্জলা একাদশী পালন করতে থাকায় এই একাদশী ‘পান্ডবা নির্জলা বা ভীমসেনী একাদশী’ নামে প্রসিদ্ধ হয়েছে। এই নির্জলা একাদশীতে পবিত্র তীর্থে স্নান, দান, জপ, কীর্তন ইত্যাদি যা কিছু মানুষ করে তা অক্ষয় হয়ে যায়। যে ব্যক্তি ভক্তিসহকারে এই একাদশী মাহাত্ম পাঠ বা শ্রবণ করেন তাঁর স্থান হয় বৈকুন্ঠধাম ।

আরও পড়ুনঃ পান্ডবা নির্জলা একাদশীর মাহাত্ম্য

Pandava Nirjala Ekadashi - 21 June, 2021

০৫ জুলাই ২০২১, সোমবার ( যোগিনী একাদশী ):

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য যুধিষ্ঠির-শ্রীক ৃষ্ণ সংবাদরূপে বর্ণিত আছে। আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশী ‘যোগিনী’ নামে খ্যাত। মহাপাপ নাশকারী এই তিথি ভবসাগরে পতিত মানুষের উদ্ধার
লাভের একমাত্র নৌকাস্বরূপ। ব্রত পালনকারীদের পক্ষে এটি সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রত বলে প্রসিদ্ধ।

আরও পড়ুনঃ যোগিনী একাদশীর মাহাত্ম্য

Yogini Ekadashi - 05 July, 2021

২০ জুলাই ২০২১, মঙ্গলবার ( শয়ন একাদশী ):

এ সংসারে একাদশীর মতো পবিত্র আর কোন ব্রত নেই। সকল পাপ বিনাশের জন্য এই বিষ্ণুব্রত পালন করা একান্ত আবশ্যক। যে ব্যাক্তি এই প্রকার পবিত্র পাপনাশক এবং সকল অভিষ্ট প্রদাতা একাদশী ব্রত না করে তাকে
নরকগামী হতে হয়। আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের এই একাদশী ‘শয়নী নামে বিখ্যাত। শ্রী ভগবান ঋষিকেশের জন্য এই ব্রত পালন করতে হয়।

আরও পড়ুনঃ শয়ন একাদশীর মাহাত্ম্য

Shayan Ekadashi - 20 July, 2021

০৪ আগস্ট ২০২১, বুধবার ( কামিকা একাদশী ):

শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশী ‘কামিকা’ নামে জগতে প্রসিদ্ধা। এই একাদশীর মাহাত্ম্য শ্রবণে বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়। ভগবান শ্রী হরির পূজা অর্চনা অপরিমিত পূর্ণ ফল প্রদান করে। গঙ্গা গোদাবরী কাশী নৈমিষ্যারণ্য পুষ্কর ইত্যাদি তীর্থ দর্শনের সমস্ত ফল একমাত্র কৃষ্ণ পূজার মাধ্যমে কোটি গুন লাভ করা যায়। সাগর ও অরণ্য যুক্ত পৃথিবী দানের ফল, দুগ্ধবতী গাভী দানের ফল অনায়াসে এই ব্রত পালনে লাভ হয়। যারা পাপপূর্ণ সাগরে নিমগ্ন এই ব্রতই তাদের উদ্ধারের একমাত্র সহজ উপায়। এই রকম পবিত্র পাপনাশক শ্রেষ্ঠ ব্রত আর জগতে নেই। শ্রী হরি স্বয়ং এই মাহাত্ম্য কীর্তন করেছেন। রাত্রি জাগরণ করে যারা এই ব্রত পালন করেন তাঁরা কখনও দুঃখ দুর্দশাগ্রস্ত হন না। এই ব্রত পালনকারী কখনও নিম্ন যোনি প্রাপ্ত হন না। কেশবপ্রিয়া তুলসীপত্রে যিনি শ্রী হরির পূজা করেন পদ্ম পাতায় জলের মতো তিনি পাপে নির্লিপ্ত থাকেন। তুলসীপত্র দিয়ে বিষ্ণু পূজায় ভগবান যেমন সন্তুষ্ট হন, মণিমুক্তাদি মূল্যবান রত্ন মাধ্যমেও তেমন প্রীত হন না। যিনি কেশবকে তুলসীমঞ্জরী দিয়ে পূজা করেন তার জন্মার্জিত সমস্ত পাপ ক্ষয় হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে ব্রহ্মা বললেন–হে নারদ! যিনি তুলসীকে প্রত্যহ দর্শন করেন তার সকল পাপরাশি বিদূরিত হয়ে যায়। যিনি তাঁকে স্পর্শ করেন তার পাপমলিন দেহ পবিত্র হয়। তাঁকে প্রণাম করলে সমস্ত রোগ দূর হয়। তাঁকে জল সিঞ্চন করলে যমও তার কাছে আসতে ভয় পান। শ্রী হরি চরণে তুলসী অর্পিত হলে ভগবদ্ভক্তি লাভ হয়। তাই হে কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনী তোমাকে প্রণাম করি। যে ব্যক্তি হরিবাসরে ভগবানের সামনে দীপদান করেন চিত্রগুপ্তও তাঁর পুণ্যের হিসাব করতে পারে না। তার পিতৃপুরুষেরাও পরম তৃপ্তি লাভ করেন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন–হে রাজন! আমি আপনার কাছে সর্বপাপহারিনী কামিকা একাদশীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করলাম। অতএব যিনি ব্রহ্মহত্যা ভ্রুণহত্যা পাপবিনাশিনী, মহাপুণ্যফলদায়ী এই ব্রত পালন করবেন এবং এই মাহাত্ম্য শ্রদ্ধা সহকারে শ্রবণ করবেন তিনি সর্বপাপ থেকে মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে গমন করবেন।

আরও পড়ুনঃ কামিকা একাদশীর মাহাত্ম্য

Kamika Ekadashi - 4 August, 2021

১৮ আগস্ট ২০২১, বুধবার ( শ্রাবণ পুত্রদা/ পবিত্রারোপণ একাদশী ):

এই ব্রত মাহাত্ম্য যিনি পাঠ বা শ্রবণ করবেন তিনি সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হবেন এবং পুত্রসুখ ভোগ করে অবশেষে দিব্যধাম প্রাপ্ত হবেন।

আরও পড়ুনঃ  বিজয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

আরও পড়ুনঃ পবিত্রারোপণী ( শ্রাবণ পুত্রদা) একাদশী ব্রতের মাহাত্ম্য

Shravan Putrada Ekadashi - 18 August, 2021

০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, শুক্রবার ( অন্নদা বা অজা একাদশী ):

ভাদ্রের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীকে বলা হয় ‘অন্নদা’। এই তিথি সর্বপাপবিনাশিনী। যিনি শ্রীহরির অর্চনে এই ব্রত পালন করেন, তিনি সর্বপাপ মুক্ত হন। এমনকি এই ব্রতের নাম শ্রবণেই রাশি রাশি পাপ বিদূরিত হয়ে যায়। যথাবিধি এই ব্রত পালনে বহু বছরের দুঃখভোগের অবসান হয়।  যে মানুষ নিষ্ঠা সহকারে এই ব্রত পালন করেন, তিনি শ্রীহরি চরণে ভক্তি লাভ করে অবশেষে দিব্যধামে গমন করেন। এই ব্রতের মাহাত্ম্য পাঠ ও শ্রবণে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ হয়।

আরও পড়ুনঃ অজা বা অন্নদা একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

Annada Ekadashi - 3 September, 2021

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, শুক্রবার ( পার্শ্ব একাদশী ):

এই ব্রত পূণ্য ফল প্রদায়িনী, স্বর্গ ও মোক্ষদায়িনী। এর মাহাত্ম্য শ্রবণে সকল পাপ বিনষ্ট হয়। এই একাদশীকে পার্শ্ব একাদশী বলা হয়। আবার এই একাদশীকে জয়ন্তী একাদশীও বলা হয়। যিনি এই তিথিতে ভক্তিভরে শ্রীবামন ভগবানের পূজা করেন, তিনি ত্রিলোকে পূজা পান। যিনি, কমলনয়ন শ্রীবিষ্ণুর পূজা, কমল দ্বারা করেন, তিনি নিসন্দেহে ভগবানের সমীপে গমন করেন। যে পূণ্য এই ব্রতে লাভ হয়, তা বাজপেয় যজ্ঞেও লাভ হয় না। এই একাদশীতে শায়িত ভগবান অনন্ত শয্যায় পার্শ্ব পরিবর্তন করেন। বাম অঙ্গ থেকে দক্ষিণ অঙ্গে শয়ন করেন। তাই এই একাদশীকে পরিবর্তিনী একদশীও বলা হয়।

আরও পড়ুনঃ পার্শ্ব পরিবর্তিনী একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

Pwarsha Ekadashi - 17 September, 2021

০২ অক্টোবর ২০২১, শনিবার ( ইন্দিরা একাদশী ):

আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীর নাম ‘ইন্দিরা’ ইহা পালনে পাপরাশি বিনষ্ট হয়, নিরয়গামী পিতৃপুরুষগণের উর্দ্ধগতি লাভ হয়। এই ব্রত মাহাত্ম্য শ্রবণে ও কীর্তনে সর্বপাপ বিমুক্ত হয় এবং শ্রীবিষ্ণু সান্নিধ্য লাভ ঘটে। “এই ইন্দিরা একাদশীর মাহাত্ম্য পাঠে ও শ্রবণে মানুষ সকল পাপ মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে প্রাপ্ত হয়!

আরও পড়ুনঃ ইন্দিরা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

Indira Ekadashi - 02 October, 2021

১৬ অক্টোবর ২০২১, শনিবার ( পাশাঙ্কুশা একাদশী ):

আশ্বিনের শুক্লপক্ষীয়া একাদশী ‘পাশাঙ্কুশা’ নামে প্রসিদ্ধা। কেউ কেউ একে পাপাঙ্কুশাও বলে থাকেন। এই একাদশীতে অভিষ্ট ফল লাভের জন্য মুক্তিদাতা পদ্মনাভের পূজা করবে। শ্রীহরির নাম-সংকীর্তন দ্বারা পৃথিবীর সর্ব তীর্থের ফল লাভ হয়। বদ্ধ জীব মোহবশত বহু পাপকর্ম করেও ভগবান শ্রীহরির শরণাপন্ন হয়ে প্রণাম নিবেদনে নরকযাতনা থেকে রক্ষা পায়। এই একাদশীর মহিমা শোনার ফলে নিদারুণ যমদণ্ড থেকে মুক্তি লাভ হয়। শ্রীহরিবাসর ব্রতের মতো ত্রিভুবনে পবিত্রকারী আর কোন বস্তু নেই। হাজার হাজার অশ্বমেধ যজ্ঞ এবং শত শত রাজসূয় যজ্ঞ এই ব্রতের শতভাগের একাংশের সমান হয় না। এই ব্রত পালনে স্বর্গবাস হয়। মুক্তি, দীর্ঘায়ু, আরোগ্য, সুপত্নী, বন্ধু প্রভৃতি অনায়াসে লাভ করা যায়। গয়া, কাশী এমনকি কুরুক্ষেত্রও শ্রীহরিবাসর অপেক্ষা পূণ্যস্থান নয়। এই একাদশী উপবাস ব্রত করে রাত্রি জাগরণ করলে অনায়াসে বিষ্ণুলোকে গতি হয়। এই পাশাঙ্কুশা ব্রতের ফলে মানুষ সর্বপাপ মুক্ত হয়ে গোলোকে গমন করতে সমর্থ হয়। এই পবিত্র দিনে যিনি স্বর্ণ, তিল, গাভী, অন্ন, বস্ত্র, জল, ছত্র, পাদুকা দান করেন, তাকে আর যমালয়ে যেতে হয় না। যারা এসকল পুণ্যকার্য করে না, তাদের জীবন কামারশালার হাপরের মতো বিফল। নিষ্ঠার সাথে এই ব্রত পালনে উচ্চকুলে নিরোগ ও দীর্ঘায়ু শরীর লাভ হয়। অত্যন্ত পাপাচারীও যদি এই পুণ্যব্রতের অনুষ্ঠান করে তবে সেও রৌরব নামক মহাযন্ত্রনা থেকে মুক্ত হয়ে বৈকুণ্ঠসুখ লাভ করে।কৃষ্ণভক্তি লাভই শ্রী একাদশী ব্রতের মুখ্য ফল। তবে আনুষাঙ্গিকরূপে স্বর্গ, ঐশ্বর্যাদি অনিত্য ফল লাভ হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ পাশাঙ্কুশা (পাপাঙ্কুশা) একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

Pashangkusha Ekadashi - 16 October, 2021

০১ নভেম্বর ২০২১, সোমবার ( রমা একাদশী ):

কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের মহাপাপ দূরকারী একাদশী ‘রমা’ নামে বিখ্যাত। এই রমা একাদশী পালনের মাধ্যমে আমাদের সর্ব পাপ দূর হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ রমা একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য

Rama Ekadashi - 01 November, 2021

১৫ নভেম্বর ২০২১, সোমবার ( উত্থান একাদশী ):

কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর মাহাত্ম্য স্কন্দপুরাণে ব্রহ্মা-নারদ সংবাদে বর্ণিত আছে। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী ‘উত্থান’ বা ‘প্রবোধিনী’ নামে খ্যাত। প্রজাপতি ব্রহ্মা পূর্বে নারদের কাছে এই একাদশীর মহিমা কীর্তন করেছিলেন। কার্তিক মাসে সমস্ত গৌণধর্ম বর্জন করে শ্রীকেশবের সামনে হরিকথা শ্রবণ কীর্তন করা কর্তব্য। কোন ব্যক্তি যদি ভক্তিসহকারে এই মাসে ভক্তসঙ্গে হরিকথা শ্রবণ ও কীর্তন করেন, তবে তাঁর শতকুল উদ্বার প্রাপ্ত হন এবং হাজার হাজার দুগ্ধবতী গাভী দানের ফল অনায়াসে লাভ করেন। এই মাসে পবিত্রভাবে শ্রীকৃষ্ণের রূপ, গুণাদির শ্রবণ- কীর্তনে দিনযাপন করলে তার আর পুণর্জন্ম হবে না। এই মাসে বহু ফলমূল, ফুল, অগুরু, কর্পূর, ও চন্দন দিয়ে শ্রীহরির পূজা করা কর্তব্য। সমস্ত তীর্থ ভ্রমণ করলে যে পুণ্য সঞ্চয় হয়, উত্থান একাদশীতে শ্রীকৃষ্ণ পাদপদ্মে অর্ঘ্য প্রদানে তার কোটিগুণ সুকৃতি অর্জিত হয়। শ্রবণ-কীর্তন, স্মরণ, বন্দনাদি নববিধা ভক্তির সাথে তুলসীর সেবার জন্য যারা বীজ রোপন, জলসেচন ইত্যাদি করেন, তারা মুক্তিলাভ করে বৈকুণ্ঠবাসী হন। সহস্র সুগন্ধী পুষ্পে দেবতার অর্চনে বা সহস্র সহস্র যজ্ঞ ও দানে যে ফল লাভ হয়, এই মাসের শ্রীহরিবাসরে একটি মাত্র তুলসী পাতা শ্রীভগবানের চরণকমলে অর্পণ করলে তার অনন্তকোটিগুণ ফল লাভ হয়।

আরও পড়ুনঃ উত্থান একাদশী (প্রবোধিনী) ব্রত মাহাত্ম্য

Utthan Ekadashi - 15 November, 2021

৩০ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার ( উৎপন্না একাদশী ):

অগ্রহায়ণের পুণ্যপ্রদায়ী কৃষ্ণপক্ষের একাদশীকে ‘উৎপন্না একাদশী’ বলা হয়। এই একাদশী পরম পবিত্র ও দেবতাদেরও প্রিয়।সমস্ত ব্রতকারী দিবারাত্রি ভক্তিপরায়ণ হয়ে এই উৎপন্না একদশীর উৎপত্তির কথা শ্রবণ-কীর্তন করলে শ্রীহরির আশীর্বাদ লাভে ধন্য হবেন।

আরও পড়ুনঃ উৎপন্না একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

Utpanna Ekadashi - 30 November, 2021

১৪ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার ( মোক্ষদা একাদশী ):

অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের এই একাদশী ‘মোক্ষদা’ নামে পরিচিত। সর্বপাপনাশিনী ও ব্রত সর্বশ্রেষ্ঠা এই একাদশীর দেবতা শ্রীদামোদর। তুলসী, তুলসী মঞ্জরী, ধূপ, দীপ, ইত্যাদি উপচারে শাস্ত্রবিধি অনুসারে শ্রীদামোদরের পূজা করতে হবে। পূর্ববর্ণিত বিধি অনুসারে দশমী ও একাদশী পালন করতে হবে। এই উপবাস দিনে স্তবস্তুতি, নৃত্য-গীত আদি সহ রাত্রিজাগরণ করা কর্তব্য।যে ব্যাক্তি এই মঙ্গলদায়িনী মোক্ষদা একাদশী ব্রত পালন করে, তার সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয় এবং মৃত্যুর পর মুক্তি লাভ করে। এই ব্রতের পুণ্যসংখ্যা আমিও জানি না। চিন্তমণির মতো এই ব্রতটি আমার অত্যন্ত প্রিয়। এই ব্রত কথা যিনি পাঠ করেন এবং যিনি শ্রবণ করেন, উভয়েই বাজপেয় যজ্ঞের ফল প্রাপ্ত হন।

আরও পড়ুনঃ মোক্ষদা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

Mokshada Ekadashi - 14 December, 2021

৩০ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার ( সফলা একাদশী ):

পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম”সফলা একাদশী”। ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে এই তিথির মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। সফলা একাদশী যিনি পালন করেন, তিনি জাগতিক সুখ লাভ করেন এছাড়াও  দেহান্তে মুক্তি লাভ করেন। এই
ব্রতে যারা শ্রদ্ধাশীল তাঁরাই ধন্য। তাঁদের জন্ম সার্থক,এতে কোন সন্দেহ নেই।এই ব্রত পাঠ ও শ্রবণে মানুষের রাজসূয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়।

আরও পড়ুনঃ সফলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য

Safala Ekadashi - 30 December, 2021

 

হিন্দু বা সনাতন ধর্মীয় সকল প্রকার তথ্য, আচার-নিয়ম, সংস্কৃতি, আখ্যান ও উপাখ্যান জানতে আমাদেরকে ইউটিউবে বা ফেসবুকে ফলো করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ

ট্যাগঃ একাদশী তালিকা ২০২১ বাংলাদেশ, একাদশীর তালিকা, একাদশী পারনের সময়সূচী ২০২১,একাদশী তালিকা 2021 ইসকন, akadoshi talika 2021,একাদশী ব্রত তালিকা 2021,একাদশী ব্রত তালিকা ২০২১ pdf, একাদশী তালিকা ২০২১ ইসকন,
একাদশী তালিকা ২০২১ ভারত, ekadoshi talika 2021, একাদশী ২০২১ তালিকা, একাদশীর পারণ ২০২১, ইসকন একাদশী তালিকা 2021, একাদশী তালিকা ২০২১ গোস্বামী মতে, একাদশীর সময়সূচী,একাদশীর সময়সূচী 2021, ১৪২৭ সালের একাদশীর তালিকা, একাদশীর তালিকা 2021, একাদশী চার্ট ২০২১, একাদশী সময়সূচী ২০২১, একাদশী 2021, ekadashi talika 2021 bangla,ekadashi talika 2021, ১৪২৭ সালের একাদশী,বৈষ্ণব মতে একাদশী তালিকা, 2021 একাদশী তালিকা, একাদশীর পারণ কটার সময়, আগামী একাদশী কবে, একাদশীর পারণ,ভৈমী একাদশী ২০২১,

 

 

5/5 - (1 vote)

Leave a Reply